কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বরিশালের ৬টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ,
বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন এর অর্ধশতাধিক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু
করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এতে
করে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। বরিশাল
মহানগর ও জেলার ১০টি উপজেলা নিয়ে এই ৬টি সংসদীয় আসন।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। বরিশাল আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে তার ওই আসন থেকে অন্য কোনো দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নেই বলে তার অনুসারীরা দাবি করছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম স্বজল।
এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমানের নাম আলোচনায় আছে। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এককভাবে নির্বাচন করলে এ আসনে সম্ভাব্য প্রর্থী তালিকায় রয়েছেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) গৌরনদী উপজেলার সভাপতি ইউনুস বেপারী এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার সভাপতি সরদার হারুন রানা। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মেহেদী হাসান রাসেল।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। ইউনুস ছাড়াও দলের সমর্থন পেতে প্রার্থিতার দৌড়ে আছেন আওয়ামী লীগের হাফ ডজন নেতা। সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহে আলম, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দার, বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ফাইয়াজুল হক রাজুর নাম মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন সান্টু, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস খান ও সাবেক হুইপ শহীদুল হক জামাল।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থিতা নিয়ে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও উজিরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি মিজানুর রহমান। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা নেছার উদ্দিন এর নাম এলাকায় আলোচনায় আছে।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য সাবেক অতিরিক্ত সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগের কেন্দ্রীয়সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দার, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল ও মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ বারী।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব ছাবি উদ্দিন। এ ছাড়া উত্তর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুলাদী উপজেলা সভাপতি সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার খান মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এ আসনে এবার ইসলামী আন্দোলনের উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম আলোচনায় রয়েছেন।
জোটভুক্ত নির্বাচন হলে এ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান এমপি জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ব্যক্তিগত সহকারী আতিকুর রহমান আতিক।
তবে এ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে মরিয়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ)। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মুন্সী ও মুলাদী উপজেলার জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুন।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান এমপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজালুল করিম।
এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী শাহ মুহাম্মদ আবুল হোসাইন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ এছহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মনোনয়ন পেতে লবিং করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এছহাক ভূইয়া ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী সম্পাদক হারুন আর রশিদ। জোটবদ্ধভাবে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল পূর্ব জেলার মজলিশে সুরার সদস্য সাইফুর রহমান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর লবিং করছেন।
বরিশাল-৫ আসন (মহানগর-সদর) বিশেষ মর্যাদার বলে সমাদৃত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমান গুরুত্ব দিচ্ছে আসনটি নিজেদের ঘরে নিতে। ক্ষমতাসীন দল থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচিতরা হলেন, বরিশাল সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনের সহধর্মিণী জেবুন্নেছা আফরোজ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আ’লীগ নেতা এ্যাড: বলরাম পোদ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ (বীরবিক্রম), মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল।
এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত নব্বইয়ের দশক থেকেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার সদর আসনে বরাবরের মতো বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী। এ আসনে এখন পর্যন্ত তার প্রতিদ্বন্দি কারো নাম জানা যায়নি। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ দলের প্রার্থী হয়েছিলেন দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসনে প্রার্থী হবার কথা জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম সদর আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) বরিশাল জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে আভাস দিয়েছেন।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য মেজর জেনারেল আবদুল হাফিজ মল্লিক (অব.), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল হক চুন্নু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া, সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রশীদ খান, প্রয়াত সাবেক এমপি মাসুদ রেজার সহধর্মিণী জেলা পরিষদ সদস্য আইরিন রেজা ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।
এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হোসেন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদ হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার হোসেন (অব.)। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মোঃ নাসির উদ্দিন ডাকুয়া।
জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রেসিডিয়াম সদস্য বতর্মান এমপি নাসরিন জাহান রত্না আমিন। জাতীয় পার্টি একক নির্বাচন করলেও এ আসনে প্রার্থী হবেন তিনি। এ ছাড়া ১৪-দলীয় জোটভুক্ত নির্বাচন হলে এ আসনে জোটের মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় জাসদ নেতা মো. মহসীন। অন্যদিকে চরমোনাইর পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৬টি সংসদীয় আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোর জন্যই বিএনপির প্রস্ততি আছে। বিএনপি যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে দলের নেতাকর্মীদের পদে পদে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন বাধাগ্রস্ত করছে। হামলা, মামলা ও হয়রানি বন্ধ হয়নি এখনও। তাই নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের বিকল্প দেখছে না বিএনপি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ একটি দল। তাই দলে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাও বেশি। তবে জনসমর্থন, জনপ্রিয়তা ও প্রহণযোগ্যতার বিচারে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে কেন্দ্র। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। বরিশাল আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে তার ওই আসন থেকে অন্য কোনো দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নেই বলে তার অনুসারীরা দাবি করছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম স্বজল।
এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমানের নাম আলোচনায় আছে। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এককভাবে নির্বাচন করলে এ আসনে সম্ভাব্য প্রর্থী তালিকায় রয়েছেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) গৌরনদী উপজেলার সভাপতি ইউনুস বেপারী এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার সভাপতি সরদার হারুন রানা। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মেহেদী হাসান রাসেল।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। ইউনুস ছাড়াও দলের সমর্থন পেতে প্রার্থিতার দৌড়ে আছেন আওয়ামী লীগের হাফ ডজন নেতা। সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহে আলম, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দার, বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ফাইয়াজুল হক রাজুর নাম মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন সান্টু, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস খান ও সাবেক হুইপ শহীদুল হক জামাল।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থিতা নিয়ে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও উজিরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি মিজানুর রহমান। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা নেছার উদ্দিন এর নাম এলাকায় আলোচনায় আছে।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য সাবেক অতিরিক্ত সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগের কেন্দ্রীয়সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দার, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল ও মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ বারী।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব ছাবি উদ্দিন। এ ছাড়া উত্তর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুলাদী উপজেলা সভাপতি সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার খান মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এ আসনে এবার ইসলামী আন্দোলনের উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম আলোচনায় রয়েছেন।
জোটভুক্ত নির্বাচন হলে এ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান এমপি জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ব্যক্তিগত সহকারী আতিকুর রহমান আতিক।
তবে এ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে মরিয়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ)। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মুন্সী ও মুলাদী উপজেলার জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুন।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান এমপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজালুল করিম।
এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী শাহ মুহাম্মদ আবুল হোসাইন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ এছহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মনোনয়ন পেতে লবিং করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এছহাক ভূইয়া ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী সম্পাদক হারুন আর রশিদ। জোটবদ্ধভাবে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল পূর্ব জেলার মজলিশে সুরার সদস্য সাইফুর রহমান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর লবিং করছেন।
বরিশাল-৫ আসন (মহানগর-সদর) বিশেষ মর্যাদার বলে সমাদৃত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমান গুরুত্ব দিচ্ছে আসনটি নিজেদের ঘরে নিতে। ক্ষমতাসীন দল থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচিতরা হলেন, বরিশাল সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনের সহধর্মিণী জেবুন্নেছা আফরোজ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আ’লীগ নেতা এ্যাড: বলরাম পোদ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ (বীরবিক্রম), মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল।
এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত নব্বইয়ের দশক থেকেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার সদর আসনে বরাবরের মতো বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী। এ আসনে এখন পর্যন্ত তার প্রতিদ্বন্দি কারো নাম জানা যায়নি। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ দলের প্রার্থী হয়েছিলেন দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসনে প্রার্থী হবার কথা জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম সদর আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) বরিশাল জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে আভাস দিয়েছেন।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য মেজর জেনারেল আবদুল হাফিজ মল্লিক (অব.), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল হক চুন্নু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া, সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রশীদ খান, প্রয়াত সাবেক এমপি মাসুদ রেজার সহধর্মিণী জেলা পরিষদ সদস্য আইরিন রেজা ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।
এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হোসেন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদ হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার হোসেন (অব.)। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মোঃ নাসির উদ্দিন ডাকুয়া।
জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রেসিডিয়াম সদস্য বতর্মান এমপি নাসরিন জাহান রত্না আমিন। জাতীয় পার্টি একক নির্বাচন করলেও এ আসনে প্রার্থী হবেন তিনি। এ ছাড়া ১৪-দলীয় জোটভুক্ত নির্বাচন হলে এ আসনে জোটের মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় জাসদ নেতা মো. মহসীন। অন্যদিকে চরমোনাইর পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৬টি সংসদীয় আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোর জন্যই বিএনপির প্রস্ততি আছে। বিএনপি যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে দলের নেতাকর্মীদের পদে পদে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন বাধাগ্রস্ত করছে। হামলা, মামলা ও হয়রানি বন্ধ হয়নি এখনও। তাই নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের বিকল্প দেখছে না বিএনপি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ একটি দল। তাই দলে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাও বেশি। তবে জনসমর্থন, জনপ্রিয়তা ও প্রহণযোগ্যতার বিচারে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে কেন্দ্র। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: বিডি লাইভ।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়