নিজস্ব প্রতিবেদক :
কানাইঘাট দক্ষিণ বাজারের দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে অবস্থিত আমেরিকান প্রবাসীর ১২শতক ভুমির উপর নির্মিত টিন সেটের দোকান ঘর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ভাবে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও প্রবাসী পরিবার কোন ধরনের প্রতিকার পাচ্ছেন না। অভিযোগে জানা যায়, পৌরসভার মহেষপুর গ্রামের আমেরিকান প্রবাসী নসিরুল হক ও তার ভাই সিরাজুল হক ১৯৮১ সালে কানাইঘাট দক্ষিণ বাজারে অবস্থিত ডালাইচর মৌজার সাবেক ৭০৮ নং দাগে মোট সাড়ে ১২ শতক জমি দলিল মূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। পরে ২০০৪ সালে তারা উক্ত জমিতে টিন সেটের কয়েকটি দোকান কোটা নির্মাণ করেন। প্রবাসে থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী ভুমির উপর নির্মিত দোকানের মালিক বীরদল হাওরপশ্চিম গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের পুত্র ফরিদ আহমদ ও সালমান আহমদ মিলে আমেরিকান প্রবাসী নসিরুল হক ও সিরাজুল হকের টিন সেটের দোকান ঘর গুলো সহ সাড়ে ১২ শতক ভুমি দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় প্রবাসী নাসিরুল হক সহকারী জজ কানাইঘাট আদালতে ফরিদ আহমদ গংদের বিরুদ্ধে একটি স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৫/০৯। এতে তিনি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করিলে সহকারী জজ আদালত বিবাধীগণের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হইবে না তৎমর্মে কারন দর্শানোর আদেশ সহ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ প্রদান করেন। এ ছাড়াও উক্ত ভুমিতে আকৃতি প্রকৃতি পরিবর্তন কিংবা হস্তাস্থর করা যাইবে না মর্মে গত ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আদেশ প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত। কিন্তু বিবাধীগণ নি¤œ আদালতের এ আদেশ উচ্চ আদালতে স্থগিত করার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করে। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফরিদ উদ্দিন গংরা নি¤œ আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ১১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে উক্ত টিন সেটের ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে জোরর্পর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রবাসী নসিরুল ও সিরাজুল হকের পক্ষে তাদের মামাতো ভাই কানাইঘাট সদর ইউপি’র ছোটদেশ ছোটফৌদ গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র বাবলু আহমদ বাদী হয়ে ফরিদ আহমদ ও সালমান আহমদের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে কানাইঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এসআই এসএম মাইনুল ইসলাম গত মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং ফরিদ উদ্দিন গংদেরকে বিরোধপূর্ণ ভুমিতে আদালতের আদেশ ছাড়া কোন ধরনের কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশের নিষেধ অমান্য করে রাতের আধারে ফরিদ গংরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাবলু আহমদ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রবাসী নসিরুল হক ও সিরাজুল হক তাদের ভুমি সহ দোকানপাট জবর দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়