Tuesday, October 28

অব্যর্থ ১৪ ভেষজেই ব্যথা-মুক্তি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আপনিও জানেন, ব্যথা হলেই মুঠো মুঠো পেন-কিলার খাওয়া কতটা ক্ষতিকর! ব্যথা কমানোর এই সব ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া এতটাই জোরাল যে, ক্রমাগত নিতে থাকলে কিডনি বা লিভারের ক্ষতি হতে বাধ্য। কিন্তু ব্যথায় কাবু হয়ে পড়লে তখন কি আর এতশত মনে থাকে? তাই অসুস্থতা বা আঘাত থেকে অ-সহ্য ব্যথায় কষ্ট পেলে ওষুধ নয়, আপন করে নিন কিছু প্রাকৃতিক উপায়। ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যথা কমবে - ১. আঙুর: এই ফলের রসে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর (বিশেষ করে পিঠের দিকের) উপাদান আছে। তাই রোজ এক কাপ করে খেতে পারলে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ২. আনারস: এতে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলেইন আছে, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি পেশিতে ক্র্যাম্প বা টান ধরা আর প্রদাহ কমায়। বিশেষ করে, ইনফ্লমেটরি ডিজিজ আর্থ্রাইটিস-এর ব্যথা কমাতে ও বাড়তি মেদ ঝরাতে বা পেট-ফাঁপা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। ৩. রসুন: সেই প্রাচীন কাল থেকে নানা ধরনের ব্যথা কমাতে রসুনের ব্যবহার চলে আসছে। গাঁটের ব্যথা কমাতে তো ভীষণ কাজ দেয়। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশেয়ে নিন। এই মিশ্রণ জয়েন্টে মাসাজ করলে আরাম মেলে। রসুন থেঁতো করে লবন মিশিয়ে লাগালে দাঁতের ব্যথা কমে। ৪. লবঙ্গ: রসুনের মতো লবঙ্গও দাঁতের ব্যথা কমায়। গোটা লবঙ্গ বা লবঙ্গের তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে আস্তে আস্তে ব্যথা কমে যায়। ৫. আদা: সমীক্ষা বলছে, রোজ একটুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারলে শুধু আর্থ্রাইটিস নয় সব ধরনের ব্যথা থেকেই মুক্তি মিলবে। ৬. হলুদ: এর মধ্যে ‘কারকিউমিন’ নামে বিশেষ উপাদান আছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লমেটরি। অর্থাৎ, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস, পোড়া, বা আঘাত জনিত ব্যথা কমাতে বহু কাল ধরেই হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। 5 ৭. চেরি: এই ফলের ‘অ্যানথোসায়ানিস’ উপাদান গাঁটের ব্যথা কমায়। ৮. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এটি খেলে শরীরে অ্যালকালাইন তৈরি হয়, যা বুক-জ্বালা কমায়। একগ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে অম্বল, বুক-জ্বালা সবই কমবে। ৯. ওটস: নিয়মিত ওটস খেতে পারলে মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্প আর তলপেটের ব্যথা কমে। কেন জানেন? ওটস-এ প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদান-ই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ১০. ব্লুবেরি: ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন কমাতে চান? তাহলে ব্লুবেরি খেতেই হবে। একই সঙ্গে পেপটিক আলসার, হজমের সমস্যা বা ব্লাডারে ইনফেকশন হলেও এই ফল চলতে পারে। এছাড়া, এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। ১১. ক্র্যানবেরি: ব্লুবেরি-র মতোই এটিও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, আলসার কমায়। তাই এই সব কারণে পেটে ব্যথা হলে ক্র্যানবেরি-র রস খেতেই পারেন। তবে এই রস সব সময় টাটকা খাবেন। ১২. পুদিনা: দাঁত, গাঁট, মাথা আর পেশির ব্যথা কমাতে পুদিনার রস অনেকেই খেয়ে থাকেন। ব্যথা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের সমস্যা বা পেট-ফাঁপা কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন। ১৩. মাছের তেল: এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথা, পিঠ, স্নায়ু ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এর ব্যথা কমায়। ১৪. সূর্যালোক: ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে শরীরে খুব ব্যথা হয়। সেই ব্যথা কমাতে পারে সূর্যের আলো। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা ঘাটতি মিটিয়ে ব্যথা কমায়।- ওয়েবসাইট।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়