নিউজ ডেস্ক : তেলের খনি আবিষ্কারের লক্ষ্য নিয়ে সিলেটের কৈলাশটিলায় কূপ খনন শুরু করেছে বাপেক্স। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো তেলকূপ খনন প্রকল্প। ত্রিমাত্রিক ভূ-কম্পন জরিপের মাধ্যমে যাচাই করে এ কূপ খনন শুরু হওয়ায় নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী পেট্রোবাংলা।
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের সাত নম্বর কূপটি তেল উত্তোলনের লক্ষ্য নিয়ে খনন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের খনন যন্ত্র বিজয় দশ দিয়ে চলছে তেলের অনুসন্ধান। এ তেলকূপ খননে মোট খরচ হবে ২১৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে বাপেক্সের ত্রিমাত্রিক ভূ-কম্পন জরিপের মাধ্যমে কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় গ্যাসের পাশাপাশি প্রায় ১১ কোটি ব্যারেল তেলের মজুদ আছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তারা এখানে তেল পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।
এই প্রকল্পের পরিচালক মেহেরুল হাসান জানান, ‘সর্বমোট ১২টি স্তর বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এর মধ্যে ৭টি গ্যাসের স্তর, ৪টি তেলের স্তর এবং একটি হলো যৌথভাবে তেল ও গ্যাসের স্তর।’ এই কর্মকর্তা আরো জানান, ১১শ’ থেকে ৩১শ’ পঞ্চাশের উপরে হলো গ্যাস এবং ৩১শ’ পঞ্চাশ থেকে ৩ হাজার পাঁচশ পর্যন্ত গভীরতা হলো তেল’।
প্রকল্পের আরেক পরিচালক মো. হারানুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, ‘এখনো নিশ্চত করে বলা যাবে না, তবে থ্রিডি রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে ৪টি জোন তেল আছে, এর মধ্যে আমি আশাবাদী একটিতে হলেও পাওয়া যাবে’।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের কৈলাশটিলা- গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে আবিষ্কৃত হলেও বর্তমানে এর ৬টি কূপে গ্যাসের সাথে অপরিশোধিত তেলও পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে সাত নম্বর কূপে সাফল্য পেলে এটি হবে আবিষ্কৃত প্রথম তেল খনি। আর প্রাথমিকভাবে এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৫শ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা যাবে।
পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. হোসেন মনসুর আশা প্রকাশ করে বলেন, তিন মাসের মধ্যেই এই কূপের খনন কাজ শেষ করে আনা সম্ভব হবে’।
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের ইতিহাসে সুনির্দিষ্টভাবে তেল উত্তোলনের লক্ষ্য নিয়ে এর আগে কখনোই কূপ খনন করা হয়নি। ১৯৮৬ সালে হরিপুরে গ্যাস কূপ খনন করতে গিয়ে তেল পাওয়ার গিয়েছিল। সেখান থেকে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদনের পর ১৯৯৩ সালে কূপটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়