Thursday, June 16

পাপমুক্ত জীবনের হাতছানি


জহির উদ্দিন বাবর: বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে রমজানে নিজেকে পাপমুক্ত রাখা সহজ। রমজানে বান্দা যখন বিগত দিনে কৃত পাপ থেকে তওবা করেন তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। বান্দার বিনীত প্রার্থনা ছাড়া আল্লাহ সাধারণত ক্ষমা করেন না। এজন্য রমজানে চাই বেশি বেশি তওবা এবং আল্লাহর কাছে নিজেকে পুরোপুরি সোপর্দ। তওবা কবুল হওয়ার জন্য সাধারণত তিনটি শর্ত-অন্যায় পরিত্যাগ করতে হবে, পাপের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে এবং পুনরায় সেই কাজ না করার অঙ্গীকার করতে হবে। তবে যদি বান্দার হক নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে সে ব্যক্তির সঙ্গে বিষয়টি সুরাহা করার পর এ তিনটি শর্ত পালন করতে হবে। সেই ব্যক্তির হক পরিশোধ করে কিংবা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পরই তওবার তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। বান্দার হক আদায় না করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেও তা কবুল করা হবে না। বস্তুত বান্দার দুর্বলতা সম্পর্কে আল্লাহর জানা আছে বলে তিনি চান বান্দার সামান্য অনুভূতি। নিজের অন্যায়কে স্মরণ করে মানুষ যখন অনুতপ্ত হয় এবং মহান আল্ল¬াহর কাছে ক্ষমা চায় তখন তিনি ক্ষমা না করে পারেন না। শুধু তাই না, তওবাকারী বান্দার প্রতি তিনি আনন্দিতও হন। রমজান হলো তওবা কবুলের মাস। রমজানের প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। অন্য মাসগুলোর তুলনায় রমজানে আরও সহজে বান্দার তওবা কবুল হয়। এ মাসে যে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন তাকে ক্ষমা করা হবে বলে আল্লাহর নবী (সা.) ঘোষণা করেছেন। তাই রমজানে নিজেকে পরিচ্ছন্ন ও পাপমুক্ত করার জন্য তওবা ও ইস্তেগফারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা এবং এদিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। কোনো মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, কারও জীবন, সম্পদ বা সম্মানে আঘাত করে থাকলে প্রথমে তার কাছেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকলে এখনই তা পরিত্যাগ করতে হবে। কারও সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করে রাখলে অবিলম্বে তা ফেরত দিতে হবে। এরপর নিজের মধ্যে অনুশোচনাবোধ সৃষ্টি হলে আল্লাহ তায়ালা বিগত দিনের গোনাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। অতীতে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়ে থাকলে আবার তওবা করতে হবে। তওবা ভঙ্গ হয়ে গেলেও আবার তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করবেন। বান্দার বার বার গোনাহ এবং তওবার দ্বারাও আল্লাহ বিরক্ত হন না। আল্লাহ চান বান্দা যত অবাধ্যই হোক এক সময় তার দরবারে ফিরে আসুক।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়