Tuesday, September 24

মানিকগঞ্জে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং


মানিকগঞ্জ: দিনের বেলা ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে আর ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। রাতে বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে। এই ভাবে কি চলে। ক্ষোভের শুরে মানিকগঞ্জের বেওথা এলাকার বাসিন্ধা রাজা মিয়া বলছিলেন এ কথা। 
মানিকগঞ্জে আশ্বিন মাসের এই দু:সহ গরমে সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং এক ঘন্টা পর পর লোডশেডিং এর কারনে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পরেছে। জেলার বিদ্যুত বিতরন কতৃপক্ষের নানা অনিয়ম, দুনীতি ও অব্যবস্থা পনার কারনে সাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপয্যস্থ হয়ে পরেছে। অথচ কতৃপক্ষের টনক নড়ছে না। জেলার ৭টি উপজেলার বিদ্যুৎ বিভ্রাট এমন আকার ধারন করেছে যে দিনের অর্ধেক সময় ও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। যার ফলে জেলার শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মালিক ও শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফুসে উঠছে জনগন।
মানিকগঞ্জ পল্ল¬ী বিদ্যুতের জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলায় বর্তমানে পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৭২ মেগাওয়াড আর অফ পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬২ মেগাওয়াট। সে খানে মানিকগঞ্জ জেলায় রবিবার বরাদ্দ ছিল ২৪ মেগাওয়াড, সোমবার বরাদ্ধ ছিল ৩০ মেগাওয়াড, আর মঙ্গলবার বরাদ্ধ ছিল ৩৪ মেগাওয়াড। অর্ধেক এর ও কম বরাদ্ধ নিয়ে চলছে মানিকগঞ্জ পল¬ী বিদ্যুৎ।
মানিকগঞ্জের পল¬ী বিদ্যুতের গ্রাহকরা এখন ১ ঘন্টা বিদ্যুত পেলে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 
জানা গেছে, গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে কম পরিমানে গ্যাস সরবরাহ করে। বর্তমানে গ্যাস সার কারখানায় সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি বলে জানা গেছে।
বিদ্যুতের এ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারনে মানিকগঞ্জের কলকারখানা প্রায় উৎপাদন বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে পরেছে। ব্যবসা বানিজ্যে পরেছে ভাটা। বিশেষ করে জেলার কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী পরেছে মহা ঝামেলায়। বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে রাতে গড়ে দুই ঘন্টার মতো বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। রাতে পড়ালেখায় মারাতœক সমস্যা হচ্ছে শিক্ষাথীদের।
মানিকগঞ্জ সরকারী দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স দ্বীতিয় বর্ষের ছাত্র লিমন হক জানায়, দিন রাতে কোন সময়ই এক ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বৃহ¯প্রতিবার থেকে পরীক্ষা লেখাপড়া করার মতো কোন উপায়ই নেই। পরিক্ষায় ফেল করলে দায় নিবে কে।
অপর দিকে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। গ্রাহকরা লোডশেডিং এর সময় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে কেউ ফোন ধরে না।
বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নম্বর গুলো বেশির ভাগ সময় তারা বন্ধ করে রাখে। যার কারনে গ্রাহকরা ফোন করে বিদ্যুৎ সম্পকে কোন তথ্য নিতে পারে না।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়