Thursday, April 30

প্রযুক্তির দিক নির্দেশনায় ইসলাম

প্রযুক্তির দিক নির্দেশনায় ইসলাম

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
মহান আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বা আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ। মানুষকে আল্লাহ অনেক ভালোবেসে তৈরি করেছেন এবং তার সব ধরনের প্রয়োজনও মিটিয়েছেন। মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে পৃথিবীতে আসার পর মানুষ যা ভোগ করে সব আল্লাহর বিশেষ দান। সুন্দর এই সৃষ্টি যখন পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তাদের সুপথে ফেরার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরণ করেন। আর যে যুগে যে জিনিসটির প্রভাব বেশি ছিল সেই প্রভাবিত জিনিসটির প্রভার দূর করতে আল্লাহ তায়ালা নবী রাসূলদের মুজিযা বা অলৌকিক বিষয় দান করেছিলেন। তবে একেক নবীকে একেক ধরনের মুজিযা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। যেমন, হজরত ঈসা (আ.) প্রেরিত হয়েছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির যুগে। আল্লাহতায়ালা তাকে অলৌকিক চিকিৎসা ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তিনি জন্মান্ধকে দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন করে তুলতে পারতেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আমি জন্মান্ধ ও শ্বেত-কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে তুলি। আর আমি আল্লাহর হুকুমে মৃতকে জীবিত করে দেই। (আল ইমরান: ৪৯)। হজরত মূসা (আ.) যখন নবী হিসেবে প্রেরিত হন তখন জাদু বিদ্যাচর্চার যুগ ছিল। আল্লাহতায়ালা তাকেও সেরকম মুজিযা দিয়েছেন। তিনি তার লাঠি মাটিতে ফেললে তা বিরাট অজগরে পরিণত হতো। বগলের নিচ থেকে হাত বের করলে তা প্রদীপ্ত ও উজ্জ্বল হয়ে যেত। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, তিনি তার লাঠি ফেললেন। তৎক্ষণাৎ জলজ্যান্ত অজগরে রূপান্তরিত হল। আর নিজের হাত বের করলেন, সঙ্গে সঙ্গে তা দর্শকদের চোখে ধবধবে উজ্জ্বল দেখাতে লাগল। (আরাফ ১০৮-৯)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবে সাহিত্যচর্চার যুগে রাসূল হিসেবে আবির্ভূত হন। আল্লাহতায়ালা তাকে সর্বোৎকৃষ্ট মুজিযা হিসেবে দিয়েছেন আল কোরআনুল কারিম। এ কোরআন সর্বোচ্চমানের সমৃদ্ধ সাহিত্য। অলংকার শাস্ত্রের বিবেচনায় অতুঙ্গ শৃঙ্গে তার অবস্থান। মানুষের পক্ষে এমনটি রচনা করা অসম্ভব। পবিত্র কোরআনেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে, কোরআনে সবচেয়ে ছোট সূরার মতো একটি সূরা রচনা করো তো দেখি। আরবের নামিদামি সব কবি-সাহিত্যিকরা একত্রিত হয়েও সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারেননি। কেয়ামত পর্যন্ত কেউ পারবেও না। মহান আল্লাহতায়ালার এ অমোঘ নীতি থেকে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, সমকালীন বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে অবজ্ঞা অবহেলা নয়, সত্য ন্যায়ের পথে তার যথোচিত ব্যবহারই আল্লাহর নির্দেশ। মহান আল্লাহ হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে যে পবিত্র কোরআন দিয়ে পাঠিয়েছেন তার পুরোটাই বিজ্ঞানময়। কিয়ামত পর্যন্ত কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েতের পথ প্রদর্শক। সর্বকালের বিজ্ঞানীদের জন্যও পথ নির্দেশক। পবিত্র কোরআনে কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েতের পথ প্রদর্শক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কেয়ামত পর্যন্ত এ কোরআনের অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার ও গবেষণা শেষ হবে না। পৃথিবীর বাস্তব ইতিহাস তার জ্বলন্ত সাক্ষী। পবিত্র কোরআনকে গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য বানিয়ে এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা অনেক বড় বড় আবিষ্কার করেছেন। সে সবের ফিরিস্তি ছোট পরিসরে তুলে ধরা সম্ভব নয়। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনেক মুজিযাই সম্পূর্ণ বিজ্ঞানময়। চন্দ্র বিদীর্ণকরণ ও মিরাজের ঘটনা তো বিজ্ঞানীদের অনেক গবেষণার দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে। সে পথে তারা অনেক দূর সফলভাবে এগিয়েছেন। অন্য আরও অনেক মুজিযা নিয়ে গবেষণা করলেও তারা আবিষ্কারের পথ খুঁজে পাবেন। অন্যান্য নবী-রাসূলদের অনেক মুজিযার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্রকৃতপক্ষে পবিত্র কোরআন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও অন্য নবী-রাসূলদের অনেক মুজিযাই বিজ্ঞানের এমন উচ্চ শিখরে আরোহণ করেছে কেয়ামত পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে সে পথ আরও প্রসস্ত করবেন। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় হজরত ঈসা (আ.) যেভাবে নিমেষেই জন্মান্ধ ও শ্বেত কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে তুলতেন বিজ্ঞানীদের পক্ষেও হয়তো একদিন তা করা সম্ভব হবে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেভাবে অতি সামান্য সময়ে বাইতুল্লাহ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে ঊর্ধ্ব থেকে ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ করে আবার বহাল তবিয়তে ফিরে এসেছেন, বিজ্ঞানীরা তাও হয়তো একদিন করতে পারবেন। ইসলাম কখনও বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে অবজ্ঞা করেনি। বরং সেদিকে পথ প্রদর্শন করেছে। যুগের বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে ইসলামের কাজে ব্যবহার করতে শিখিয়েছে, হজরত মুহম্মদ (সা.) এ ব্যাপারে একটি উদার অসংকোচ ঘোষণা দিয়েছেন। তোমাদের পার্থিব বিষয়ে বরং তোমরাই ভালো জান। সভ্য-শালীন জনকল্যাণকর যে কোনো আবিষ্কার এবং তার সঠিক ন্যায়ানুগ ব্যবহার অনুমোদন করা হয়েছে ইসলামে। বর্তমান বিশ্বের বিজ্ঞান প্রযুক্তির গগণচুম্বী উন্নতির প্রতিও তিনি ইঙ্গিত করে গেছেন। সেকালের আরব কবি তুরকার একটি পঙ্ক্তি তিনি মাঝে মধ্যেই আবৃত্তি করতেন। যার অর্থটা এমন, যুগ-জামানা তোমার সামনে এমন সব বিষয় প্রকাশ করে দেবে যা সম্পর্কে তুমি অজ্ঞ ছিলে। এমন লোক তোমার কাছে সংবাদ নিয়ে আসবে যাকে তুমি কোনো মজুরি দাওনি। সময়টা এখন প্রযুক্তির, কী ব্যক্তি জীবন, কী জাতীয় জীবন, প্রযুক্তি ছাড়া ভাবাই যায় না। ভাবছেও না কেউ। বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে কে কতটুকু আঁকড়ে ধরবেন সে প্রতিযোগিতা আজ সর্বত্র। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে এশিয়ার জীর্ণ কুটিরেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। নতুন এ মিলেনিয়ামে প্রযুক্তি যেন মানব জীবনের সবটুকু দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে। প্রযুক্তিকে অস্বীকার করলে প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে থাকলে ছিটকে পড়তে হবে সময় থেকে, মানে জীবন থেকে। ব্যক্তিগত বিষয়, চিকিৎসা, পড়ালেখা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসিয়াল কার্যক্রম, যোগাযোগ, সংবাদ আদান-প্রদান, বিনোদন- সবই এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর। প্রয়োজনের সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রতি বিষোদ্গার করা স্ববিরোধিতা বৈ কিছুই নয়। অনলাইনে আজ কি হচ্ছে না। চিকিৎসা, যোগাযোগ, গবেষণা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবই এখন অনলাইনে হচ্ছে। ইসলাম প্রচারের সব কাজও অনলাইনে হতে পারে। হচ্ছে না যে তাও কিন্তু নয়। হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের ও অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। নোংরা, অশ্লীল কাজে বিজ্ঞান প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে বলে অনেক সভ্য, সুশীল সমাজ ও ওলামায়েকেরাম পুরো বিজ্ঞান প্রযুক্তিকেই অগ্রাহ্য করছেন। কিন্তু এটা তো একটা প্রান্তিকতা। মানুষের ব্যবহারের গুণে বা দোষে বিজ্ঞান আশীর্বাদ বা অভিশাপ হতে পারে। বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে মহৎ কাজে, মানবতার কল্যাণে যেন ব্যবহার করা হয় সেদিকে আলেম সমাজ ও সুশীল সমাজকে সদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। হিরোশিমা, নাগাসাকিতে আণবিক শক্তি যে ধ্বংসলীলা ঘটিয়েছিল তার মাধ্যমে মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধন সম্ভব ছিল। বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে যে ধ্বংসযজ্ঞ, বিপর্যয়, অকল্যাণ এবং সভ্যতার বিনির্মাণ ও কল্যাণকর বিষয় উভয়বিধ কাজেই ব্যবহার করা যায় তা পবিত্র কোরআনেই উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, আমি নাযিল করেছি লৌহ। যাতে রয়েছে প্রচণ্ড রণশক্তি ও মানুষের কল্যাণ। (সূরা হাদীদ: ২৫)। এখন দেখার বিষয়, বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে মানবতার সার্বিক কল্যাণে সদ্ব্যবহার করে আমরা এগিয়ে যাব নাকি অকল্যাণ, অশ্লীলতা বেহায়াপনা ও ধ্বংসযজ্ঞে অপব্যবহার করে বিপর্যয় ডেকে আনব, নাকি পুরো বিজ্ঞানকেই অশ্লীলতার বাহন বলে পিছিয়েই থাকব। পৃথিবী কিন্তু প্রতিনিয়ত এগিয়েই চলেছে। আমরা পিছিয়ে থাকলেও পৃথিবী কিন্তু পিছিয়ে থাকবে না।
রাতেই গেজেট, দক্ষিণের তিন ওয়ার্ড বাদ

রাতেই গেজেট, দক্ষিণের তিন ওয়ার্ড বাদ


ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে । সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুদ্রণের জন্য সন্ধ্যায় তা বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। তবে সহিংসতার কারণে ঢাকা দক্ষিণের তিন ওয়ার্ডের (৮, ৩৪ ও ৫৩) নির্বাচন স্থগিত থাকায় ওই তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কারণে ওই তিন ওয়ার্ডের গেজেট প্রকাশিত হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশে সম্মতি দিয়েছে। গেজেট বিজি প্রেসে মুদ্রণের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব মিজানুর রহমান বলেন, বিজি প্রেসে নির্বাচিতদের গেজট প্রকাশের কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার রাতেই তা হাতে পাওয়া যাবে। কমিশন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গেজেট প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গেজেট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে এনে ভোটগ্রহণের চার ঘন্টা পর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা। ওই দিন রাতে পুনঃভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন তারা। ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আনিসুল হক। এ ছাড়া ৩৬ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১২ সংরক্ষিত কাউন্সিলর বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণে মেয়র হিসেবে সাঈদ খোকন, ৫৪ সাধারণ কাউন্সিলর এবং চট্টগ্রামে মেয়র পদে আ জ ম নাছিরসহ ৪১ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আইনানুযায়ী গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। অন্যথায় তাদের পদ আবারও শূন্য হয়ে যাবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করবেন নবনির্বাচিত মেয়ররা।
 কালামুখ প্যারাপাখি

কালামুখ প্যারাপাখি


ফরিদী নুমানঃ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সপরিবারে আবারো সুন্দরবন যাই। ২৩ ফেব্রুয়ারি আমাদের যাত্রার শেষদিন ভোরে হারবাড়িয়া খাল দিয়ে জাহাজ ধীরে-ধীরে চলছিল। ফারুক ভাই বললেন এ খালে দুষ্প্রাপ্য একটা হাঁস পাওয়া যায়, যেটা সুন্দরবনের আর কোথাও পাওয়া যায় না। আমি ক্যামেরা নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম এবং পেয়ে গেলাম কথিত সেই দুষ্প্রাপ্য হাঁসপাখিকে। কিন্তু পাখিটি হাঁস তো নয়ই, তার নিকটাত্মীয়ও নয়; বরং সারস, কালেম, কুট ও পানমুরগির ঘনিষ্ঠজন। ওই বিভ্রান্তিকর নাম ব্যবহার না করে বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ একে ‘প্যারাপাখি’ নামকরণ করেছে। কারণ পাখিটি মূলত প্যারাবনেই বাস করে। সুন্দরবনের বাঘ যেমন রহস্যময় তেমনি রহস্যময় এই ‘কালামুখ প্যারাপাখি’। ইংরেজিতে বলা হয় গধংশবফ Masked Finfoot. কিন্তু সুন্দরবনের জেলে ও বাওয়ালি একে বলে ‘হাঁসপাখি’, কেউ নাম দিয়েছে ‘গইলো হাঁস’। পৃথিবীতে মাত্র দুই জাতের প্যারাপাখি আছে, ‘কালামুখ প্যারাপাখি’ ও ‘আফ্রিকার প্যারাপাখি’। বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত সাতটি দেশের মুষ্টিমেয় কটি বাদা এলাকায় কালামুখ প্যারাপাখি টিকে আছে। সারা পৃথিবীতে কেবল গুটিকতক স্থানে এ পাখিরা বসবাস করে। বর্তমানে সুন্দরবনই সম্ভবত পাখিটির বৃহত্তম আবাস। পৃথিবীর মাত্র ৩৩ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এদের বিস্তৃতি। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে ক্রমেই কমছে এবং এদের পূর্ববর্তী কয়েকটি বিচরণস্থলে সম্ভবত এরা বিলুপ্ত। সে কারণে আইইউসিএন প্রজাতিটিকে বিপন্ন বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত। পৃথিবীতে মোট কালোমুখ প্যারাপাখির সংখ্যা আনুমানিক ৬০০ থেকে ১৭০০টি বলে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখ করেছে। আবার আরেকটি হিসাবে প্রজাতিটির সদস্য সংখ্যা ১০০০-এর কম বলে ধারণা করা হয়েছে। প্যারাপাখি দূর থেকে দেখে সহজেই হাঁস বলে ভুল হতে পারে; আকারে-প্রকারে পাতিহাঁসের সঙ্গে এর কিছু মিল আছে। তবে এর বিশাল হলুদ ঠোঁট বেশ চোখা, হাঁসের মতো চেপ্টা নয়। এর লম্বাটে সবুজ পায়ের প্রতিটি আঙুলে বিচ্ছিন্ন পর্দা আছে, হাঁসের মতো পর্দা দিয়ে আঙুলগুলো জোড়া নয়। ছেলে ও মেয়ে প্যারাপাখির আকার ও রঙে পার্থক্য আছে। মেয়ের চেয়ে ছেলে বড়। মেয়ের ওজন আধা কেজির কম, ছেলের ওজন পৌনে এক কেজি। মেয়ের গলার পালক সাদা, ছেলের ঘন কালো।
কাদামাটিতে হেঁটে অথবা তীরসংলগ্ন পানিতে সাঁতার কেটে প্যারাপাখি মাছ, মাডিস্কপার, চিংড়ি ও পোকা শিকার করে। মানুষ দেখলে প্যারাপাখি খুব দ্রুত পানিতে দেহ ডুবিয়ে ফেলে অথবা বনের মধ্যে গা ঢাকা দেয়। বাঘের মতো নিভৃতচারী এ পাখি কখনো দলবেঁধে বাস করে না, একাকী বিচরণ করে এবং কেবল প্রজননের সময় জোড়া বাঁধে। পানির কাছে ঝুঁকে থাকা গাছের সমান্তরাল ডালে পাতা দিয়ে বাসা বানিয়ে বর্ষাকালে প্যারাপাখি চার-ছয়টি ডিম দেয়। বাঘের মতো প্যারাপাখিকেও সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশে আর কোথাও দেখা যায় না। এ দেশে বাঘের সংখ্যা তবু মোটামুটি জানা আছে, কালামুখ প্যারাপাখির সংখ্যা অজানা। অধিকাংশ পর্যবেক্ষকের ধারণা, এদেশে বাঘের চেয়েও প্যারাপাখির সংখ্যা কম; পাখিটি চোখে দেখেছেন এমন পাখিবিদের সংখ্যা আরো কম। বাগেরহাট ও খুলনা জেলার সুন্দরবনের দক্ষিণে মানুষের আনাগোনা কম এমন নিভৃত খালের পাড়েই অধিকাংশ প্যারাপাখির বাস; বনের উত্তরে ও পশ্চিমে পাখিটি কমই চোখে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে প্যারাপাখির দেখা একেবারেই মেলে না। পৃথিবীর কোনো চিড়িয়াখানায় কালামুখ প্যারাপাখি নেই। সুন্দরবনের বাঘ গবেষণার মতোই দীর্ঘক্ষণ ধরে প্যারাপাখি পর্যবেক্ষণ করাও দুঃসাধ্য কাজ। ফলে পাখিটি সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব রয়েছে। ‘তথ্যের অপ্রতুলতার বিচারে কালামুখ প্যারাপাখির মতো পাখি পৃথিবীতে কমই আছে’- এ মন্তব্য করা হয়েছে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল প্রণীত ‘হ্যান্ডবুক অব দ্য বার্ডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এ। প্যারাপাখির বিচরণভূমির বৈশিষ্ট্য, আহার্য-তালিকা, পূর্বরাগ, প্রজনন-সফলতা ও ছানার জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বহু তথ্য এখনো মানুষের অজানা। অদূর ভবিষ্যতে পাখিটির বিলুপ্তি রোধ করার জন্য ওই সব তথ্য সংগ্রহে দেশের দক্ষ গবেষকদের উৎসাহ দেওয়া জরুরি বলে পাখিপ্রেমীরা মনে করেন। এ দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহজেই এ বিষয়ে গবেষণা হতে পারে। সুন্দরবনের অনন্যসাধারণ পাখিটি সংরক্ষণে বন বিভাগেরও বিশেষ উদ্যোগ থাকা উচিত। বৈশ্বিক সংকটাপন্ন এ পাখি রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশের সব পাখিপ্রেমী ও সচেতন মানুষের। তথ্যসূত্র : ইনাম আল হক
কিডনী রোগ

কিডনী রোগ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মানুষের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রতঙ্গের মধ্যে কিডনী একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনী নষ্ট হলে কোন চিকিৎসা ছাড়া ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে। রক্তের জমে যাওয়া আবর্জনাকে পরিস্কার করাই কিনডীর কাজ। আর এ কাজ কিডনী ছাড়া অন্য কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গ দিয়ে সম্ভব নয়। মানব দেহের মোট ২ টি কিডনী থাকে, আকৃতিতে অনেকটা সীমের বিচির মতো। পূর্ণ বয়সে প্রতিটি কিডনী ৯ থেকে ১৩ সে. মি. লম্বা, ৫ সে.মি. প্রস্থ ও ৩ সে.মি. মোটা হয়। ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম অর্থাৎ ২ ছটাকেরও কিছু কম। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কিডনী প্রতি ২৪ ঘন্টায় ২০০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে। কিডনীর কাজ রক্তের ভিতর জমে থাকা আবর্জনাকে পরিশোধিত করা এবং তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া। রক্তের পিএইচ, এসিডিটি, লবন, ক্ষার ও পটাশিয়ামের মাঝে সমন্বয় সাধন করা। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা। হরমোন তৈরীতে সাহায্য করা যা রক্ত তৈরীর জন্য প্রয়োজন। কিডনীর রোগ ও অবস্থা মেডিকেল সংক্রান্ত শল্য বা অপারেশন সংক্রান্ত বাংলাদেশে ১০ বছর পূর্বে কিডনী রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ লক্ষ ১ কোটি আর বর্তমানে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি। মেডিকেল সংক্রান্ত কিডনী রোগ (নেফ্রোলজি) কিডনীর ছাকনী রোগ বা নেফ্রাইটিস প্রস্রাবের প্রদাহ বা ইনফেকশন উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনী রোগ ডায়াবেটিস জনিত কিডনী রোগ আকস্মিক কিডনী রোগ ধীরগতিতে কিডনী বিকল ঔষধের ব্যবহারজনিত কিডনী রোগ জন্মগত ও বংশানুক্রমিক কিডনী রোগ গর্ভকালীন কিডনী রোগ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জনিত কিডনী রোগ শল্য বা অপারেশন সংক্রান্ত রোগ (ইউরোলজি) পাথর জনিত কিডনী রোগ জন্মগত কিডনী বিকলাঙ্গতা প্রস্টেট গ্লান্ডের জটিলতা কিডনী টিউমার স্বল্প মেয়াদী অকেজো কিডনীর কারণ ডায়রিয়া বেশি পরিমাণ রক্তক্ষরণ কিডনী প্রদাহ সেপটিসেমিয়া হেপাটাইটিস লক্ষণ প্রস্রাব কমে যাবে/ বন্ধ হয়ে যাবে শরীরে পানি আসবে শ্বাস কষ্ট দেখা দিবে করণীয় লক্ষণ সমূহের চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে ডায়ালাইসিস। কিডনীর কার্যকারীতা যদি ৩ মাস বা ততোধিক সময় পর্যন্ত লোপ পেয়ে থাকে তবে তা ধীরে ধীরে দীর্ঘ স্থায়ী অকেজো কিডনীতে পরিণত হয়। দীর্ঘস্থায়ী অকেজো কিডনীর কারণ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস নেফ্রাইটিস লক্ষণ বমি বমি ভাব ক্ষুধা মন্দা প্রথম দিকের ঘন ঘন প্রস্রাব, পরবর্তীতে কমে যাওয়া (প্রস্রাবের মাত্রার পরিবর্তন) ক্রমান্বয়ে দুর্বলতা বৃদ্ধি পাওয়া রক্ত স্বল্পতা বা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া শ্বাস কষ্ট শরীরে পানি আসা উচ্চ রক্তচাপ কারণ ছাড়াই শরীর চুলকানো চিকিৎসা ওজন নিয়ন্ত্রন ধুমপান পরিহার ও নিয়মিত ব্যায়াম নিয়ন্ত্রিত প্রোটিনযুক্ত খাবার, কম চর্বিযুক্ত খাবার, পরিমিত পানি পান করা ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কিডনী ক্ষতি করে এমন ঔষধ না খাওয়া রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ডায়ালাইসিস কিডনী সংযোজন ডায়ালাইসিস ও কিডনী সংযোজন বর্তমান নিয়মিত ডায়ালাইসিস করে একজন রোগী ৫ থেকে ১৫ বছর এবং সফল কিডনী সংযোজনের মাধ্যমে ১০-১৫ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। ডায়ালাইসিস দুই প্রকার। মেশিনের সাহায্যে রক্তকে পরিশোধন করার নাম হেমোডায়ালাইসিস এবং আমাদের শরীরের পেটের অভ্যন্তরে আচ্চাদিত পর্দা দ্বারা ডায়ালাইসিসকে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস বলে।
জানাযায় জনতার ঢল :অন্তিম শয়ানে মাওলানা ইসহাক (র:)

জানাযায় জনতার ঢল :অন্তিম শয়ানে মাওলানা ইসহাক (র:)


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
 বরেণ্য শায়খুল হাদীস, সিলেটের সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন, গ্রন্থপ্রণেতা হযরত মাওলানা শায়খ মুহাম্মদ ইসহাক ইবনে হাবীবুল্লাহ (র)এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অসংখ্য আলেমের এই উস্তাদকে অশ্রুসিক্ত নয়নে অন্তিম শয়ানে সমাহিত করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ২ ঘটিকায় কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের বীরদল গ্রামে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে মাওলানা বদর উদ্দীন। জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া, সুনামগঞ্জ দরগাহপুর মাদ্রাসার মুহামিম শায়খুল হাদীস নুরুল ইসলাম খান, সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি ও আঙ্গুরা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দীন, রেঙগআ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, জামিযা দারুল কোরআন সিলেটের শায়খুল হাদীস মাওলানা আতাউর রহমান, জামেয়া মাহমুদিয়া সুবহানীঘাটের মুহতামিম মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী, রেংগা মাদ্রাসার শাখুল হাদিস মাওলানা শিহাব উদ্দিন,দরগা মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি.শায়খুল হাদিস নাযির আহমদ, বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা ক্বারী আব্দুল মতিন,মুফতি মাহমুদ,.মাওলানা হাবিবে রাব্বানি চৌধুরী সহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন মাদ্রাসার হাজার হাজার আলেম উলামা,মুফতি মুহাদ্দিসসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জানাযায় শরীক হন। গত বুধবার রাত ১০-১৫ মিনিটে সিলেটের একটি হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্নাইলাই রাজিউন। মৃত্যুকালে ৪ ছেলে,৪ মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র-ভক্ত রেখেযান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৪ বছর। শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসহাক-দরসে বোখারী ও দরসে মিশকাত গ্রন্থের রচয়িতা। তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকলেও এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের সংগ্রামে জমিযতে উলামাযে হিন্দের সকল আন্দোলনকে সর্মথন করতেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’ এর প্রতি তাঁর নৈতিক সর্মথন ছিলো। জন্ম : আল্লামা মুহাম্মদ ইসহাক ১৯৪১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগজ্ঞ ইউনিয়নের বীরদলগ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ। পাকিস্তানের বিন্নুরী টাউনের জামে উলুম আল ইসলামিয়া থেকে উচ্চ শিক্ষালাব করেন। আল্লামা সৈয়দ ইউসুফ বিন্নুরী (র)এর নিকট থেকে তিনি হাদীসের ইযাযত লাভকরেন। লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরে ঢাকার আশরাফুল উলুম বড়কাটরা মাদ্রাসায় প্রায় একযুগ হাদীসের দরস দান শেষে চলে আসেন সিলেটে। তিনি সিলেট দরগাহ মাদ্রাসা, কাজির বাজার,সুবহানীঘাট,দলদলী বালুচরসহ বিভিন্ন দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে বিরামহীনভাবে অর্ধশতাব্দিকাল সিহাহ সিত্তার দরস প্রদান করেন। দেশে বিদেশে তাঁর হাজার হাজার ছাত্র রযেছে। তিনি সত্যিকার অর্থেই ‘শায়খুল হাদীস’ ছিলেন। দেশের র্শীর্ষ পর্যায়ের হাদীস বিশারদ ও সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই আলেমেদ্বীনের তুলনা হতে পারেনা।
 আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানকে টপকিয়েছে বাংলাদেশ

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানকে টপকিয়েছে বাংলাদেশ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সর্বশেষ প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে আট নাম্বারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের পেছনে অবস্থান করছে পাকিস্তান। র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আট নাম্বারে অবস্থান করছে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে। সমান পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে সাত নম্বরে। এক পয়েন্ট কম নিয়ে নয় নাম্বার অবস্থান পাকিস্তানের। এদিকে বাংলাদেশের এই উন্নতির ফলে আগামী ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকতে পারলে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আরও উন্নতির সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। সমান ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের ওপরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ওয়ানডে শিডিউল নেই। অন্যদিকে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ আগামী জুনে ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। পরের মাসে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে মাশরফির দল। অন্যদিকে আগামী মে মাসে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এরপর জুলাইয়ে শ্রীলংকার গিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজহার আলীর দল। তবে যেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ঠিক সেখানেই আবার ভয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেহেতু আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে না, সেহেতু তাদের পয়েন্ট হারানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু ঘরের মাঠে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬টি ওয়ানডে খেলবে সেহেতু সিরিজ দুটিতে দুর্দান্ত কিছু না করতে পারলে টাইগাররা পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষ আট থেকে ছিটতে পড়তে পারে। সেই তুলনায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান দল। ঘরের মাঠে আগামী মাসে জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দলটি। ফলে যেথানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ঠিক সেখানেই আবার ভয়। ফলে বাংলাদেশের শীর্ষ আটে থাকা অনেক যদি ও কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে। আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ ১২৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের পয়েন্ট ১১৭। ধোনির দলের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। র‍্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে- দক্ষিণ আফ্রিকা (১১২), শ্রীলংকা (১০৬)ও ইংল্যান্ড (৯৪)। সাত, আট ও নয় নম্বরের স্থানটি নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮৮), বাংলাদেশ (৮৮) ও পাকিস্তানের (৮৭) মধ্যে। জিম্বাবুয়েকে হটিয়ে আইসিসির সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ড দশ নম্বরে উঠে এসেছে। জিম্বাবুয়ে রয়েছে ১১ নম্বরে।
মালালার উপর হামলাকারীদের আজীবন কারাদণ্ড

মালালার উপর হামলাকারীদের আজীবন কারাদণ্ড


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: নোবেলবিজয়ী কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের উপর হামলাকারীদের আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ হামলাকারীর প্রত্যেকেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন- তালেবানের সদস্য বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। বর্তমানে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও নারীশিক্ষার জন্য কাজ করে মালালা। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর তাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে এই সম্মান পেয়ে মালালা এখন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী। ২০১২ সালে তালেবানদের হামলার শিকার হওয়ার পর বিশ্বের নজরে আসে মালালা ইউসুফজাই।
যৌন আক্রমনকারীর উদ্দেশ্যে অক্সফোর্ড ছাত্রীর খোলা চিঠি

যৌন আক্রমনকারীর উদ্দেশ্যে অক্সফোর্ড ছাত্রীর খোলা চিঠি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গত ১১ এপ্রিল লন্ডনের টিউব স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হন। পরে এ নিয়ে জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। এবং সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। সম্প্রতি সেই যৌন উৎপীড়কের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখেছে ঐ ছাত্রী। টুইটার ও ফেসবুকে এখন এটি শেয়ারের ধুম পড়েছে। একটি “স্টুডেন্ট নিউজপেপারে” আইয়োন ওয়েলস নামের এই শিক্ষার্থী লিখেছেন, আমি জানি না আপনার জীবনে কে আছে। আমি আপনার সম্পর্কেও কিছু জানি না। কিন্তু আমি এটি জানি যে, আপনি সে রাতে শুধু আমাকে আক্রমণ করেননি। আমি একজন মেয়ে, আমি একজন বন্ধু, আমি একজন গার্লফ্রেন্ড, আমি একজন শিক্ষার্থী, আমি একজন চাচাত বোন, আমি একজন ভাইঝি, আমি একজন কর্মচারী যে সবাইকে কফি খাওয়ায়। যাদের সাথে আমার এ সম্পর্ক, যারা আামাকে গড়ে তুলেছে আপনি সবাইকেই যৌন হয়রানি করেছেন। আমি সত্যকে অতিক্রম করেছেন। আমি লড়ে যেতে একটুও পেছনে সরব না। পৃথিবীতে খারাপ মানুষের চেয়ে ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি। আইয়োন ওয়েলস (২০) তার “এ লেটার টু মাই অ্যাজল্টার” শিরোনামে লেখা এই খোলা চিঠিতে লিখেছেন, আমাদের রাতে বাড়ি ফেরাটা যে অনিরাপদ সেটি আমার সমাজ বুঝবে না। আমরা রাতে রাস্তায় একা হাঁটব। আমাদের কেউ বিপদে পড়লে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে আসব। এটি একটি যুদ্ধ। আপনি জিততে পারবেন না। আইওয়া অন্যদেরকেও তার মত এরকম অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন। এই চিঠিতে তিনি লিখেছেন যে, তার উপর এই হামলাকারী সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইওয়া তার চিঠিতে ওই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন, আপনি আমার চুল ধরে টেনেছিলেন, আপনি আমাকে মাথায় আঘাত করেছিলেন এবং আমাকে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে নিষেধ করেছিলেন। আপনি আমার ব্রা ছিড়ে ফেলেছিলেন এবং স্তন খামচে ধরেছিলন।
কানাইঘাটে ছাত্রী অপহরণের প্রধান আসামী গ্রেফতার

কানাইঘাটে ছাত্রী অপহরণের প্রধান আসামী গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১৫ মার্চ কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামী পৌরসভাস্থ দুর্লভপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর পুত্র বাহার উদ্দিন (১৯) কে কানাইঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই মোঃ রাশেদুল আলম খাঁন উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বাউরভাগ ১ম খন্ড গ্রাম থেকে বাহার উদ্দিনকে গ্রেফতার করেন। প্রসঙ্গত যে, গত ১৫ মাস অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে সকালে প্রাইভেট পড়তে কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মনসুরিয়া মাদ্রাসা পয়েন্ট থেকে বাহার উদ্দিন ও তার সঙ্গীরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ১০দিন পর এই স্কুল ছাত্রীকে সিলেট শহর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অপহরণকারী বাহার উদ্দিন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় ১৭মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে থানার এস.আই কামাল উদ্দিন উপজেলার কালিনগর গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হারুনুর রশিদকে (৩৫) গ্রেফতার করেছেন।
অটোরিক্সা চালক ফয়সল আহমদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অটোরিক্সা চালক ফয়সল আহমদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে গত ১৫ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত অটোরিক্সা চালক স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা ফয়সল আহমদের আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাবে উপজেলার ১০টি পরিবহন সংগঠনের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যৌথ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জসীম উদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের স্বঘোষিত উপদেষ্টা হতে চান। কিন্তু তার এই একক সিন্ধান্তটি উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাথে জড়িতরা মেনে নিতে পারেননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন কোট কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করেন জসীম উদ্দিন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় অটোরিক্সা শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষা করে জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে শ্রমিকলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টা, ফিরোজ আহমদকে সভাপতি, কয়সর আহমদকে সেক্রেটারী এবং এনাম উদ্দিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কানাইঘাট উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ড শাখার একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে স্থানীয় স্ট্যান্ডের অটোরিক্সা শ্রমিকগণ নবগঠিত কমিটির উপদেষ্টা জসীম উদ্দিন, সেক্রেটারী কয়সর আহমদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম উদ্দিনকে মেনে নিতে না পেরে জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবরে নবগঠিত কমিটিকে সংস্কারের জন্য আবেদন জানান। কিন্তু জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোন সিন্ধান্ত দেয়ার পূর্বেই গত ১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় অতর্কিত ভাবে শ্রমিকলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিন তার সঙ্গীয় মাহবুব সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্ট্যান্ডে কর্তব্যরত প্রধান ম্যানেজার তাজুল ইসলামের কাছ থেকে হিসাব নিকাশের নথিপত্র ও নগট টাকা ছিনিয়ে নিতে চাইলে ম্যানেজার ও উপস্থিত শ্রমিকরা বাঁধা প্রদান করেন। নগদ টাকা ও নথিপত্র ছিনিয়ে নিতে না পেরে জসীম উদ্দিন তার সঙ্গীয় মাহবুব, সেক্রেটারী কয়সর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম উদ্দিন সহ দলীয় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিরীহ শ্রমিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাতাড়ী ভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে নিরীহ অটোরিক্সা শ্রমিক আব্দুল আহাদ, ফয়সল আহমদ, জয়নাল আবেদীন, ফয়সল উদ্দিন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এর একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রায়গড় গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র অটোরিক্সা চালক নিরীহ ফয়সল আহমদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। কানাইঘাটের ইতিহাসে প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে একজন নিরীহ শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা একটি বিরল ঘটনা। এ ঘটনার পর শ্রমিক ফয়সল আহমদের ভাই মাসুক আহমদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলেও অদ্যবধি পর্যন্ত পুলিশ মূল ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে নি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। জয়নাল আবেদীন তার লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল সমাবেশ এবং সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল পুলিশ সুপার বরাবরে শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অটোরিক্সা চালক ফয়সল আহমদের হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে আসামীদের গ্রেফতার করছে না। এছাড়াও উক্ত হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর উর্ধ্বতন কোন পুলিশ কর্মকর্তাও সরেজমিনে আসেন নি এবং আহত ও নিহতদের পরিবারবর্গকেও কোন প্রকার শান্তনা প্রদান করেননি। ফয়সল আহমদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার ১০টি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ০৩ মে রোববার কানাইঘাট পৌরশহরে মানববন্ধন এবং মঙ্গলবার এক প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ১০টি পরিবহন সংগঠনের পরবর্তী কার্যক্রম ঘোষণা করা হবে। তিনি উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে কানাইঘাটের সকল শান্তিপ্রিয় জনসাধারনকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মিয়া, উপজেলা যৌথ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজির উদ্দিন, শ্রমিকনেতা শামীম আহমদ, এজাদুর রহমান, ফয়সল আহমদ, তাজুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, হাবিব উল্লাহ, মামলার বাদী নিহত অটোরিক্সা চালক ফয়সল আহমদের বড় ভাই মাসুক আহমদ সহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৩য় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫৩৭

৩য় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫৩৭


নিউজ ডেস্ক: মোহাম্মদ হাফিজের দ্বি-শতকে রানের পাহাড় গড়েছে মিসবাহ বাহিনী। খুলনা টেস্টে বাংলাদেশি বোলাররা এদিনও ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান। আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ দুজনেই ৫১ রানে উইকেটে আছেন। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েছেন তারা। প্রথম ইনিংসে ৩৩২ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের চেয়ে এখন ২০৫ রানে এগিয়ে আছে অতিথিরা। দ্বিতীয় দিন আটজন বোলার ব্যবহার করেও হাফিজ-আজহার জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটের সন্ধানে তৃতীয় দিনের প্রথম ওভার থেকেই স্পিন আক্রমণ শুরু করে স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারে সাকিব আল হাসান বল করে দেন ৪ রান। তৃতীয় দিনের ১৪তম ও ইনিংসের ৭২তম ওভারে বাংলাদেশকে সফলতা এনে দেন শুভাগত হোম। আজহার আলিকে বোল্ড করে ৬০ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন তিনি। ১৭৭ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রান করেন আজহার। হাফিজ-আজহার জুটিতে আসে ২২৭ রান। বুধবার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ২২৭ রান। মোহাম্মদ হাফিজ শতক করে ১৩৭ ও আহজার আলী অর্ধ-শতক করে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন এই দুজন। সকালে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে বেশি সময় নেননি হাফিজ ও আজহার আলি। দ্বিতীয় উইকেটে আরও ৫০ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন এই দুই জন। আজহারকে বোল্ড করে তার সাথে হাফিজের ২২৭ রানের জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম চৌধুরী। আগের দিন ১১ ও ২৮ রানে দুবার জীবন পাওয়া আজহার ফেরেন ৮৩ রান করে। তৃতীয় উইকেটে ইউনুস খানের সঙ্গে ৬২ রানের আরেকটি জুটি উপহার দেন হাফিজ। প্রথম সেশনে ভালো বল করতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। তাদের সহজেই খেলে এই সেশনে ১০৬ রান সংগ্রহ করে হাফিজ-আজহার-ইউনুসরা। ৮৪তম ওভারে দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর হাফিজ-ইউনুসকে কিছুটা চাপে ফেলেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ শহীদ। ভালো বল করলেও সাফল্য পাননি এই দুই জন। হাফিজ-মিসবাহর বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। তার চমৎকার এক বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান অভিজ্ঞ ইউনুস। দ্বিশতকে পৌঁছানোর পথে অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের সাথে অর্ধশত রানের আরেকটি জুটি গড়েন হাফিজ। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৩ রানের আরেকটি ভালো জুটি। শুভাগতর লেগ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত হন হাফিজ। ৩৩২ বলে খেলা তার ২২৪ রানের ইনিংসটি ২৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো। ইউনুস ও হাফিজকে হারিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ৮৮ রান যোগ করে পাকিস্তান। হাফিজ ফিরে গেলেও স্বাগতিক বোলারদের চেপে বসতে দেননি মিসবাহ ও শফিক। ৬৬ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের হতাশা আরও বাড়ান তারা। অর্ধশতকে পৌঁছানো মিসবাহকে তাইজুল বিদায় করলেও স্বস্তি মেলেনি। অতিথিদের সপ্তম উইকেট জুটি দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেয়। শফিক দেখেশুনে খেললেও আক্রমণাত্মক মেজাজেই ব্যাট করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সরফরাজ। দাপুটে ব্যাটিংয়ে শেষ সেশনে কেবল মিসবাহর উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ডানহাতের অনামিকায় চোট পাওয়া বাংলাদেশের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক তৃতীয় দিন মাঠে নামেননি। মুশফিকের অনুপস্থিতিতে মাঠে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর ‘কিপিং’ করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১২০ ওভারে ৩৩২ (তামিম ২৫, ইমরুল ৫১, মুমিনুল ৮০, মাহমুদউল্লাহ ৪৯, সাকিব ২৫, মুশফিক ৩২, সৌম্য ৩৩, শুভাগত ১২*, তাইজুল ১, শহীদ ১০, রুবেল ২; ওয়াহাব ৩/৫৫, ইয়াসির ৩/৮৬, হাফিজ ২/৪৭, বাবর ২/৯৯) পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ১৪৮ ওভারে ৫৩৭/৫ (হাফিজ ২২৪, সামি ২০, আজহার ৮৩, ইউনুস ৩৩, মিসবাহ ৫৯, শফিক ৫১*, সরফরাজ ৫১*; তাইজুল ৩/১১৬, শুভাগত ২/১১২)
ঢাকায় শারম্যান-নিশা দেশাই

ঢাকায় শারম্যান-নিশা দেশাই


ঢাকা: বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা এসেছেন। জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সংলাপে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান নেতৃত্ব দেবেন। আগামীকাল শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই সংলাপ শুরু হবে। এর আগে প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, অংশীদারিত্ব সংলাপে উন্নয়ন ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিশদ দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদি আরো বিস্তৃত পরিসরে ও গভীরভাবে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকখাতে জিএসপি সুবিধা এবং নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন বিষয় এই সংলাপে অগ্রাধিকার পাবে। জানা গেছে, আন্ডার সেক্রেটারি শারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সাক্ষাৎ করবেন। আন্ডার সেক্রেটারি শারম্যান পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দেখা করবেন। এর আগে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় অংশীদারিত্ব সংলাপ গত বছর যুক্তরোষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়।
'হাসিনার রাজনীতি শিখতে ৫০ বছর লাগবে খালেদার'

'হাসিনার রাজনীতি শিখতে ৫০ বছর লাগবে খালেদার'


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো রাজনীতি শিখতে হলে খালেদা জিয়ার আরো ৫০ বছর সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবেন না বলে ঘোষণা দিলেও নির্বাচনে এলেন খালেদা জিয়া। কর্মীদের মতো লিফলেটও বিলি করলেন। কিন্তু আবার মাঠ ছেড়ে চলে গেলেন। শেখ হাসিনার মতো রাজনীতি শিখতে হলে খালেদা জিয়ার আরও ৫০ বছর সময় লেগে যাবে।" খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "এমন খেলোয়াড় নিয়ে নির্বাচনে আসলেন কেন? যারা মাঝপথেই মাঠ ছেড়ে দেন! আসলে নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্যই মাঠে এসেছিলেন তারা।" তিনি বলেন, "নির্বাচনকে কারচুপির উল্লেখ করে বর্জন করলেন তারা। তবে নেতারা এখন আফসোস করছেন। এতো ভোট পেয়ে নির্বাচন বর্জন করলেন কেন! আর নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়েই থাকে, ততে তারা এতো ভোট পেলো কিভাবে।" মন্ত্রী বলেন, "শেষ পর্যন্ত হাসিনার অধীনে এসেই নির্বাচন করলেন খালেদা। নির্বাচনও ভণ্ডুল করতে পারলেন না।" বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ অনেকে। ----পরিবর্তন
চীনে সকলের ফেসবুক আইডি হ্যাক

চীনে সকলের ফেসবুক আইডি হ্যাক


তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: চীন জুড়ে সকলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে। কিছু দিন থেকে চীনের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই ঝামেলার শিকার। জানা গেছে, ফেসবুক লগইন সিস্টেম পরিবর্তন করে দিয়েছে হ্যাকাররা। এতে চীনে কেউ ফেসবুক লগইন করতে গেলে অন্য ওয়েব সাইটের চলে যাচ্ছে। গত রোববার ফেসবুক লগইন সিস্টেম হ্যাকের ঘটনা প্রথম নজরে আসে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা স্থানীয় ভাবে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা তাদের নিজস্ব সার্ভার ব্যবহার করেছে। হ্যাকারা ফেসবুক লগইন সিস্টেমের জাভাস্ক্রিপট পরিবর্তন করেছে। ফলে চীনের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লগইন করতে গেলে অন্য সাইটে চলে যাচ্ছে। হ্যাকারা ফেসবুক লগইন সিস্টেমে দুটি সাইট রিডাইরেক্ট করে রেখেছে। একটা হলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রজেক্ট wpkg.org। অন্যটি হলো পার্সোনাল ট্রাভেল ব্লগ ptraveler.com। ফেসবুকের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, এই হ্যাকিংয়ের শিকার চীনের ওয়েব ইউজার এবং যারা ভিপিএন ছাড়া ইন্টারনেট সার্ফি করেন তারা। এই হ্যাকিং থেকে বাঁচতে ফেসবুকের জাভা স্ক্রিপট বন্ধ করে দিতে হবে। তবেই হ্যাকিং থেকে মুক্তি মিলবে।
চুলায় পুড়ে শিশুর মৃত্যু

চুলায় পুড়ে শিশুর মৃত্যু


যশোর প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলে চুলায় পুড়ে আবু বক্কর (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির ভয়াবহ মৃত্যু হয়। আবু বক্কর বেনাপোলের নামাজগ্রাম পশ্চিম পাড়ার ওলিয়ার রহমানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশুটি। এর এক পর্যায়ে ধান সিদ্ধ করা চুলায় পড়ে যায় আবু বক্কর। এতে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয় শিশুটি। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে বক্করকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির লাশ দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে
সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বিব্রত

সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বিব্রত


মহিউদ্দিন মাহী: ঢাকা: ‘কি বলব ভাই লজ্জা লাগতেছে। আমি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। কিন্তু এসব আমি গণমানুষের এই দল থেকে প্রত্যাশা করি না। এসব করে আসছে বিএনপি।’ রাগে-ক্ষোভে কথাগুলো বললেন রাজধানী মহাখালীর বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন উত্তরের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের দেয়াল ঘড়ি মার্কায়। এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করে আসছি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য শুরু থেকেই লড়াই সংগ্রাম করে আসছে। জাল ভোট আর কারচুপির ভোটের শুরু হয়েছে বিএনপির আমলে। আমরা এটা গর্ব করে বলে আসছি যে- আওয়ামী লীগ হারলেও ভোট জালিয়াতি করে না। কিন্তু এবার যা হল আমাদের তো আর মান-সম্মান থাকল না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বনানী থানা ছাত্রলীগের এক যুগ্ম সম্পাদক ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ করি। কিন্তু সিটি নির্বাচনে যা হল তাকে সমর্থন করতে পারি না। বিবেকে নাড়া দেয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো এবং সর্ববৃহৎ একটি দলের কি এসব করা লাগে? ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বরাবরই ভোট জালিয়াতির শিকার হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ বরাবরই এসব কিছুর বিরুদ্ধে সোচ্চার। কিন্তু সিটি নির্বাচনে যা হল তা আসলেই অসমর্থনযোগ্য।’ তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সিটি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। বিএনপি পরিকল্পিতভাবেই নির্বাচন বয়কট করে দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপাচ্ছে। এটা বিএনপির রাজনৈতিক কূটকৌশল। তারা যে নির্বাচন বর্জন করেছে সেটা নেতাদের বক্তব্যেই প্রমাণ হয়েছে’। গত ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতি ও ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ কেন্দ্রেই সরকার বিরোধী পক্ষ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। কেউ কেউ গেলেও তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনেকের ভোটই আগেই দেয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রগুলো দখল করা শুরু হলে ভোটকেন্দ্রগুলো ফাঁকা হয়ে যায়৷ নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সামনেই চলে ব্যালটে সিল মারা। ঢাকায় পুলিশ ও নির্বাচনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও সরাসরি জালভোটে অংশ নেয়ার অভিযোগ শোনা যায়৷ এসব ঘটনায় ভোটের দিন ১২টার দিকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তরের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ৷ মওদুদ আহমদ বলেন, ‘পুরো নির্বাচনকেই অর্থহীন করে দিয়েছেন সরকার ও নির্বাচনি কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও ব়্যাব নিয়ে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করতেই আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে’৷ এমন ভোট নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরাও প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বান টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘যে কোনোভাবে জয়লাভ করা আসলে কোনো জয় নয়। যুক্তরাজ্য, সুইডেনসহ ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা এ নির্বাচন নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিদেশি সংস্থাগুলো ভোটে অনিয়ম নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সজুনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এই ধরনের ভোটের মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীনরা গ্রহণযোগ্যতা হারাল। এসব ঘটনা ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হতে পারে।’ জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এই ধরনের নির্বাচন আমরা আশা করেনি। আমি হতাশ হয়েছি’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে বঙ্গবন্ধুর কথা চিন্তা করলে তো এসব কল্পনাই করা যায় না। এসব তো কোনো দিন তিনি সমর্থন করতেন না। আর তার দল হিসেবে আওয়ামী লীগও এসব করতে পারে না।’ -----ঢাকাটাইমস
ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে মা-মেয়ের ঝাঁপ!

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে মা-মেয়ের ঝাঁপ!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে ১৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন মা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি, চিরদিনের জন্য হারিয়েছেন মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাবে গতকাল বৃহস্পতিবার। অরবিট এভিয়েশন মালিকানাধীন বাসটির কন্ডাক্টরের এক সহকারী যখন এক ছেলে ও এক মেয়েকে সাথে নিয়ে বসে থাকা মায়ের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে শুরু করে, তখনই ওই নারী চিৎকার করে কন্ডাক্টরের সাহায্য চাইতে শুরু করেন। এক প্রান্তিক কৃষকের স্ত্রী ওই পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নারীর কথায় কর্ণপাত না করে কন্ডাক্টর উলটে সহকারীকে সাহায্য করতে শুরু করেন এ কাজে। তখন নিরুপায় নারী সাহায্য চান বাসচালকের কাছে, এ সময় বাসচালকও তার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি এবং বাস চালাতেই থাকেন। অতঃপর মেয়েকে সাথে নিয়ে চলন্ত বাস থেকেই ওই নারী লাফিয়ে পড়লে বাসটি থামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় বাসচালক ও দুই সহকারী। বাসটিতে যাত্রী হিসেবে দুই সন্তানসহ ওই নারী ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। বাসটি যে পরিবহণ সংস্থার মালিকানাধীন, সেটির মালিক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদল। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এই ভারতেই রাজধানী দিল্লিতে ধর্ষণের পর চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় এক তরুণীকে। নির্মমভাবে নিহত ওই তরুণীর মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা ভারত। ভারতে ধর্ষণের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক রূপ লাভ করেছে।
মুক্তির অপেক্ষায় ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’

মুক্তির অপেক্ষায় ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’


বিনোদন ডেস্ক: ঈদে মুক্তি পাচ্ছে এস এ হক অলিক পরিচালিত ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’। এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরিতে অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমনি। পরিচালক অলিক বলেন, এ ছবির বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে । এখন পুবাইলে শাকিবের নিজস্ব শুটিং হাউজ ‘জান্নাতে শেষ ভাগের শুটিং চলছে। এই ছবিতে শাকিব খান অভিনয় করেছেন বাস্তব শাকিব খানের চরিত্রেই। তবে বাকিটুকু কাল্পনিক। আশা করছি আগামী রোজার ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে। এই প্রথম শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করছেন এস এ হক অলিক। ‘ধূমকেতু’র পর পরীর সাথে এটি শাকিবের দ্বিতীয় ছবি। এতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহেল রানা ও চম্পা। কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও গান লিখেছেন পরিচালক নিজেই। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। কণ্ঠ দিয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ, পড়শি, এস আই টুটুল, কোনাল ও হৃদয় খান। ছবিটির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
জিয়ার কবরের নকশা ভাঙচুর!

জিয়ার কবরের নকশা ভাঙচুর!


ঢাকা: রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মূল কবরকে ঘিরে তৈরি করা নকশায় থাকা কয়েকটি মার্বেল পাথর ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে মার্বেলের ভাঙা টাইলস পড়ে থাকতে দেখা যায়। কবরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করতে বিএনপি থেকে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, সকালে গিয়ে তিনি কবরকে ঘিরে থাকা নকশার মার্বেল পাথরের ১১টি টাইলস ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কে বা কারা কবরের নকশা ভেঙেছে, তাঁরা এখনো তা জানতে পারেননি।
জন্ডিস

জন্ডিস


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রক্তে বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে চোখ, প্রস্রাব এবং গায়ের রং হলুদ হলে মানব শরীরে জন্ডিস রোগের উপস্থিতি প্রকাশ পায়। প্রধান কারণ লিভার প্রবাহ, যেমন- ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিস, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত হেপাটাইটিস এবং এলকোহল জনিত হেপাটাইটিস। জন্মগত ত্রুটি জনিত জন্ডিস। নবজাতকের জন্ডিস লোহিত কনিকা অতিরিক্ত ভাঙ্গার কারণে জন্ডিস। পিত্তনালীতে বাঁধাজনিত জন্ডিস। শরীরে লক্ষ্যনীয় উপসর্গ চোখের সাদা অংশ, মুখের গহবর এর ভিতরে আবরন এবং চামড়া হলুদ বর্ণ ধারন করে। প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হয়। পায়খানার রং কিছুটা সাদা এবং কাদার মতো হওয়া। পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ফ্লু এর মত জ্বর হওয়া। রক্ত বমি / রক্ত পায়খানা হওয়া চমড়ায় চুলকানি হওয়া মানসিক বিভ্রান্তি বা কোমা হওয়া পেটে পানি জমা জন্ডিসের উপস্থিতি নিশ্চিত করণ রোগের ইতিহাস রোগীর শারীরিক পরীক্ষা ল্যাবরেটরী পরীক্ষা যেমন- সিরাম বিলরুবিন লিভার এনজাইম প্রথোমবিন আল্ট্রাসাউন্ড ক্ষেত্র বিশেষে লিভার বায়োপসি করা হেপাটাইটিস ভাইরাস গুলোর যৌক্তিক পরীক্ষা পায়খানা ও প্রস্রাব এর পরীক্ষা। প্রাথমিক করণীয় জন্ডিসের লক্ষণ দেখা মাত্র, ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। পরিমান মত পানি গ্রহণ করা স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করা চলাফেরা স্বাভাবিক রাখা দেশে জন্ডিসের চিকিৎসার ব্যবস্থা ভাইরাস জনিত (হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’) এর চিকিৎসা আমাদের দেশে হয়। বাঁধাজনিত জন্ডিসের ইন্টাভেন্সন ও সার্জারী বাংলাদেশেই করার ব্যবস্থা রয়েছে।
 যে শহরে নেই কোনো পুলিশ!

যে শহরে নেই কোনো পুলিশ!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন বিশ্বে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াইয়ে আজ যে শত্রু কাল সে মিত্র। আবার শত্রুর শত্রুও হয়ে যাচ্ছে পরম মিত্র। এ এমন এক অবস্থা যখন গণতন্ত্রের পেছনে ছুটতে ব্যস্ত আমরা সবাই; কিন্তু দেশ-কাল ভেদে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভিন্নতা আছে তা মানতে নারাজ বিশ্ব মোড়লরা। তবু এরই মাঝে কিছু দেশ-শহর আধিপত্যবাদীদের গণতন্ত্রের মডেলকে অস্বীকার করে নিজেদের বন্দোবস্ত নিজেরাই করে নিয়েছে। এই তালিকায় কিউবা, বলিভিয়া, বুরকিনা ফাঁসোসহ বেশ কয়েকটি দেশ অন্যতম। রাষ্ট্রের বাইরে কিছু শহরও আছে যাদের আছে নিজস্ব শাসন কাঠামো এবং জীবনযাপনের ভিন্ন পদ্ধতি। ইউরোপভুক্ত দেশ স্পেনের দক্ষিণের একটি ছোটো শহর মারিনালেদা। গোটা স্পেনে বেকার জনগোষ্ঠী থাকলেও এই ছোট্ট শহরটিতে নেই কোনো বেকার যুবক-যুবতী। চর্তুপাশে সবুজ পাহাড় বেষ্টিত শহরটি সামগ্রিক স্পেন থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন। এখানে সমাজতান্ত্রিক কায়দায় শাসন কাঠামো সাজানো হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই শহরটি যে প্রদেশে অবস্থিত সেই প্রদেশটি হলো স্পেনের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থমন্দায় যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাভিশ্বাস উঠবার অবস্থা তখনও শান্তি বিরাজ করছিল মারিনালেদাতে। শহরটির মেয়র হুয়ান ম্যানুয়েল সানজেক গরডিল্লো পুঁজিবাদ বিরোধী অবস্থান থেকে সবসময়ই শহরের বাসিন্দাদের সম্মিলিত সমৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। আর তার এই অবস্থানের কারণে গোটা ইউরোপে তাকে ‘দ্য স্প্যানিশ রবিন গুড’ নামে ডাকা হয়। শহরে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি স্থানীয় সুপারমার্কেটগুলোর কাছ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণের অধিকার কেড়ে নেন। সুপারমার্কেটগুলো থেকে তেল, চাল, বীজ ইত্যাদি গাড়িতে করে নিয়ে রাখা হয় স্থানীয় খাদ্য ব্যাংকে। এই ব্যাংক থেকে গরিব এবং অসহায়দের সহযোগিতা করা হয়। এ বিষয়ে মেয়র হুয়ানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘এটাকে আপনি চুরি বলতে পারবেন না। তারা নির্দেশ অমান্য করেছিল বিধায় রক্তপাতহীন পন্থায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে অনেক পরিবারই আছে যারা খাবার কেনার জন্য অর্থ খরচ করতে পারে না। একুশ শতকে মানব ইতিহাসের জন্য এটা সত্যিই অসম্মানের। খাবার প্রাপ্তি একটি অধিকারের প্রশ্ন।’ হুয়ান এই শহরের মেয়র হিসেবে নিযুক্ত আছেন ১৯৭৯ সাল থেকে। উন্নত বিশ্বের একজন নাগরিককে কোনো জমিতে বাড়ি বানাতে গেলে রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হয়। কিন্তু মারিনালেদাতে মোট ছয় লাখ নব্বই হাজার ফাঁকা ভ‚মি থাকার পরেও এই ভ‚মি নিয়ে বাণিজ্য করছেন না মেয়র। উল্টো এই শহরে যদি কেউ বাড়ি বানাতে চান তাহলে সরকারকে দিতে হচ্ছে না কোনো অর্থ। টাউনহলের তালিকায় থাকা শ্রমিকরাই একটি নির্দিষ্ট মজুরির বিনিময়ে সেই বাড়ি তৈরি করে দিতে প্রস্তুত থাকে সবসময়। গোটা শহরের জনগোষ্ঠী এখন মাত্র ২ হাজার ৭০০ জন। শহরের মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২০০ ইউরো। শহরে কোনো বেকার না থাকার কারণে দুর্নীতি কিংবা অপরাধ ঘটার হার নেই বললেই চলে। আর তাই শহরের নিরাপত্তার জন্য দরকার হয় না কোনো পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর। শহরবাসীর নৈতিকতার প্রশ্নে মেয়র হুয়ান বলেন, আমাদের মূল্যবোধ নিয়ে পুনরায় ভাবার সময় এসেছে। এই পণ্যভিত্তিক সমাজে আমাদের মূল্য নির্ধারিত হয় অর্থ, ব্যক্তিস্বার্থ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতা দ্বারা। মারিনালেদা একটি ছোটো উদাহরণ মাত্র এবং আমরা চাই বিশ্ব এই উদাহরণকে সামনে রেখে এগিয়ে যাক।
গ্যাস্ট্রিকের ৫টি ঘরোয়া সমাধান

গ্যাস্ট্রিকের ৫টি ঘরোয়া সমাধান


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সাথে সবাই-ই কম বেশি পরিচিত। এই সমস্যাটি প্রায় মানুষের মধ্যেই রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বদৌলতে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির অসংখ্য ঔষধ রয়েছে। পাশাপাশি আমরা চাইলে ঘরোয়াভাবে এই রোগটি প্রতিরোধ করতে পারি। পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন। গুড়: গুড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ। জিরা: এক চা চামচ জিরা ভেঁজে গুড়া করে নিন। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। এতে অনেকটাই সমাধান পাবেন আপনি। লং: আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবালে এর রস অনেকটা উপকারে আসতে পারে আপনার। মাঠা: দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরি মাঠা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন। কোনো রোগকেই অবহেলা করা উচিত নয়। ছোটখাটো গ্যাস্টিক অনেক সময় বড় রোগের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে তাই প্রথম অবস্থাতেই এর সমাধান চিন্তা করুন। ডাক্তারি মেডিসিনের চেয়ে প্রাকৃতিক ঔষধের কার্যকারিতা বহুলাংশে বেশি।
দোয়া কবুলে করণীয়

দোয়া কবুলে করণীয়


ইসলাম ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: আল্লাহ তায়ালার বাণী, ‘আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে আপনি তাদের বলে দিন আমি তাদের অতি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে। তাদের প্রার্থনা কবুল করে নিই। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে। (সূরা বাকারা: ১৮৬)। তাফসিরে ইবনে কাসিরে আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসির (রহ.) এ আয়াতের শানে-নজুল প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, কোনো গ্রামের কিছু লোক হজরত রাসুলে (স.) করিম (স.) এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, যদি আমাদের রব আমাদের নিকটেই থেকে থাকেন, তবে আমরা আস্তে আস্তে দোয়া করব। আর যদি দূরে থেকে থাকেন তবে আমরা উচ্চস্বরে ডাকব। তখন তাদের সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত নাজিল করা হয়। সুতরাং জবানের হেফাজত করা উচিত। জবান আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় নেয়ামত। জবানের দ্বারা মানুষ কোরআন তিলাওয়াত করে, জিকির আজকার করে, আবার এ জবান দ্বারা মানুষ গীবত শেকায়েত করে, গালি গালাজ করে, অর্থাৎ জবানের দ্বারা যেমন সওয়াব কামানো যায়। তদ্রূপ গোনাহও কামানো যায়। জবান দ্বারা জান্নাত অর্জন করা যায়, জাহান্নামও অর্জন করা যায়। জবান দ্বারা ইমানের কালিমা উচ্চারিত হয়, আবার জবান দ্বারা কুফরির কালিমাও উচ্চারিত হয়। তাই জবান অনেক বড় নেয়ামত। এ নেয়ামতের হেফাজত করা উচিত। যে জিনিস যতবেশি দামি ওই জিনিস ততবেশি হেফাজত করতে হয়। টাকা-পয়সা মানুষের কাছে অনেক দামি, তাই মানুষ টাকা-পয়সাকে বাইরে রাখে না। বরং ঘরের মধ্যে রাখে। ঘরের আলমারিতে রাখে। আবার আলমারির ছোট্ট বাক্সে রাখে। ওই ছোট্ট বাক্সে তালা দেয়। আলমারিতে তালা দেয়। ঘরের দরজায় তালা দেয়। তাহলে দেখা গেল, মানুষের মূল্যবান সম্পদ টাকা-পয়সা সোনা-রুপা, তিনটি জিনিসের মধ্যে তিনটি তালা দ্বারা আবদ্ধ করে রাখা হয়। তদ্রূপ জিহ্বাকেও তিনটি জিনিস দ্বারা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। ১ নাক, কান ইত্যাদি অঙ্গের মতো জিহ্বাকে শরীরের বাইরে রাখা হয়নি। বরং শরীরের ভিতরে রাখা হয়েছে, মুখের ভিতরে রাখা হয়েছে। ২. জিহ্বাকে হেফাজত করা হয়েছে ৩২টি দাঁত দ্বারা। ৩. জিহ্বাকে হেফাজত করা হয়েছে ঠোঁট দ্বারা। আল্লাহতায়ালা জিহ্বাকে তিনটি জিনিস দ্বারা হেফাজত করেছেন। জিহ্বা দামি হওয়ার কারণেই তাকে এভাবে হেফাজত করা হয়েছে। এজন্য কথা বলার সময় চিন্তা-ভাবনা করে কথা বলতে হবে। আর যেই ব্যক্তি চিন্তা ফিকির করে কথা না বলে, অধিকাংশ সময় তার কথা ভুল হয়। জবানকে নাড়ানোর আগে চিন্তা-ভাবনা করে নাড়ানো চাই। আমি ভালো কথা বলছি নাকি খারাপ কথা বলছি। ভালো কথা হলে বলব, খারাপ কথা হলে বলব না। মন্দ কথা আসলে দাঁতের দ্বারা চাপ দিয়ে জিহ্বাকে বন্ধ করে দিব। দাঁত দ্বারা সম্ভব না হলে ঠোঁট দ্বারা বন্ধ করব। ঠোঁটের বাইরে কথা আসতে দিব না। এভাবে যদি আমরা জবানকে হেফাজত করতে পারি, তাহলে আমরা সবাই খারাপি থেকে বাঁচতে পারব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জবানকে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সব নাপাকি থেকে হেফাজত করেছেন। সন্তান যখন মায়ের পেটে আসে। আল্লাহ তায়ালা কুদরতিভাবে মায়ের পেটের সঙ্গে সন্তানের নাভির যোগাযোগ স্থাপন করে দেন। ফলে মা যা ভক্ষণ করেন, তা রক্ত হয়ে নাভি দিয়ে সন্তানের পেটে চলে যায়। ওই রক্তটাই সন্তানের জন্য খাবার হয়ে যায়। এ রক্ত যেহেতু নাপাক, তাই আল্লাহ পাক এই নাপাক রক্ত থেকে জবানকে হেফাজত করেছেন। কারণ এ জবান দিয়ে মানুষ আল্লাহর জিকির করবে, কোরআন তিলাওয়াত করবে। এ জবানকে হেফাজত করতে পারলে আমরা জিহ্বাকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারব। এ জবান দ্বারা আমরা জিকির করি। কোরআন তিলাওয়াত করি। আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করি। কিন্তু আমাদের দোয়া কবুল হয় না। অথচ সাহাবায়ে কেরামও এ জবান দিয়ে জিকির করতেন। কোরআন তিলাওয়াত করতেন। দোয়া করতেন, তাদের দোয়া কবুল হতো। আমাদের দোয়া কবুল হয় না। কারণ সাহাবায়ে কেরাম জবানের হেফাজত করেছেন। তাদের জবান পাক ছিল। তারা পাক জবান দ্বারা যখন জিকির করেছেন, কোরআন তিলাওয়াত করেছেন, দোয়া করেছেন, তাদের জিকির কবুল হয়েছে। তাদের তিলাওয়াত কবুল হয়েছে। তাদের দোয়া কবুল হয়েছে। আর আমরা আমাদের জবানকে হেফাজত করি না। আমাদের জবান নাপাক। আমরা নাপাক জবান দ্বারা জিকির করি, কবুল হয় না। তিলাওয়াত করি, কবুল হয় না। দোয়া করি, কবুল হয় না। হজরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহ.) বলতেন, পাত্র থেকে তরকারি উঠানোর জন্য চামুচ ব্যবহার করা হয়। চামুচ যদি নাপাক থাকে তাহলে ওই চামুচকে পাক করে তারপর পাত্রে দিতে হয়। আল্লাহ পাক আমাদের জবানের হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিএনপির ভোট বিপর্যয়ে চাপে এমাজউদ্দীনরা!

বিএনপির ভোট বিপর্যয়ে চাপে এমাজউদ্দীনরা!


ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের যাত্রা শুরু। টানা আন্দোলন থেকে নির্বাচনী মাঠে বিএনপিকে নিয়ে আসার পেছনে এই সংগঠনটির হাতই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীনের নেতৃত্বে এই সংগঠনের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করে খালেদা জিয়া ও তার লন্ডন প্রবাসী ছেলের মত আদায় করে নেন। মামলা-হামলায় জর্জরিত বিএনপি নেতারা তখনই নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। বলেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে লাভ নেই। তাছাড়া বিএনপিকে আগে সাংগঠনিকভাবে শক্তি অর্জন করতে হবে। তখন এমাজউদ্দীনরা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নানা যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলো।বলেছিলো নির্বাচনে হারলেও লাভ, জিতলেও লাভ। কিন্তু নির্বাচনী প্রচার শেষে ভোটের দিন হঠাৎ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এবং ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন বর্জন করার ব্যাপারে বিএনপির ভেতরের তৎপরতা ফাঁস এবং “বর্জন নিয়ে ফোনালাপ” ফাঁস নিয়ে নানামুখী আলোচনা সমালোচনা চলছে এখন দেশজুড়ে। সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির ফল বিপর্যয় নিয়ে একটি পক্ষ সরাসরি এমাজউদ্দীনদের দায়ি করছেন।তারা বলছেন ফল বিপর্যয়ের পর বিএনপি বড় ধাক্কায় খেয়েছে। এসব নিয়ে নানামুখী সমালোচনায় রীতিমতো চাপের মুখে রয়েছে এমাজউদ্দীনরা। তবে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতারা বলছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহন ও বর্জনের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিএনপি প্রধানের সিগন্যাল পাওয়ার পরই সব বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকাসহ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৮ এপ্রিল ঘোষণা করা হয় আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের স্টিয়ারিং কমিটি। যার নেতৃত্বে রাখা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ এবং বিএফইউজের (একাংশ)সভাপতি শওকত মাহমুদকে। কমিটির অন্য সদস্যরাও বিএনপিপন্থি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা।আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেয়ার সুযোগ না থাকায় ঢাকায় আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। শুরুতে সংগঠনের নেতাদের মধ্যে পদ পদবি নিয়ে কিছুটা ঝামেলা থাকলেও পরে তা সমাধান হয়ে যায়। প্রার্থী চুড়ান্ত হওয়ার আগে মতামত দেয়া, বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া তুলে ধরা, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা, প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগসহ সবকিছুতেই সম্মুখভাবে ছিলো আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতারা। আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভোটবর্জনের পরের দিন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভোট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এসময় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে নতুন করে নির্বাচন চাওয়া হয়।তবে কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ। নির্বাচনের আগে সংগঠনটির কর্তাব্যক্তিদের কর্মতৎপরতায় মনে হয়েছে বিএনপি নয় এমাজউদ্দীনরাই মূখ্য ভূমিকায়। নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জোটের নেতাদের নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরে সমন্বয় কমিটি হলেও তাদের খুব বেশি তৎপরতা চোখে পড়েনি। অন্যদিকে গোটা সময়জুড়ে বিএনপি নেতাদের চেয়ে ব্যস্ত ছিলেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে গেছি, এ কথা বলা পুরোপুরি ঠিক হবে না। আমরা দেশে শান্তি ও স্বস্তি চেয়েছি বলেই তাদের নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছি।' তার দাবি, “বর্জন করা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির লাভ হয়েছে। অন্যদিকে যারা ভোট নষ্ট করেছে তাদের ক্ষতি হয়েছে।” আর সংগঠনটির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার চাপের কথা ভিত্তীহীন দাবি করে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জনে ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। এখানে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়া যে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেই অনুযায়ী কথা বলেছি।ভোট বর্জনের সময় যা বলা হয়েছে তাও তার কাছ থেকে অনুমোদিত ছিল।” ভোট বর্জনের জন্য আরো অপেক্ষা করা যেত- সমালোচকদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে, তাতে আরো পরে বর্জন করলে কি হতো?”
বেলপুরি রেসিপি

বেলপুরি রেসিপি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বিকেলের নাস্তায় আমরা সাধারণত জলখাবার খেয়ে থাকি। জলখাবারের মধ্যে একটি হল বেলপুরি। তেল দিয়ে ভাজা মুখরোচক বেলপুরি ছোট-বড় সবার কছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। বাড়িতে খুব কম সময়ের মধ্যে আপনি তৈরী করতে পারেন এ বেলপুরি। আসুন বেলপুরি তৈরীর উপাদান ও নিয়মগুলি জেনে নেই। তৈরীর উপাদান ১. এক কাপ সাদা ময়দা ২. এক কাপ সিদ্ধ আলু ৩. দুই টেবিল চামচ টমেটো সস ৪. পাঁচ টেবিল চামচ চানাচুর ৫. চার টেবিল চামচ মটর ডাল ৬. তিন টেবিল চামচ কাজু বাদাম ৭. এক টেবিল চামচ লেবুর রস ৮. তিন টেবিল চামচ চিনি ও পরিমান মত কাঁচা মরিচ তৈরীর নিয়ম প্রথমে একটি বাটিতে আটা, সিদ্ধ আলু, টমেটোর রস, চানাচুর, মটর ডাল, কাজু বাদাম, লেবুর রস, চিনি ও পরিমাণমত কাঁচা মারিচ একত্রে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। পরে এগুলো হাতে নিয়ে গোল আকৃতির করে ডুব তেলে ভাজতে হবে। উপরুক্ত নিয়মগুলো মেনে খুব সহজে বাড়িতে তৈরী করতে পারেন সুস্বাদু বেলপুরি।
 সুবহানিঘাট মাদরাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাকের ইন্তেকাল

সুবহানিঘাট মাদরাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাকের ইন্তেকাল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:  দেশবরেণ্য শায়খুল হাদিস, সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা ইসহাক আর নেই। তিনি বুধবার রাত সোয়া ১০টায় সিলেটের একটি হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে (কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউপির বীরদল গ্রামে) নেওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন(ইন্না—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র-ভক্ত রেখে গেছেন। মরহুমের জানাযার নামাজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। শায়খুল হাদীস ইসহাক-দরসে বোখারী ও দরসে মিশকাতের রচয়িতা।
তিনি ছিলেন জামেয়া মাদানিয়া ইসলামীয়া কাজির বাজার মাদ্রাসা সাবেক শায়খুল হাদিস। এছাড়া, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জামেয়া মাহমুদিয়া ইসলামীয়া সোবহানীঘাট মাদ্রাসার শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করেন।
আল্লামা ইসহাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন-  জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি, আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরী,জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দিন, রেঙ্গা মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা শিহাবুদ্দীন, দরগাহ মাদরাসার মাওলানা মুহিবুর রহমান গাছবাড়ী, মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া, মাওলানা ছালেহ আহমদ জকিগঞ্জি, মাওলানা মাহমুদুর রহমান তালবাড়ী, মাওলানা নজরুল ইসলাম তালবাড়ী, মাওলানা ছালেহ আহমদ ছালিক, মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, মাওলানা ছয়ফুল আলম, আব্দুল মুছাব্বীর জামডহরী, শাহ নজরুল ইসলাম ও মাওলানা কবির আহমদ প্রমুখ।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালবাসীর সহায়তায় ফেসবুক

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালবাসীর সহায়তায় ফেসবুক


তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালবাসীর সহায়তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক। ফেসবুক কর্তপক্ষ সূত্র উল্লেখ করে জি নিউজ জানায়, নেপালের সহায়তার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'ডোনেশন বাটন' নামে নতুন একটি বাটন যোগ করা হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এ বাটনের মাধ্যমে নেপালকে বাঁচাতে পারবে বলে মনে করছেন ফেসবুক কর্তপক্ষ। নিউজ ফিডের একেবারে ওপরে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নতুন এক অপশন দেখতে পারবেন। এর মাধ্যমে নেপালে কর্মরত আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা পাঠানো যাবে। প্রায় ২৫ লাখ মানুষের আবাসস্থল কাঠমান্ডু ও এর আশপাশের উপত্যকার বাসিন্দারা শনিবার বেলা ১১টার দিকে রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটির কিছুক্ষণ পরই আবারো ৬.৪, গতকাল রোববার দুপুরে ৬.৭ এবং রাত ১০টার দিকে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্পের শিকার হন। এছাড়া দিনভর কম্পন তো ছিলই। আরো ধারাবাহিক কম্পনের আশঙ্কায় পথে রাত কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। বিপর্যস্ত নেপালের প্রতি বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ, জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ধারাবাহিক ভূমিকম্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সেসব সাহায্য সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মানুষের হাহাকার।

Wednesday, April 29

ইন্দোনেশিয়ায় আট মাদক পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইন্দোনেশিয়ায় আট মাদক পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর


ডেস্ক নিউজ: ইন্দোনেশিয়ায় ফায়ারিং স্কোয়াডে আট মাদক পাচারকারীর মৃতুদণ্ড কার্যকর করেছে সে দেশের আদালত। মাদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাত বিদেশি ও এক স্থানীয়সহ আট মাদক পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় মধ্য ইন্দোনেশিয়ার নুসাকাম্বাগান দ্বীপে অবস্থিত কারাগারে ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দু’জন, ব্রাজিলের একজন, আফ্রিকার চারজন ও একজন ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয়। শেষ মুহূর্তে ফিলিপাইনের এক নারী অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হয়। মেরি জেন ফিয়েস্তা নামে ওই নারীর প্রাণভিক্ষা চান দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজে। ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে, দণ্ডিত তাদের দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন পেছাতে অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধ রাখেনি ইন্দোনেশিয়া। এর আগে কথিত ‘বালি নাইন’ মাদক চোরাচালান গ্রুপের মূল হোতা অস্ট্রেলীয় দুই নাগরিক এন্ড্রু চ্যান ও মাইয়ুরান সুকুমারানের সঙ্গে দেখা করেন তাদের স্বজনরা। কারাগার থেকে স্বজনরা চলে যাওয়ার পর সাদা কফিন বহনকারী কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স কারাগারে পৌঁছায়। ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণত মধ্যরাতের পরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে। হেরোইন পাচারের চেষ্টার অভিযোগে চ্যান ও সুকুমারানসহ ৯ জন বিদেশিকে ২০০৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ কারণে তারা ‘বালি নাইন’ নামে পরিচিতি পান। ২০০৬ সালে আদালতে তারা দোষী সাব্যস্ত হন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা হয় যাবজ্জীবন, না হয় ২০ বছরের জেল খাটছেন। ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিকে দণ্ড কার্যকরের বিষয়ে অবশ্যই ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হয়। গত রবিবার সেই নোটিশ দেওয়া হয়। সূত্র : এএফপি বিবিসি
দড়িতে হেঁটে বিয়ে

দড়িতে হেঁটে বিয়ে


ডেস্ক নিউজ: নিজের ভালোবাসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রত্যেক প্রেমিকেরই থাকে। মনে মনে সে চেষ্টাও করেন অনেকে। তবে এ উচ্চতার কথা নেহাত ভাবগত। কেউ যে সেটাকে আক্ষরিক অর্থে কাজে লাগাবে, তা কবে কি ভেবেছেন! কিন্তু নিজেদের বিয়েতে এমন কিছুরই পরিকল্পনা করছেন ব্রিটেনের ক্রিস বুল এবং ফোয়েবি বেকার। শুক্রবার সমারসেটে দাওয়াত খেতে আসা শ'খানেক অতিথির চেয়ে ৮০ ফুট উঁচুতে থেকে বিয়ে করার পরিকল্পনা তাদের। ব্রিস্টলের হ্যানহ্যামের বাসিন্দা এ যুগল বিশেষ দিনটিতে ২৬০ ফুট উঁচুতে হাঁটার জন্য দড়ি টাঙানোর যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করছেন। আর বিয়ে পড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন একজন রিংমাস্টার। মেগাফোনে মন্ত্র উচ্চারণ করবেন তিনি। ঝুলন্ত অবস্থায় আংটিও বদল করবেন তারা। অবশ্য আগেভাগেই ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ের যাবতীয় কাজ সেরে রেখেছেন ক্রিস- ফোয়েবি। বিয়ের 'অ্যাক্রোবেটিক' আনুষ্ঠানিকতাকে ঐতিহাসিক বানাতে রিহার্সালও করছেন তারা। কনে ফোয়েবি বেকার পেশায় একজন দর্জি। তিনি বলেন, কিসের সঙ্গে পরিচয়ের পর আমরা প্রায়ই দড়ির ওপর হাঁটতাম। তখনই এ পরিকল্পনা করি। করবেন নাই বা কেন, হবু বর যে পেশায় একজন দড়াবাজ। ব্রিটেনে এভাবে বিয়ে এটাই প্রথম। আর বিয়ের ভেন্যুর মালিক গ্যারি কোটলে একজন সাবেক সার্কাস মালিক হওয়ায় তিনিও ব্যাপক খুশি। কারণ, তার খামারে আগেও বিয়ের আয়োজন হয়েছে বটে, তবে এমন উদ্ভট নয়। মূলত গ্যারির আত্মজীবনী পড়েই এমন বিয়ের ব্যাপারটি তাদের মাথায় আসে। দড়ির ওপর হাঁটার জন্য বিয়ের গাউনটিও বিশেষভাবে বানিয়েছেন রোমাঞ্চপ্রিয় ফোয়েবি। ডেইলি মেইল।
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে আনসার সদস্যের মৃত্যু

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে আনসার সদস্যের মৃত্যু


গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে ডিপটি মিয়া (৪৫) নামে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার কুপতলা রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ডিপিটি মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজলঢোপ গ্রামের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিপটি মিয়া বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইলে গান শুনতে শুনতে কুলতলায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় লালমনিরহাট থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আশরাফুল হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গাইবান্ধা সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে নবনির্বাচিত ২ মেয়রের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সাথে নবনির্বাচিত ২ মেয়রের সাক্ষাৎ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার সন্ধ্যার দিকে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গণভবনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
 জকিগঞ্জের মনির চৌধুরী ঢাকায় সিটি কাউন্সিলর নির্বাচিত

জকিগঞ্জের মনির চৌধুরী ঢাকায় সিটি কাউন্সিলর নির্বাচিত


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জকিগঞ্জের ফয়জুল মনির চৌধুরী। তিনি রমনা-শাহবাগ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু আওয়ামীলীগ থেকে তাকে মনোনয়ন না দেয়ায় তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ঘুড়ি প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিপুল ভোটে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ফয়জুল মনির চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় জকিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। তিনি জকিগঞ্জের বারহাল ইউপির বাটইশাইল গ্রামের ফয়জুল মুহি চৌধুরী ছেলে। এদিকে মনির চৌধুরী কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ, রফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মারুফ বখতিয়ার চৌধুরী খুররম, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এমএ মালেক চৌধুরী মকু, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল হক খসরু, সাংবাদিক আল মামুন, শ্রীকান্ত পাল, এখলাছুর রহমান, অপূর্ব পাল, রিপন আহমদ, মোর্শেদ লস্কর, রহমত আলী হেলালী, আল হাছিব তাপাদার, উপজেলা কৃষকলীগ সহ সভাপতি মোক্তার হোসেন মুক্তা, উপজেলা প্রজন্মলীগ আহবায়ক ফয়েজ আহমদ, পৌর যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক নূরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগ সহ সভাপতি শাহারিয়ার হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুকিত, যুবলীগ নেতা নাজু আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, পৌর শ্রমিকলীগ যুগ্ম সম্পাদক মস্তোফা আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজির আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, জুনাইদ আহমদ জুনেদ, গুলজার আহমদ, শাওন, আব্দুর রহমান জীবন প্রমূখ। --সিলেটভিউ২৪ডটকম
কিম্ভুতকিমাকার বামুন ডাইনোসর

কিম্ভুতকিমাকার বামুন ডাইনোসর


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন পৃথিবীর অতিকায় বিলুপ্ত প্রাণি ডাইনোসরের কথা কে না জানে! ভয়াল-দর্শন এই প্রাণিটির সবচে ভয়াল প্রজাতিগুলোর একটির নাম টাইনোসোরাস রেক্স। এবার এই টাইনোসোরাস রেক্সের এক জ্ঞাতি ভাইয়ের খোঁজ মিলেছে। তবে এই দুই জ্ঞাতি ভাইদের আকারে আকাশ-পাতাল গরমিল। টি-রেক্সকে যদি বলি দৈত্য, তবে ওর জ্ঞাতি ভাইটিকে বলতে হবে নিতান্তই পুঁচকে। আকারে ছোট হলে কি হবে, ওর চেহারাটা বড়ই গোলমেলে আর সৃষ্টিছাড়া। একে খুঁজে পাবার পর দুনিয়ার বাঘা বাঘা জীবাশ্মবিদদের তো রীতিমতো আক্কেল গুড়ুম! এক জগাখিচুড়ি চেহারার এই প্রাণিটির ‘একই অঙ্গে অনেক’ প্রজাতির ডাইনোসরের বৈশিষ্ট্য দেখতে পেয়েছেন তারা। বলা বাহুল্য, এমন অদ্ভুতুড়ে আদলের ডাইনোসর কস্মিনকালেও দেখেনি কেউ। বিজ্ঞানীরা এর একটা বাহারি নামও দিয়েছেন—চিলেসোরাস দিয়েগোসুয়ারেসি(Chilesaurus diegosuarezi)! মূলত উদ্ভিদভোজী এই চিলেসোরাসের মাথাটি ক্ষুদ্রাকৃতির, গলা লম্বাটে আর আঙ্গুলগুলো বেঁটে, বেঢপ আর মোটা। মুখের অগ্রভাগ পাখির ঠোঁটের মতো ঈষৎ বাঁকানো আর চ্যাপ্টাকৃতির । অনেকটা প্লাটিপাসের মতো।। দাঁতের আকার চোখা নয় বরং পাতার মতো। এদের দাঁত-মুখের এমনধারা আকারই বলে দেয় এরা ছিল তৃণভোজী। এদের পেছনের পায়ের আকৃতির সাথে থেরোপড প্রজাতির(theropod dinosaurs) ডাইনোসরদের পায়ের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই থেরোপড ছিল ‘প্রাচীন পৃথিবীর সবচে ভয়ানক খুনি’ হিসেবে কুখ্যাত টি-রেক্স, ভেলোসিরাপ্টর ও শিং-অলা অতিকায় কারনোটোরাসদের (T. Rex, Velociraptor and the horned Carnotaurus) গোত্রের। জীবাশ্মবিজ্ঞানীরা নতুন এই প্রজাতিটির ব্যাপারে মুখ খুলেছেন গত ২৭ এপ্রিল ২০১৫, সোমবার। যদিও এর ফসিলের একটি অংশ প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ২০০৪ সালে। কিন্তু পুরো কংকাল খুঁজে পেয়ে সেসব জোড়া লাগাতে চলে গেছে এতগুলো বছর। কৃতী এই বিজ্ঞানীদের একজন হচ্ছেন ফার্নান্দো নোভাস। আর্হেন্তিনার ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানালেন চিলেসোরাস দিয়েগোসুয়ারেসির মতো এমন বেঢপ-বিদঘুটে চেহারার ডাইনোসরের দেখা আর কখনো পাননি তারা ("Chilesaurus constitutes one of the most bizarre dinosaurs ever found...’’)। ‘‘প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমরা বুঝিবা তিনটি ভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসরের ফসিল খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু যখন সব হাড়-কঙ্কাল জোড়া লাগালাম তখন বুঝলাম এটা একটা অভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসরেরই ফসিল।’’—এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন ফার্নান্দো নোভাস। এর নাম তারা ‘‘চিলেসোরাস দিয়েগোসুয়ারেসি’’ কেন রাখলেন, সে-কারণও ব্যাখ্যা বর্ণনা করলেন নোভাস। ফসিলটা পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে। ওটা প্রথম খুঁজে পায় দিয়েগো সুয়ারেস নামের ৭ বছরের এক পুঁচকে। ওর দেশ আর ওর নিজের নাম ‘চিলি’ আর ‘সুয়ারেস’—এই দুয়ে মিলে হয়েছে ‘‘চিলেসোরাস দিয়েগোসুয়ারেসি’’। চিলেসোরাসের প্রথম হাড়টি বালক দিয়েগো সুয়ারেস খুঁজে পেয়েছিল ২০০৪ সালে। পুঁচকে সুয়ারেস তার জীববিজ্ঞানী বাবা-মায়ের সাথে আন্দেস পর্বতে ‘নতুন কিছুর সন্ধানে’ বেরিয়েছিল। গিয়েই করলো এই বাজিমাত। এরপর চললো ফসিলের বাকি হাড়গুলোর খোঁজ। এতদিন পর পাওয়া গেল চিলেসোরাসের পুরো কংকাল। পরে সেসব জোড়া লাগানো হলো। থেরোপড প্রজাতির অতিকায় টি-রেক্স ডাইনোসরদের গলা তুলনামূলকভাবে বেঁটে, মাথাটা বিশালাকায় প্রকাণ্ড থামের মতো ওর পেছনের দু’পায়ের পেশীও ছিল আর প্রচণ্ড গাট্টাগোট্টা। ওদের নখরও ছিলো বিরাট আর ভীতিকর। অতিকায় চোয়াল জুড়ে বসানো ছিল তীক্ষ্ণ-ধারালো দাঁতের পাটি। কিন্তু ‘‘চিলেসোরাস দিয়েগোসুয়ারেসি’’ নামের টি-রেক্সদের এই বামুনাকৃতির নিকটাত্মীয়টি লাগিয়ে দিয়েছে যতো গণ্ডগোল। জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের আগের সব ধারণাই সে দিয়েছে পাল্টে। যেমন, আকার অদ্ভুতুড়ে হলেও টি.রেক্সের মতো মোটেই ভয়াল দর্শন নয় সে। নিজের গোত্রের অন্য ভাই-বেরাদরদের সাথে চেহারা ও আকারে মিল থাকার কথা ছিল তার। অথচ মিল একদমই নেই। সাধে কি আর জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের চোখ কপালে উঠেছে! ‘‘চিলেসোরাস দিয়েগোসুয়ারেসি’’ তাদের জন্য এক মহাবিস্ময়ের খোরাক যুগিয়েছে। এ-কারণে ‘‘গোলকধাঁধার ডাইনোসর’’ বলে একটি গালভরা অভিধাও জুটেছে এর। ‘গোলকধাঁধার ডাইনোসর’: ভয়াল দর্শন টি-রেক্সের আত্মীয় হলে কি হবে, চিলেসোরাসের খুলির আকৃতি ছিল খুবই ছোট। চোয়াল বলতে কিছুই ছিল না তেমন। বরং ওর মুখের গড়ন অনেকটা পাখির ঠোঁটের আকৃতির। প্লাটিপাসের চ্যাপ্টা ঠোঁট যেমন। এর উপর বসানো ঈষৎ সূঁচালো আকারের নাসারন্ধ্র। দাঁতের আকৃতি পাতার মতো। সামনের দু’পায়ের প্রতিটিতে মাত্র একজোড়া নখ। বলতেই হবে, টি-রেক্সের ভয়াল-করাল মূর্তির পাশে নিতান্তই গোবেচারা চেহারা! যেন দৈত্যের পাশে বামুন। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘গোলিয়াথ’ আর ‘ডেভিড’! তাহলে কতোটা খর্বাকৃতির ছিল এরা? কোনো কোনোটি আকার নাকি ছিল পূর্ণবয়স্ক টার্কির মতো---আকার এতোটাই ছোট। অবশ্য কোনো কোনোটি তিন মিটার পর্যন্ত লম্বাও হতো। বিজ্ঞানীদের বিস্ময়টাও একারণেই। এদের অদ্ভুতুড়ে আকৃতি নাকি একইসঙ্গে অনেক প্রজাতির ডাইনোসরের আকৃতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ফার্নান্দো নোভাস ও তার সতীর্থ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে লক্ষ করেছেন, আজকের দিনের প্লাটিপাসের মুখাবয়ব ও ঠোঁটের সাথে মিল, বিভারের মতো লেজ আর উদবিড়ালের মতো পা ---সবকিছু মিলে ওরা ছিল জগাখিচুড়ি আর কিম্ভুত এক প্রজাতি। এসব জেনে সুকুমার রায়ের ‘হাঁসজারু’র কথা মনে পড়ে যায় আমাদের। এরা যে ছিল একের ভেতর বহু, সেটাই হতবাক করার মতো ব্যাপার বটে। ফার্নান্দো নোভাসের কথায়ই তা স্পষ্ট: "We are puzzled by the weird anatomy of Chilesaurus, which recalls different dinosaurian groups," তার ধারণা, এই কিম্ভুত প্রজাতিটি ভবিষ্যতে জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের মধ্যে বিস্তর বিতর্কের জন্ম দেবে। আর তৃণভোজী ডাইনোসরের আবির্ভাব যে সময় হয়েছিল বলে ধারণা, সে ধারণাও পাল্টে দিয়েছে এই পুঁচকে চিলেসোরাস। মানে দাঁড়াচ্ছে, প্রচলিত ধারণার চেয়ে বহু লক্ষ বছর আগেই ওদের আবির্ভাব ঘটেছিল। চিলেসোরাসদের আবির্ভূত হয়েছিল জুরাসিক যুগের শেষ দিকে; আজ থেকে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে।অর্থাৎ ওরা ছিল ভীষণাকৃতির টি-রেক্সদেরও পূর্ব পুরুষ। টি-রেক্সেদের আবির্ভাব ঘটেছিল এদের অনেক পরে ক্রেটাসিয়াস যুগে ---আজ থেকে ৭ কোটি থেকে ৬ কোটি পঞ্চাশ লাখ বছর আগে। আকারে ছোট হলেও ওরা যে ছিল ভয়াল-বিপুল রি-রেক্সদেরও দাদার দাদা! !
বোকো হারাম থেকে তিনশ নারী উদ্ধার

বোকো হারাম থেকে তিনশ নারী উদ্ধার


ন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের কবল থেকে প্রায় তিনশ’ নারীকে উদ্ধার করেছে নাইজেরীয় বাহিনী। উদ্ধার পাওয়া নারীদের বেশিরভাগই কিশোরী বলে জানা গেছে। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সামবিসা বনভূমি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দেশটির প্রতিরক্ষা তথ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মেজর জেনারেল ক্রিস ওলুকোলাদে। তবে উদ্ধার পাওয়া কিশোরীরা গত বছর বর্নো রাজ্যের চিবক এলাকার একটি স্কুল থেকে অপহৃত হওয়া ছাত্রীরাই কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চত করে কিছু বলেননি মেজর জেনারেল ক্রিস। তিনি বলেন, মাত্র কিছু সময় আগে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এখনই পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব নয়। বিষয়টা পরিষ্কার হতে আরো সময় প্রয়োজন। তবে সেনাবাহিনীর অপর এক মুখপাত্র কর্নেল সানি উসমান জানিয়েছেন, উদ্ধার পাওয়া কিশোরীরা চিবক স্কুলের ছাত্রী নয়। এসময় তিনি জানান, অভিযান শেষে দুইশ’ বন্দি কিশোরী ও ৯৩ জন নারীকে উদ্ধার করেছে নাইজেরীয় বাহিনী। ২০১৪ সালের এপ্রিলে চিবকের একটি স্কুল থেকে প্রায় তিনশ’ কিশোরীকে অপহরন করে জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। এরপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।