পুরান ঢাকায় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শাঁখারীবাজার এলাকার কৈলাশ ঘোষ লেনের ২০ নম্বর বাড়িটি পাশের তিনতলা ভবনের ওপর হঠাৎ হেলে পড়ে। এরপর সকাল সোয়া দশটার দিকে এটি ভেঙ্গে পড়ে। এর ফলে যে ভবনের ওপর এটি ভেঙ্গে পড়ে সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকে বাড়িটিতে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে দমকলের কর্মীরা এসে প্রথম পর্যায়ে ৩০ জনকে উদ্ধার করেন।
ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফ্রে কর্মীরা দুটি ভবনে আটকা পড়া ৩০জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঠাঁটারিবাজার এলাকার কৈলাস ঘোষ লেনের ছয়তলা ভবনটি ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সেটি হঠাৎ দুলে উঠে পাশের তিনতলা দুটি ভবনের ওপর ধসে পড়ে।
এতে ওই দুই ভবনে সিড়ি বন্ধ হয়ে যায় এবং বাসিন্দারা ভেতরে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন তলা ভবন দুটির মধ্যে ১৮ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়িটির মালিক মোহাম্বমদ সোহেল। আর ১৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের ভবনটির মালিক সৈয়দ মাসুম।
ভবন ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার সাজু মিয়া জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার শ্রমিকরা ভবনটি ভাঙ্গার কাজ করছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে ১৫/২০ জন শ্রমিক কাজ শুরুর পর সকাল ৯টার দিকে ভবনটি হেলে পড়ে। এর ঘণ্টাখানেক পর ভবনটির ওপরের তলাগুলো ভেঙ্গে পড়ে নিজ থেকে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মো. মাহবুব জানান, দুটি ভবনের মধ্যে ১৯ নম্বর বাড়িটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছাদের পর ভেঙে পড়া ভবনের ধসে পড়া অংশ স্ত�প হয়ে আছে। ভবনের সামনের দিকে সিড়িও আটকে গেছে ভেঙে পড়ার ভবনটির ধ্বংসস্ত�পে।
আমরা ১৯ নম্বর বাড়ির পেছনের জানালা ভেঙে সিড়ি দিয়ে ৩০ জনকে উদ্ধার করেছি। জনি নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজন ছোটখাট আঘাত পেয়েছেন।
আর ১৮ নম্বর ভবনের অধিকাংশ বাসিন্দা পাশের সরু একটি গলি দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে মাহাবুব জানান।
ভেঙে পড়া ভবনের কোনো শ্রমিক ধ্বংসস্ত�পে আটকা পড়েছেন কি না জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, �ভেঙে পড়ার আগে ভবনটি কয়েকবার কেঁপে উঠেছিল। তখনই শ্রমিকরা নেমে গিয়েছে বলে আমাদের ধারণা। ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়