Monday, October 7

ঝিনাইগাতীতে জমে উঠেছে ঈদ ও পুঁজাবাজার


শেরপুর: ঝিনাইগাতীতে জমে উঠেছে ঈদ ও পুঁজাবাজার। বিপণী বিতানগুলোতে এখন দেখা যাচ্ছে  ক্রেতাদের উপচেপড়া ভির। চলছে বিক্রেতাদের নানা হাঁক-ডাক। বেড়েছে ব্যাপক ব্যস্ততা।  কিন্তুু এবার অন্যান্য বারের চেয়ে কাপড়সহ অন্যন্য পণ্যের দাম অনেক চড়া। তাই ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে প্রচন্ড দরকষাকষি।  
কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন ঈদ ও পুঁজাকে সামনে রেখে বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। ঝিনাইগাতীর বড় কাপড় ব্যবসায়ী শিউলি বস্ত্রালয়ের মালিক ঝিলন সেক, অনন্ত মার্কেটের সাগরিকা ব¯্রালয়ের মালিক শ্রী. কৃষœ, দেওয়ানী মার্কেটের মধুমিতা বস্ত্রালয়ের মালিক শ্রী.অজিত চন্দ্র দাস, প্রামানিক মার্কেটের বাবুল বস্ত্রালয়ের মালিক বাবুল মোল্লা, ফ্যাশন গার্মেন্টস এর মালিক মিজানুর রহমান ও হাফিজুর রহমান জানান, এ সপ্তাহে আগের চেয়ে মুটামুটি ভালই বেচাকেনা হচ্ছে ঈদ ও পুঁজা উপলক্ষ্যে। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে বেড়েছে ক্রেতাদের উপস্থিতি আর বেড়েছে বিক্রেতাদের ব্যবস্ততা-সেই সাথে ব্যাপক বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অন্যবারের চেয়ে মুটামুটি বেচাকেনা ভালই। তবে কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসের দাম বেশী তাই চলছে প্রচন্ড দরকষাকষি। 
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ক’দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা কিছুটা কম থাকলেও রোববার থেকেই ভাল বেচাকেনা হচ্ছে। 
সব ধরণের কাপড়-চোপড়ই এবার ভাল চলছে। তবে প্যান্ট,শার্ট, পিস কাপড়, শাড়ি, লুঙ্গিঁ, বিছানার চাদর, থ্রি-পিস, পায়জামা এবং পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বেশী।
মসজিদ রোডের ফ্যাশন গার্মেন্টস এ নতুনত্ব আনায় সেখানে দেখা গেছে প্রচুর ক্রেতাভির। শাড়ির বড় বড় দোকানগুলোতে ভারতীয় শাড়ির আধিক্য বেশ চোখে পড়ার মতো। শিউলি বস্ত্রালয়ের মালিক শাড়ির বড় ব্যবসায়ী ঝিলন সেক জানান. ভারতীয় আমদানি করা বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় শাড়ির চাদিাই এবার বেশী। তবে সিট কাপড় এবং জুতা-সেন্ডেলের দোকানেও প্রচন্ড ভির দেখা যাচ্ছে। 
ক্রেতা আয়োব আলী ফর্সা জানান জেলা শহর থেকে অনেক ভালো মানের কাপড় আমদানি হয় ঝিনাইগাতীতে। দামের দিকটাও জেলা শহর থেকে উপজেলা শহর ঝিনাইগাতীতেই অনেক সাশ্রয় বলে তিনি মণে করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারগুলোতে ঈদও পুঁজাবাজার এখন জমজমাট। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যবসায়ীরাও নানা ধরণের আকর্ষণীয় জিনিসপত্র দোকানের সামনে সাজিয়ে রেখেছেন। 
অনুপম টেইলার্স ও কামাল টেইলার্সের মালিক জানান ইতিমধ্যেই তারা অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। 
এ বারের ঈদও পুঁজাবাজারকে সামনে রেখে ঝিনাইগাতীতে পুরুষ ক্রেতার পাশাপাশি মহিলা ক্রেতাদের বেশী ভির পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রিরা বিকাল বেলায় দোকানগুলোতে পছন্দের জিনিস কেনার জন্য ভির জমাচ্ছে।
 ঈদও পুঁজাবাজারে কেনাকাটা আগে থেকেই সেরে ফেলার কাজটি উপজেলা শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঈদও পুঁজা উৎসবে বিকিকিনি জমিয়ে তুলতে দোকান গুলোও সাজানো হয়েছে মনোরমভাবে।
উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গার্মেন্টস দোকানে রেডিমেট পোশাক, জুতা, প্রসাধনী দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভির। এবার সবচে আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে শিশুদের পোশাক পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে নানা বাহারি নাম দিয়ে।
মেয়েদের সেলাইবিহীন থ্রি-পিস চলছে সবচে বেশি।
ছেলে শিশুদের কার্টুন আঁকা শার্ট এবং গেঞ্জি ও বিভিন্ন ধরণের সার্ট-প্যান্ট-গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে ৫ শ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। মেয়েদের ঝিলিক, ওয়ানটেক, ফুলকি এবং ফ্লোক নামে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ঈদও পুঁজাবাজরে। এ ছাড়াও টাঙ্গাইলের শাড়ীর প্রচুর কদর রয়েছে বলে জানান শিউলি বস্ত্র বিতানের মালিক ঝিলন সেক। 
ঝিনাইগাতীর ঈদও পুঁজাবাজারে এখন সবচে বেশী বিক্রি হচ্ছে শর্ট জামা- শর্ট পাঞ্জাবির সাথে জিন্সের প্যান্ট। তাছাড়াও বডি ফিটিং গেঞ্জির চাহিদাও প্রচুর বলে জানান ফেশন গার্মেন্টস এর মালিক। জানা যায়, তরুণরাই এসব পোশাকের মূল ক্রেতা। 
আর অপেক্ষাকৃত বয়স্করা কিনছেন সুতি পাজামা-পাঞ্জাবি। অনেক তরুণদের পছন্দ ও শর্ট পাঞ্জাবি। শর্ট পাঞ্জাবি ১শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এ ছাড়াও মহিলাদের প্রধান আকর্ষণ বাহারি অলংকার ও কসমেটিকসসহ নানা পণ্য। তবে স্বর্ণালংকারের দাম বেশী হওয়ায় এবার বেচাকেনা কম হচ্ছে বলে জানান ঝিনাইগাতী জুয়েলারী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সরাফত জুয়েলারীর মালিক মোঃ সরোয়ারদী দুদু মন্ডল। 
তবে সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে মণে হচ্ছে এসব কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্য এ বছর দাম অনেক বেশী থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার পরও  ঈদ আর পুঁজা বলে কথা। এ ছাড়া দাম যাই হোক না কেন যার যেমন সামর্থ্য সে অনুযায়ী পছন্দের পণ্যটি কিনে বাড়ী ফিরছেন ক্রেতারা। আবার কাউ কে বা ঋণ করে হলেও সাড়তে হচ্ছে উৎসবÑ এ ভাবেই মন্তব্য করেছেন গ্রামের বেশ কিছু হতদরিদ্র মানুষ।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়