Saturday, January 31

দাফনের আগে জেগে উঠলো মৃত শিশুটি!


ঢাকা: শুক্রবার রাত ১১টায় মা সুলতানার কোল আলোকিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভূমিষ্ট হয় একটি শিশু। জন্মের পরই তার নাম রাখা হয় সোহবান। প্রিয় সন্তানের চেহারা দেখার পর মা-বাবা থেকে শুরু করে পরিবারের লোকজনের মধ্যে যখন আনন্দ বিরাজ করছিল, ঠিক পরিবারের লোকজন শনিবার সকাল ৯টায় হঠাৎ দেখতে পায় সদ্যজাত সন্তান সোহবান নড়ছে না। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শিশুর অভিভাবকদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় শিশুটির ডেড সার্টিফিকেট বা মৃত্যু সনদ। পরে দাফনের জন্য শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। দাফনের পূর্বে শিশুটির গোসলের কাজ যখন শুরু করা হয়, ঠিক সেই মুহূর্তেই তারা দেখতে পান তাদের মৃত. সন্তানটি নড়াচড়া করছে। হতবিহ্বল পরিবার আশান্বিত হয়ে শিশুটিকে নিয়ে দৌড় দেয় হাসপাতালে। বর্তমানে তাকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে বিস্ময়কর এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে। শিশুটির বাবা কেরানীগঞ্জের চুনকুঠিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুলতানা আক্তারকে শুক্রবার রাত ১০টায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর এক ঘণ্টা পরই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী। পরে শিশুটির নাম রাখা হয় সোহবান। জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোহবানকে ২১১ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে তার নানী হনুফা বেগমের কাছে ছিল সে। সকাল ৯টায় সোহবান নড়াচড়া না করলে চিকিৎসককে জানানো হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে তার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন। তিনি আরও জানান, এর পর ভায়রা এজাজ খানকে সঙ্গে নিয়ে সোহবানকে দাফন করার জন্য আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানকার অফিস সহকারী নুরুল হুদা শিশুটিকে গোসল করাতে গেলে ফের সে নড়াচড়া করে ওঠে। আবার তাকে নিয়ে আসা হয় ঢামেক হাসপাতালে। বর্তমানে সোহবান সুস্থ আছে বলে জানান তার বাবা। এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়