পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নসহ জলবায়ুর অভিযোজনে জাপান ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
রোববার সচিবালয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেন জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মিনোরো কিউচি। স্বাক্ষাতে তারা এ বিষয়ে
ঐকমত্য পোষণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে গৃহিত পানি সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ জাপানী প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন পানি সম্পদ
প্রতিমন্ত্রী।
জাহিদ ফারুক বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও তার প্রভাব মোকাবিলায় আমরা
নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। বাংলাদেশ নদীমার্তৃক দেশ। পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও
মেঘনা নদী এবং তাদের উপ ও শাখা নদীর সম্মিলিত সবচেয়ে বড় ‘ডেল্টয়িক প্লেইন’
এর নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশ অবস্থিত। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এ
দেশে মারাত্নক।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে এ ধরণের বেশ কিছু দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবিলাও
করেছে বাংলাদেশ। সরকার দীর্ঘ মেয়াদে এ ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ
ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষ জনগোষ্ঠী
সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কার্যক্রম নিয়েছে।
জাপানকে বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণের ‘পরীক্ষিত উন্নয়ন অংশীদার’ অভিহিত
করে প্রতিমন্ত্রী এ সময় পানি সম্পদ উন্নয়নের সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরে জাপানের
সহযোগিতা কামনা করেন।
জবাবে জাপানী প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য ফলপ্রসূ যেকোনো উদ্যোগে অতীতের মত তার দেশ পাশে থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাপানী প্রতিমন্ত্রী মিনোরো কিউচি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমনে দু’দেশের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম
চর্চা বিনিময়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রশস্ত করতে পারলে জাপান আনন্দিত হবে।
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিশ্চিতকরণে জাপান সহযোগিতা করতে প্রস্তুত
বলেও জানান জাপানী প্রতিমন্ত্রী।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়