Saturday, June 1

শবে কদরের সীমাহীন মর্যাদা

ধর্ম ডেস্ক  ::

পবিত্র রমজানের শেষ দশদিন মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দাদের জন্য বিশেষ এক নেয়ামত।

বান্দাদেরকে গুনাহ মাপ করতে আল্লাহ তায়লা শুধু বাহানা খোঁজে। এ শেষ দশকে বান্দাকে কোন উপায়ে ক্ষমা করবেন সেটাই খোঁজতে থাকেন আল্লাহ তায়ালা। কেউ যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় আল্লাহ তাকে মাপ করে দিবে সেই উসিলাই আল্লাহ খোঁজতে থাকে।

আর এমন এক রাত্রী আল্লাহ বান্দাদের জন্য রমজানের শেষ দশকে রেখেছেন, যার সীমাহীন মর্যাদার কথা বলে শেষ করা যাবে না। পুরো কোরআন এ রাত্রীতে অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ সূরা কদরে এমনভাবে উল্লেখ করেছে। আল্লাহ বলছে আমি এ রাত্রীতে কোরআন নাজিল করেছি কদরের রাত্রীতে। তারপর বলছে তুমি কী জানো লাইলাতুল কদর কী?। রাসূল (সা.)-কে আল্লাহ তায়ালা এ রাত্রীর গুরুত্ব বুঝানোর জন্য বলছেন, তুমি জানো না এটা কোন রাত্রী, এ রাত্রীর ফজিলত কী।

এরপর আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলছেন, এটা এমন রাত্রী যে একটি রাত্রীতে ইবাদত করলে এক হাজার মাস থেকে বেশি সাওয়াব দান করবেন আল্লাহ তায়ালা।
এক হাজার মাস মানে? প্রায় ৮৭ বছর থেকেও বেশি ইবাদতের সাওয়াব দান করবেন আল্লাহ তায়ালা। এ মর্যাদা কেন দান করা হলো আমাদের।
সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সা.)- কে জিজ্ঞেস করলো হে রাসূল! (সা.) আগের দিনের উম্মতগণ আমাদের থেকে বেশি ইবাদত করতো। শত শত বছর তারা বাঁচতো। আমরা তো খুব অল্প সময়ে মৃত্যু বরণ করি। আমাদের থেকে তারা অনেক আগে জান্নাতে চলে যাবে।
রাসূল (সা.)-কে আল্লাহ বলে দিলেন, তোমরা চিন্তা কর না। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য প্রতি বছর এমন এক রাত্র রেখেছেন যে এক রাত্র ইবাদত করলেই ৮৭ বছর থেকেও বেশি প্রতিদান দেয়া হবে। তুমি সাহাবায়ে কেরামকে বলে দাও, ইবাদত করতে থাকো, ইবাদত করতে থাকো। তোমারা একরাত্রীতে ইবাদত করে তাদের থেকে বেশি প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা থেকে নিতে পারবে।
এ রাত্রী কখন পাওয়া যাবে? শেষ দশকের মধ্যে এ রাত্র তোমাদের খোঁজতে হবে। পাঁচটি রাত্র এর জন্য মেহনত করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা এ রাত্রীর কথা বলে দিয়েছিলেন। পরে আল্লাহ তায়ালা হুজুর (সা.) যখন বলতে আসবেন সাহাবাদের, রাস্তায় দুই লোক ঝগড়া করতে দেখলেন। রাসূল (সা.) ঝগড়া থামাতে গেলো, পরে সব ভুলে গেলো।
রাসূল (সা.) বললেন আমি একদম ভুলে গেলাম। এজন্য মুসলমানদের পরস্পর ঝগড়া খুবই ক্ষতিকর একটি জিনিস। এটাও এর মাধ্যমে বুঝা যায়।
রাসূল (সা.) যখন মিরাজে গিয়েছেন, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করলেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য ৫ ওয়াক্তই ফরজ করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.)-কে ভালোবাসার নজির দেখাতে পথে হজরত মুসা (আ.) এর সঙ্গে সাক্ষাত করালেন। পাঁচ পাঁচ করে আল্লাহ তায়ালা আমদের কে কমিয়েছেন। যেনো আমরা এ পাঁচ ওয়াক্ত গুরুত্বসহকারে আদায় করি।
ভালোবাসার দৃষ্টান্ত দিতেই আল্লাহ তায়ালা এমন করেছেন। আর যেনো শেষ নবীর উম্মতের মধ্যে নামাজের বিষয়ে গুরুত্ব থাকে। যে আমাদের ওপর তো আল্লাহ তায়ালা ৫০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হতো। আল্লাহ আমাদের জন্য কমিয়ে দিয়েছেন। এটা আমাদের আদায় করতেই হবে।
ঠিক তেমনই আল্লাহ তায়ালা কদরের রাত্রী কোনটি ভুলিয়ে দিয়েছেন। যেনো এ দামি জিনিসটি আমরা গুরুত্বসহকারে খুঁজি। এজন্য আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.)-কে ভুলিয়ে দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়