Wednesday, September 28

কানাইঘাটে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ১


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাটে এক চিরাকাঠ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবীর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে রুজেল আহমদ (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে অপহৃত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল কাদিরগ্রামের করিম আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন (৪৩) গত রোববার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় চতুল বাজারে যান। এরপর রাতে বাড়ি ফিরে না এলে এবং তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের লোকজন সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে গত সোমবার থানায় নিখোঁজ আলমগীর হোসেনের ভাই মো. কাওছার বাদী হয়ে সাধারণ ডায়রী করেন। সোমবার বিকেল থেকে তার নম্বর থেকে তার ভাই কাওছারকে ফোন করে আলমগীরের উপর নির্যাতনের আর্তনাদ শোনানো হয় এবং মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করে দুটি বিকাশ নম্বর দেয় অপহরণকারীরা। 

তাৎক্ষণিক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অপহরণকারীদের আটক ও অপহৃত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করার জন্য কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ বেশ কয়েকটি পুলিশের টিমকে বিভিন্ন এলাকায় প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযানে পাঠান। 

একপর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের সুতারগ্রামের তবারক আলীর পুত্র রুজেল আহমদকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপরদিকে কানাইঘাট গাছবাড়ী বাজারের সুরমা নদীর অপরপার বিয়ানীবাজার থানার শিকারপুর গ্রামের রাস্তার পাশে অচেতন হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকায় এখনও পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান। 

এ ঘটনায় থানায় ৫ জনকে আসামী করে অপহরণ ও চাঁদা দাবীর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান (মামলা নং- ২২/২৭/০৯/২০২২)।

ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে রোববার রাতে পৌরসভার মহেশপুর এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপহরণকারীদের হাতে গুরুতর আহত এ ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

আলমগীর হোসেনের ভাই মো. কাওছার জানান, তার ভাই চতুল বাজারের একজন চিরাকাঠ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ ক্রয় করে বিক্রি করেন। তাকে অপহরণের পর তাদের কাছে অপহরণকারীরা ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। 



শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়