Saturday, December 6

ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশি ছাত্র গ্রেপ্তার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের অভিযোগে এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিরত এক বাংলাদেশি ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ওই ছাত্রের নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত এই ছাত্রকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শফিকুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ডাডপুর গ্রামে বলে জানা গেছে। শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশেরই এক ছাত্রীর অশ্লিল ছবি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে সেটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকবার র্ধষণ করে। নির্যাতিতা ছাত্রী বিশ্বভারতীর পাঠভবনের বীথিকা ছাত্রী নিবাসের আবাসিক। ওই ছাত্রীর বাড়িও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কালিয়াগঞ্জ এলাকায়। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বিশ্বভারতীর পল্লি শিক্ষা ভবনে পিএইচডি করছিলেন। শুক্রবার রাতেই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ জানিয়ে থানায় মামলা করেন নির্যাতিতা। মামলায় বলা হয়, পাঁচ মাস ধরে শফিকুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর সে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবিও তুলে। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে টাকা-পয়সা চাওয়া শুরু করে। চাহিদা মতো টাকা-পয়সা না দিলে সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। নির্যাতিতা তার অভিযোগের কথা লিখিথভাবে বিশ্বভারতীর অধ্যক্ষকেও জানায়। অধ্যক্ষ নির্যাতীতা ছাত্রীকে নিয়ে শুক্রবার রাতে স্থানীয় শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানান। এরপরই শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীর মেসবাড়ি থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বোলপুর থানার ওসি অশোক মহাপাত্র জানান, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত শফিকুলের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, চারটি পেনড্রাইভ, চারটি মাইক্রোচিফ, চারটি সিমকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এ দিন সকালেই বাংলাদেশ থেকে ওই নির্যাতিতার পরিবারের লোক বিশ্বভারতীতে এসেছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত শফিকুলকে এ দিন বোলপুর আদালতে তোলা হয়। তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়