ডেস্ক রিপোর্ট : ভয়ংকর ঘটনা। ঘটনায় ভয়ে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা লন্ডনের ২২ বছর বয়সী তরুণী শেরি এমারসনের। হবেই না বা কেন? তিন বছর আগে মৃত নানির কফিনের সঙ্গে কবর দেওয়া মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস। তাতে মৃত সেই ব্যক্তি জানালো যে, শেরির ওপর সে নিয়মিত নজর রাখছে।
নিজের মোবাইল ফোনে বছর তিনেক আগে মৃত নানির এসএমএস পেয়ে ভয়ে রক্ত হিম হয়ে গিয়েছিল শেরির। ২০১১ সালে মৃত্যু হয় শেরির নানি লেসলি এমারসনের। খ্রিষ্টান রীতি মেনে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। কফিনে দেওয়া হয় তার প্রিয় কয়েকটি জিনিস, যার মধ্যে ছিল ৫৯ বছরের লেসলির সাধের মোবাইল ফোনটিও।
নানির আদরের নাতনি শেরি সেই নম্বরে মাঝেমধ্যেই মেসেজ পাঠাতেন। তিনি জানিয়েছেন যে, এভাবে মেসেজ পাঠিয়ে তিনি নানির কাছাকাছি রয়েছেন বলেই মনে করতেন।
কিন্তু একদিন সকালে ইনবক্স চেক করে ভয়ে বুকের রক্ত শুকিয়ে যায় শেরির। তার মেসেজের উত্তর দিয়েছেন মৃত নানি। মেসেজে নানি জানিয়েছেন যে, তিনি শেরির ওপর নজর রাখছেন।
ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শেরি। ভূতের তত্ত্ব বিশ্বাস না করে, তখন বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন শেরির চাচা। ওই নম্বরে আবার ফোন করেন তিনি।
শেষে জানা যায়, ওই ফোন নম্বরটি যিনি ব্যবহার করছিলেন, তার মৃত্যু হয়েছে জেনে, সেই নম্বর অন্য এক গ্রাহককে দেয় মোবাইল ফোন কোম্পানি। যে ব্যক্তি ওই নম্বরটি ব্যবহার করছিলেন, তিনি মাঝেমধ্যেই অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ পেয়ে শেষে একদিন মজা করে উত্তর দেন। আর এতেই যাবতীয় বিপত্তি। পরে অবশ্য ওই ব্যক্তি এবং মোবাইল ফোন কোম্পানি শেরির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে শেরির।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়