নিউজ ডেস্ক:
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দলটির ওয়ার্কিং কমিটি। ভারতের ১৭তম লোকসভা
নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের শতভাগ দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের প্রস্তাব করেন
তিনি। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
৫৪২ আসনের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সাড়ে তিনশ’ এরও
বেশি আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে বিজেপি একাই পেয়েছে ৩০৩টি আসন। আর প্রধান
বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৫২টি আসন।
শনিবার অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির
বৈঠকে রাহুল গান্ধী, তার মা সোনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি কী
করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়।
রাহুল পদত্যাগ করতে পারেন এমন কথা শুনেই
দলের নবীন নেতারা দিল্লিতে আসতে শুরু করেন। দলের নেতারা কর্মীরা চান না যে,
রাহুল কোনোভাবেই পদত্যাগ করুক।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এক টুইট
বার্তায় লিখেছেন, সভাপতির ইস্তফার প্রসঙ্গ ভিত্তিহীন ও অপ্রাসঙ্গিক। এটা
আমরা কখনোই মানব না। রাহুল গান্ধীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও লড়াকু মেজাজের
কারণেই এনডিএ-কে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল কংগ্রেস। অপর একটি টুইটে
রাহুলের নেতৃত্বকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
আরেক নেতা অনিল শাস্ত্রীর মন্তব্য, রাহুল
গান্ধীর ইস্তফা দেয়া কোনো কাজের কথা নয়। ইস্তফা দেয়া মানে দায়িত্ব থেকে
পালিয়ে যাওয়া। বরং এই পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করে যেতে হবে।
প্রবীণ নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, নিজের
আশপাশে রাহুল যাদের রেখেছেন, তারাই ভুল পরামর্শ দিয়েছেন। এসব ভুল নিয়ে নতুন
চিন্তাভাবনা করে এগোতে হবে।
নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পাশাপাশি
আমেথিতে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজয়ও রাহুলের জন্য বড় এক আঘাত হিসেবে এসেছে।
২০০৪ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে আমেথির আসনটি এতদিন রাহুলের দখলেই
ছিল।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়