Friday, October 27

সাতবাঁক ইউপিতে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট থানা পুলিশের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল ৫টায় মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সাতবাঁক ইউপি বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং সভা ইউপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মস্তাক আহমদ পলাশের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য আলহাজ¦ শাব্বির আহমদের পরিচালনায় সভায় মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক এম.এ হান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতবাঁক ইউপি বিট ও কমিউনিটি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার থানার এস.আই মোঃ আবু কাওছার, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মৌলভীবাজার বিট রেঞ্জের অফিসার জহিরুল হক। বক্তব্য রাখেন, থানার এএসআই চন্দন, ইউপি সদস্য আব্দুন নুর, সাতবাঁক ইউপির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হারিছ। উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সদস্য আমিনুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, আলা উদ্দিন আলাই, সুজন চন্দ অনুপ, জসীম উদ্দিন, সহযোগী সদস্য মাহফুজ সিদ্দিকী, আহমেদুল কবির মান্না, মুমিন রশিদ সহ ইউপির সকল ওয়ার্ডের সদস্য ও বিট পুলিশিং কমিটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, সাতবাঁক ইউপিতে কোন ধরনের মাদক বেঁচাকেনা ও মাদক ব্যবসায়ী নেই। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রয়েছে। জঙ্গি-সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহ মুক্ত ইউনিয়নে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে মাঝেমধ্যে সাতবাঁক ইউপির বিভিন্ন সড়ক দিয়ে একধরনের মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক পাচার করে থাকে। পুলিশ তাদের ধরতে সক্রীয় রয়েছে। তিনি তার ইউনিয়নে তীর শীলং ও জোয়া খেলা বন্ধে এবং তীর খেলার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা অথবা যদি কোন সচেতন নাগরিক আটক করতে পারেন তবে তিনি সেই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা করেন। ইউপির বিট পুলিশিং কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আবু কাওছার বলেন, সাতবাঁক ইউপিতে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড অনেকটা কমে এসেছে। এতে সবাই বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিকে সহযোগিতা করছেন। পুলিশ ও জনতার মধ্যে সমন্বয় থাকলে যে কোন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা সম্ভব। চরিপাড়া স্কুলে সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রমে প্রাথমিক ভাবে ছাত্রীটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়