ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের আদেশে আজো সই করেননি সংশ্লিষ্ট বিচারপতিরা।
তবে রায়ের কপির খসড়া নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে।আজ রাতে রায়ের খসড়াটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে।বিচার প্রশিক্ষণ ও প্রশাসন ইন্সটিটিউটে থাকা প্রধান বিচারপতির কাছে খসড়াটি নিয়ে যান আপিল বিভাগরে একজন বিচারপতি।পরে সেখানে প্রধান বিচারপতি খসড়াটি ভালোভাবে পড়ে দেখেন।
প্রধান বিচারপতির দেখার পর যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকে তা সংশোধের পর তা প্রিন্ট হবে। এরপরই সংশ্লিষ্ট বিচারপতিরা তাতে স্বাক্ষর করবেন। এর পর রায়ের কপি যাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ করাগারে।
তবে যত দ্রুতই হোক না কেন আজ মঙ্গলবার তা কোনোভাবেই কারাগারে যাবে না।ফলে আজ রাতে ফাঁসির রায় কার্যকরের কোনো সুযোগ নেই। সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার আদেশে সই হতে পারে এবং পরে তা কারাগারে পৌঁছবে।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টিা পর্যন্ত ওই আদেশের কপিতে সই হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলামের বরাত দিয়ে কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী জানান,আগামীকাল বুধবার রায়ের কপিতে সই করতে পারেন বিচারপতিরা। তাদের সইয়ের পরই রায়ের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে। এর পরেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ খারিজের আদেশের কপি আমরা পাইনি। আদেশে সই হয়েছে কি না-এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার। তবে রিভিউ খারিজের আদেশে সই হওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে একটি করে রায়ের কপি পাঠানো হবে। আমাদের কাছেও রায়ের একটি কপি আসবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো কপি পাইনি।
রাষ্ট্রপতির কাছে জীবন ভিক্ষা চাইবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে তা পড়ে শোনানো হবে। এরপর তার সঙ্গে দেখা করে আমরা তার পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রিভিউয়ের রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ.এইচ.এম. শামসুদ্দিন চৌধুরী।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়