Thursday, August 4

অলিম্পিকের ইতিহাসে সেরা ১০ গোল (ভিডিও)


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিকের আসরে ফুটবলের আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবারের ফুটবল আসর একটু বেশিই আলোচনায় রয়েছে। কারন এবারের আসর বসেছে ব্রাজিলে। শুক্রবার রাতেই পর্দা উঠছে বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় ও জমজমাট আসর অলিম্পিক গেমসের। এবারের গ্রীষ্মকালীন আসরের আয়োজক দেশ ব্রাজিল। শত বছরের এই পুরনো টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের প্রত্যাশার ক্ষেত্র ফুটবলকে ঘিরেই। অলিম্পিকে অধরা সোনা জিততে এবার সেরাটা দিতে বদ্ধপরিকর ফুটবলে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বহুমুখী খেলার আসর অলিম্পিকে ফুটবলের উপর ক্রীড়ামোদিদের আকর্ষণটা একটু বেশিই থাকে। তাছাড়া এবারের আসরটি ফুটবলের উর্বরভূমি ব্রাজিলে হওয়ায় ফুটবল নিয়ে একটু বেশি মাতামাতি হচ্ছে। অলিম্পিকে পুরুষ ফুটবলের পথচলা শুরু হয় প্যারিসে অনুষ্ঠিত ১৯০০ সালের আসরের মধ্য দিয়ে। সময়ের পরিবর্তনে এই টুর্নামেন্টে মহিলারাও ফুটবল খেলার সুযোগ পায়। অলিম্পিক ফুটবলের পথপরিক্রমায় ইতিহাসের বুকে জায়গা করে নেওয়ার মতো অনেক চমৎকার গোল করেছেন সময়ের সেরা তারকারা। রিও আসরকে সামনে রেখে অলিম্পিকের ইতিহাসের সেরা ১০ টি গোলের বিবরণ তুলে ধরেছে স্প্যানিশ জনপ্রিয় ফুটবল ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’। ১০. জেজকো ম্যাথুস : দুর্দান্ত সব ফ্রি কিকের জন্য তাকে ডাকা হতো যুগোস্লাভিয়া ফুটবলের মিসাইল ম্যান নামে। ১৯৬০ সালের অলিম্পিক আসরে ডেনমার্ককে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জেতে যুগোস্লাভিয়া। ওই ম্যাচে মাঠের বাম প্রান্ত থেকে নেওয়া তার একটি কর্নার শট কারো স্পর্শ ছাড়াই ডেনমার্কের গোলপোস্টের ডান প্রান্ত দিয়ে জালে প্রবেশ করে। ওই গোলটিকে অলিম্পিক ইতিহাসের সেরা দশ নম্বর গোল বলে বিবেচনা করা হয়। ৯. কার্লোস তেভেজ : ২০০৪ সালের অলিম্পিক আসরে সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইতালিকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজের একটি গোলকে অলিম্পিক ইতিহাসের সেরা ৯ নম্বর গোল মনে করা হয়। ৮. জার্গেন ক্লিন্সম্যান : অলিম্পিক ইতিহাসের সেরা ৮ নম্বরে রয়েছে ক্লিনসম্যানের গোলটি। যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিকে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করে পূর্ব-জার্মানি। ওই আসরে জাম্বিয়ার বিপক্ষে করা তার গোলটি অলিম্পিকে সেরা ৮ নম্বর গোলের তালিকায় ঠাঁই পায়। ৭. সান কিজমি : অলিম্পিকে নারী ফুটবল শুরুর পর থেকে সেরা গোলগুলোর মধ্যে সান কিগমির গোলটি অন্যতম। ১৯৯৬ সালে অলিম্পিকে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন এই নারী ফুটবলার। বাম প্রান্ত থেকে ব্রাজিলের গোলপোস্ট লক্ষ্য তার লম্বা ফ্রি-কিকের গোলটি অলিম্পিকের সেরা গোলের তালিকায় ৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। ৬. ফ্লাভিও কনসেইকা : ১৯৯৬ অলিম্পিকে ব্রাজিলের সবচেয়ে সুন্দরতম গোল হিসেবে গন্য করা হয় তার গোলটিকে। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল বুকে নামিয়ে কনসেইকাকে দেন জুনিনহো। আর সেই পাস ধরে প্রতিপক্ষ দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান কনসেইকা। ৫. নেইমার : এবারের ঘরের মাঠের অলিম্পিকে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় আশা ভরসার নাম নেইমার। অলিম্পিকে এখনো সোনা জিততে না পারলেও নেইমারের একটি গোল ইতিমধ্যে অলিম্পিক ইতিহাসের সেরা পাঁচে জায়গা পেয়েছে। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে চমৎকার এক ফ্রি কিকে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান নেইমার। ৪. রাউল গঞ্জালেস : রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৩২৩ গোল করে ইতিহাস তৈরি করলেও রাউল গঞ্জালেরসের সেরা গোলটা বোধহয় এসেছে ১৯৯৬ অলিম্পিক আসরে। ১৯৯৬ সালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার দুর্দান্ত একটি গোল অলিম্পিক ইতিহাসের সেরা চারে রয়েছে। ৩. পোর্তিয়া মোদিসে : ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে এই নারী ফুটবলারের গোলটি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। ওই আসরে সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে ৪০ মিটার দূর থেকে দারুণ এক শটে দক্ষিণ আফ্রিকা ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভাসান পোর্তিয়া মোদিসে। ২. জাসেম সুলতান : মস্কো অলিম্পিকে অসাধারণ এক গোলের জন্য অলিম্পিকের সেরা দুই নম্বর গোলদাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় জাসেম সুলতানকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে ওই অলিম্পিক ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল কুয়েত। কিন্তু ওই ম্যাচে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল অসাধারণ দক্ষতায় বুক দিয়ে থামান জাসেম সুলতান। তারপর সেই বল মাটিতে পরার আগেই চমৎকার একটি ভলিতে সোভিয়েতের জালে পাঠান তিনি। ১. অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া : ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে সোনা জিতে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল মেসি-ডি মারিয়ারা। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ওই ম্যাচে ডি মরিয়ার একমাত্র গোলেই সোনা জিতে আলবিসেলেস্তেরা। ওই ম্যাচে ডি মারিয়ার গুরুত্বপূর্ণ চিপ শটে অলিম্পিকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বর্ণ জয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্টাইনরা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়