নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত শুক্রবার কুওরগড়ি গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা দুদু মিয়া (৪০) নিহতের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় মামলা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের একদিন পর শনিবার নিহত ইউপি সদস্য দুদু মিয়ার বড় ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত মুবেশ্বর আলীর পুত্র চাচা রকিব আলীকে প্রধান আসামী করে এবং একই গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র নাসির উদ্দিন কে ২নং ও রকিব আলীর পুত্র আব্দুর রহিম, নিজাম উদ্দিন ও আফতাব উদ্দিন সহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কুওরগড়ি গ্রামের মৃত তফজ্জুল আলীর পুত্র ইউপি সদস্য আ’লীগ নেতা দুদু মিয়া নিহতের ঘটনায় কানাইঘাট থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায় ইতিমধ্যে হত্যা মামলার ৭আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) একই গ্রামের সাবাব উদ্দিন কে ইভটিজিংয়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যজিস্ট্রেট তারেক মুহাম্মদ জাকারিয়া। পরদিন শুক্রবার গ্রামের মসজিদে জুমা’র নামাজের পর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে সাবাব উদ্দিনের সাজার জন্য ইউপি সদস্য দুদু মিয়া কে দায়ী করে তার চাচা রাকিব আলী এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রাকিব আলী গংদের সাথে দুদু মিয়া পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ইউপি সদস্য দুদু মিয়া সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন। আহত অবস্থায় দুদু মিয়া কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এনিয়ে বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী অবিলম্বে হত্যাকান্ডে সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়