Thursday, August 22

কানাইঘাটে ভারতীয় গরুর চালান আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু-মহিষের চালান আসা কোন অবস্থাতে বন্ধ হচ্ছে না। ঈদ-উল-আযহার পর কয়েক দিন গরু-মহিষ আসা বন্ধ থাকলেও পুণরায় চোরাকারবারীরা প্রকাশ্যে আবারো ভারত থেকে গরু-মহিষের চালান নিয়ে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মানব দেহের জন্য অত্যন্তক ক্ষতিকর বিষাক্ত ইনজেকশন পুশকৃত ভারতীয় গরু-মহিষ ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত থাকলেও সরকারের উর্ধ্বতন মহলের টনক নড়ে উঠেছে। 

বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী ও সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এব্যাপারে কঠোর রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গরু-মহিষ ভারত থেকে কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে নিয়ে আসা চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছেন সিলেটের পুলিশ প্রশসানের গোয়েন্দা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। 

কানাইঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম থানায় যোগদান করার পর থেকে ভারতীয় গরু অবৈধভাবে কানাইঘাটে নিয়ে আসা বন্ধ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএমের তত্বাবধানে যে সব এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কানাইঘাটের গরু মহিষের চালান প্রবেশ করে সেই সব এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করেছেন।

গত বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত থানা পুলিশের এসআই মাইনুল ইসলাম ও এএসআই ওদুদ এবং এএসআই সুফিয়ানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সীমান্তবর্তী মমতাজগঞ্জ বাজার সহ আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ গরু ভারতীয় ছোট ও মাঝারী সাইজের গরু চালান আটক করেন। অভিযানের সময় পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। 

থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকার বলেন, ১৯ টি ভাতরীয় গরু আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরুগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকাগুলো জমা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত যে, গত ৭/৮ মাস ধরে কানাইঘাটে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু মহিষ আসছে। এ সব গরু-মহিষ কে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে বাংলাদেশে ঢুকানো হয়। যাহা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিক্ষর। সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন জানিয়েছেন দূর্ঘটনায় মাঝে মধ্যে এ সব গরু-মহিষ মারা গেলে কুকুর, শিয়াল ও শকুন পর্যন্ত বক্কন করে না। 

ভারতীয় গরু-মহিষের বেচা কে না সড়কের বাজার ও সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিন সিলেটের উর্ধ্বতন প্রশাসন ও বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার নাম ভাংগিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে একটি চক্র ভারতীয় গরু-মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা উৎকোচ আদায় করে থাকে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। 

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/২২ আগস্ট ২০১৯

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়