অবশেষে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাকে আটক করার কথা অস্বীকার করেছে। সোমবার বিকাল তিনটার দিকে আল্লামা শফীকে তার কার্যালয় থেকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাকে আটক করা হয়নি। তাকে বিশেষ বিমানে করে চট্রগ্রামের হাটহাজারিতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এর আগে দুুপুর থেকেই রাজধানীর লালবাগে কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক কট্ররপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলামের এই সদরদফতরটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
জমিয়াতুল আরাবিয়া নামের এই মাদ্রাসার ভিতরে হেফাজতের শতাধিক নেতা লুকিয়ে থাকার অভিযোগে দুপুর থেকেই পুলিশ সেটি ঘিরে রাখে। সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে সেখানে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
এর আগে লালবাগ অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়ে, মানুষ খুন করে কিছু লোক ভেতরে লুকিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
জানা গেছে, লালবাগ শাহী মসজিদ সংলগ্ন একটি অফিসে পুলিশের একটি দল প্রবেশ করেছে। উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আল্লামা শফীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে নিয়ে গাড়িতে তোলেন। এ সময় আশপাশে ব্যাপক উত্তেজন তৈরী করা হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে নিয়ে গাড়িতে তোলেন। এ সময় আশপাশে ব্যাপক উত্তেজন তৈরী করা হয়।
আগের দিন রবিবার দিনভর মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ এবং রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে শহর জুড়ে যখন ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছিল ঠিক তখনই হেফাজতের আমির আল্লামা শফীকে পুলিশের জিম্মায় নেয়া হলো।(বাংলাপোষ্ট২৪)
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়