Thursday, March 23

কানাইঘাটে বিরোধপুর্ণ ভুমিতে সমিল স্থাপন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট মন্তাজগঞ্জ বাজারের সুরতুন্নেছা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিরোধপুর্ণ ভুমিতে খোলা জায়গায় একটি  স'মিল স্থাপন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে বাজার এলাকায় যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে বাজারে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মন্তাজগঞ্জ বাজারে নারাইনপুর মৌজার জেএল নং- ২৪০, এসএ খতিয়ান নং- ১০, দাগনং- ১৪, পরিমান ৮ শতক জমির উপর স্থানীয় ছোটফৌদ গ্রামের মৃত হাজী ফয়জুর রহমানের পুত্র হারিছ উদ্দিন (৩২) একটি  স'মিল বসানোর পায়তারা করলে উক্ত ভুমি খন্ডটি নিজেদের মালিকানা দাবী করে একই গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র শফিকুল হক (৫৫) বাদী হয়ে হারিছ উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে সিলেটের কানাইঘাট আদালতে বিবিধ মোকদ্দমা নং- ০৬/২০১৭, ধারা- ১৪৪ কার্যবিধি আইনে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত ৮ শতক জমির উপর সব ধরনের স্থাপনা বন্ধ করার জন্য কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে ৮ শতক জমির উপর সব ধরনের স্থাপনার কাজ বন্ধ এবং শান্তি শৃংখলা রাক্ষর্থে উক্ত জায়গার উপর কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ ১৪৪ জারী করেন। পরবর্তীতে এএসআই আব্দুল মন্নান গত ১৪ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে  স'মিল স্থাপনকারী হারিছ উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের আগামী ৫/৪/২০১৭ইং তারিখ স্ব-স্ব বৈধ কাগজপত্র সহ বিজ্ঞ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু আদালত ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে হারিছ উদ্দিন প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বেআইনী ভাবে উক্ত জায়গার উপর খোলা আকাশের নিচে সমিল স্থাপন এবং ঘর নির্মান করে যাচ্ছে। এব্যপারে থানা পুলিশকে অবহিত করার পরও হারিছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে জমির মালিক মামলার বাদী শফিকুল হক জানিয়েছেন। ভুমি খন্ডটি উভয় পক্ষ মালিকানা দাবী করায় উত্তেজনা বিরাজ করায় থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী। দ্রুত এব্যাপারে অপরদিকে হারিছ উদ্দিন জানিয়েছেন তিনি ভুমি খন্ডটির বৈধ মালিক বিধায় সেখানে বন বিভাগে আবেদন করে সমিল স্থাপন সহ ঘর নির্মান করছেন। অযতা শফিকুল হক গংরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমার মামলা রয়েছে। তবে উপজেলা বিট কর্মকর্তা আবু সাইদ জানিয়েছেন হারিছ উদ্দিন সমিল স্থাপনের জন্য বন বিভাগ বা প্রশাসনের কোন অনুমতি নেননি। বেআইনী ভাবে সমিল স্থাপন করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানোগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কানাইঘাট থানার এএসআই আব্দুল মন্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কোন পক্ষ যদি সমিল কিংবা কোন ধরনের স্থাপনা নির্মান করার চেষ্ঠা করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানোগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়