Friday, April 17

গরমে কোন ফল বেশি খাবেন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ডাবের পানি গরমে ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। শুধু পানীয় হিসাবেই নয় গবেষকরা বলছে ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে কিছু ওষুধিগুণও। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে । বমি কারনে দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ডাবের পানি খেলে পটাশিয়ামের এ ঘাটতি পূরণ হয়। তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির জন্য ডাবের পানি পথ্যের মতই কাজ করে। সম্প্রতি ভারত ও ব্রাজিলের এক গবেষকরা ডাবের পানির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন তিনটি নতুন ধরনের বিভিন্ন গুণসম্পন্ন পেপটাইজম। এগুলো মানবদেহে এন্টি বায়োটিক ওষুধের মতই কাজ করে। ডাবে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকার ফলে এটি বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার জন্যই উপকারি। উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম রয়েছে ডাবের পানিতে, যা হাড়কে করে মজবুত ও ত্বক, চুল, নখ ও দাঁতের পুষ্টি জোগায়। অন্যদিকে এতে চিনির পরিমাণও অল্প। তবে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি খাবেন। কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস চলছে, এ ধরনের রোগীদের ডাবের পানি না খাওয়াই ভাল। লেবু সারা বছরই আমরা হাতের কাছে লেবু পাই। এই লেবুতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম কাগজি বা পাতিলেবু থেকে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ভিটামিন সি ৬৩ মি. গ্রাম যা আপেলের ৩২ গুণ ও আঙ্গুরের দ্বিগুণ, ক্যালসিয়াম ৯০ মি. গ্রাম, ভিটামিন এ ১৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি ১৫ মি. গ্রাম, ফসফরাস ২০ মি. গ্রাম, লৌহ ৩ মি. গ্রাম। টাটকা লেবুর খোসাতেও পুষ্টি রয়েছে। প্রচন্ড গরমে ১ গস্নাস ঠান্ডা লেবুর শরবত দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং স্বস্তি ফিরে আনে। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই ভিটামিন দেহে সঞ্চিত অবস্থায় থাকে না, সেজন্য শিশু-বৃদ্ধ সকলকে প্রতিদিনই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। জ্বর, সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় লেবু অত্যন্ত কার্যকর। লেবুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। স্কার্ভি রোগ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি দেহের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতা বাড়ায়। লেবুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্টস হিসাবে কাজ করে দেহে ক্যান্সারসহ নানা ঘাত প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে। শিশুদের দৈনিক ২০ মি. গ্রাম ভিটামিন সি আবশ্যক। এ সময় ভিটামিন সি এর অভাব হলে তা শিশুর উপর প্রভাব পড়ে ফলে শিশুর দাঁত, মাঁড়ি ও পেশী মজবুত হয় না। তরমুজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমী ফল তরমুজ। তরমুজের বিভিন্ন প্রজাতি আছে। তার মধ্যে হাল্কা সবুজ, সাদা দাগবিশিষ্ট ও গাঢ় সবুজ রঙের তরমুজ প্রধান। রশালো সুস্বাদু এ ফলটি পুষ্টিগুনে ভরপুর। আসুন জেনে নেই আমাদের দেহে তরমুজের পুষ্টিগুণ- * এ ফলটি দেহের পানির ঘাটতি দূর করে। * তরমুজ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’র একটি ভালো উৎস। * তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামক উপাদান, যা শরীর সতেজ রাখে। * তরমুজ জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি কমায় এবং যক্ষ্মা নিরাময়ে সাহায্য করে। * পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তরমুজ প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, পেটের আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে * তরমুজে লাইকোপেন নামের এক ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা অন্ত্রের ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। * দেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া দেহ থেকে নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখে। * তরমুজের শরবত টাইপয়েড জ্বরের তীব্রতা কমাতে এবং জ্বর পরবর্তী অস্থিরতা ও ক্লান্তি দূর করে। * যারা রোদে কাজ করেন, বিভিন্ন কারণে রোদে সময় কাটাতে হয়, যাদের রৌদ্রের তাপজনিত ডিহাইড্রেশন হয়।এই ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করে তরমুজ। * তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ‘বি’। এ উপাদানগুলো দেহের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। * আমাদের শরীরে ফ্রি র‌্যাডিকেলস নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছে, যা দেহের শিরা-উপশিরায় কোলেস্টেরল বা চর্বি জমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিন্ডের রক্তনালিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্তও হতে পারে।আবার এটির জন্য অ্যাজমার সমস্যাও হতে পারে। তরমুজ এই ফ্রি র‌্যাডিকেলসের পরিমাণ কমায়।অন্যদিকে তরমুজে কোন কোলেস্টেরল নেই। আনারস এই গরমে সর্দি-কাশি এক সাধারণ সমস্যা।যারা সর্দি কাশিতে ভুগছেন তাদের জন্য সুখবর হলো সর্দি-কাশিতে আনারস খুবই উপকারি।গবেষণায় দেখা গেছে, আনারসের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের এনজাইম, যা কাজ করে ব্যাথানাশক এবং মিউকোলাইটিক হিসেবে। এ জন্য সর্দি-কাশি, গলাব্যথায় কার্যকরি ভুমিকা রাখে।শুধু আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্বেই সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসায় আনারসের খ্যাতি রয়েছে। মেক্সিকানরা ব্রংকাইটিস রোগে পথ্য হিসেবে খায় আনারস। ভেনিজুয়েলার বাসিন্দারা গলাব্যথায় ওষুধের বিকল্প হিসেবে খায় আনারস। ব্রাজিলিয়ানরাও দারুণ ভক্ত এ আনারসের। নাক দিয়ে পানি পড়লেই ফুটবলের ভক্ত এ ব্রাজিলিয়ানরাও খেতে থাকে আনারস। এছাড়াও আনারসে রয়েছে নানা ওষুধি গুন। এক আনারসে যদি পান এত গুন তবে কেন আনারস খাবেন না।তাই যারা সর্দি কাশিতে ভুগছেন তারা আজ থেকেই আনারস খাওয়া শুরু করতে পারেন। ডা.মহসীন কবির চেয়ারম্যান,স্মাইলএইজ বাংলাদেশ হেলথ কেয়ার লিমিটেড মহাখালী ডিওএইচএস,ঢাকা mohsinkabir13@gmail.com

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়