ডেস্ক :
স্কোরকার্ডে লেখা আছে
তামিম ইকবাল করেছেন ৪ বলে ২ রান। কিন্তু সংখ্যার সাধ্য কি এমন একটা ইনিংসের
মহিমা বোঝানোর? তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অনেক রেকর্ডই নিজের করে
নিয়েছেন, কিন্তু নিজের এই ইনিংসটা ছাড়িয়ে গেছে অনেক বড় ইনিংসকেও। ম্যাচ
শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহিমও তাই বন্দনা করেছেন তামিমের।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১৩৭ রানে জয়ে তাই আলাদা করেই লেখা থাকবে তামিমের নাম।
সাত উইকেটের পড়ার সময়ও যাকে টিভি পর্দায়
দেখা গেছে হাতে স্লিং ঝুলিয়ে বসে আছেন, তিনিই সবাইকে হতভম্ব করে নেমে গেলেন
৯ উইকেট পড়ার পর। বাঁ হাত দিয়ে তো অনেক ম্যাচত জিতিয়েছেন দলকে, এবার ডান
হাতে খেললেন একটা বল। মুশফিকুর রহিম এরপর জোয়ালটা তুলে নিলেন নিজের কাঁধে।
তামিমকে আর কোনো বল খেলতে হলো না, এরপর শেষ উইকেটে মুশফিক একাই নিলেন ৩২
রান। তার চেয়েও বড় কথা, তামিমের ওই ইনিংসটা বাংলাদেশকে এমনই একটা টনিক দিল,
যেটার জোরে শ্রীলঙ্কা উড়ে গেল খড়কুটোর মতো।
খেলার বিরতির সময়ই মুশফিকুর রহিম বলেছেন,
তামিমকে নেমে পড়তে নেমে নিজেও বেশ অবাক হয়েছেন। আর মাশরাফি বিন মুর্তজা
তাকে যে সার্টিফিকেট দিয়েছেন এরপর আসলে আর কিছু বলার নেই, ‘মানুষের ওকে
সবসময় মনে রাখা উচিত।’ মাশরাফি তামিমের এই ইনিংস থেকেই এখন অনুজদের প্রেরণা
নিতে বলছেন, ‘যেভাবে সিনিয়ররা পারফর্ম করছে সেটা অবশ্যই দারুণ ব্যাপার,
জুনিয়রদেরও এখন সামনে এগিয়ে আসতে হবে।’ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবার
বলেছেন, 'শুধু তামিমের সিদ্ধান্ত তামিম ভালো বলতে পারবে। ওর ওপর ছেড়ে দেওয়া
যাবে। তামিমকে এই ম্যাচের জন্য মনে রাখা উচিত। ওর ক্যারিয়ারেরও ব্যাপার
ছিল। ছোট্ট করে আসলে কী বলব বুঝতে পারছি না। আমি শুধু বলব, ‘হ্যাটস অফ
তামিম’।'
মুশফিকের ইনিংসটা তার নিজের তো বটেই,
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরাগুলর ছোট্ট তালিকায়ও থাকবে। তামিমের শেষের
দিকে সঙ্গ দেওয়াটা তাকেও দারুণ প্রেরণা দিয়েছে, 'তামিককে দেখে প্রেরণা
পেয়েছি আমি, আমারও ভালো কিছু করতে হবে। ওর জন্য আর দেশের জন্য।'
কিন্তু তামিম তখন মাঠে নামার আগে ঠিক কী ভেবেছিলেন? সেই ভাবনাও নিশ্চয় জানা যাবে শিগগিরই!
সূত্র: প্যাভিলিয়ন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়