নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরির্দশন করেছেন কানাইঘাট উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগম। সোমবার তিনি সরেজমিনে পাথর কোয়ারী এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান লোভাছড়ার পাথর মহাল এলাকা আমি ঘোরে দেখেছি। কোন ধরনের যান্ত্রিক মেশিন দিয়ে এখান থেকে পাথর উত্তোলন আমার চোখে পড়েনি। ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে কেউ পাথর উত্তোলন করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাথর কোয়ারী এলাকায় পরিবেশ বিরোধী কোন ধরনের কর্মকান্ড এবং পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে যাতে করে কোন শ্রমিকের আর প্রাণ হানি না ঘটে এজন্য শীঘ্রই পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং মহালের ইজারাদারকে নিয়ে আমি বৈঠক বসব। পাথর কোয়ারী পরিদর্শনের সময় নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগমের সাথে উপস্থিত ছিলেন, মহালের ইজারাদার জেলা আ’লীগ নেতা কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম। পাথর মহালের ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ জানান, তিনি লোভাছড়া পাথর মহালটি ১৪২৩ ও ১৪২৪ বাংলার জন্য ইজারা নেন। কিন্তু মহালের ১৬৩ হেক্টর জমির মধ্যে ৫০ হেক্টরও তার ভোগ দখলে নেই বলে দাবী করেন তিনি। মহালের বড়গ্রাম, সতিপুর, নেহালপুর, কুকুবাড়ি, লোভাছড়া মৌজায় কোন পাথর উত্তোলন করতে তিনি পারছেন না। যার কারনে তিনি মহালটির ইজারা এনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রসজ্ঞত যে, লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে বিভিন্ন সময়ে ইজারার শর্ত লংঘন করে পাথর উত্তোলন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর এ কোয়ারীতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটে থাকে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়