টেকনাফ(কক্সবাজার): আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবছর টেকনাফে লবণের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। অথচ শাহপরীরদ্বীপে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ বিধ্বস্থ থাকায় সাবরাং ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে এ বছর লবণ চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তবে উৎপাদন আধিক্যে লবণ চাষিরা খুশী হলেও দাম কম হওয়া এবং বিদেশ থেকে লবণ আমদানীর সরকারী সিদ্ধান্তে প্রচুর লবণ মজুদ করলেও লবণের সাথে সংশ্লিষ্টরা যুগপৎ হতাশ এবং ক্ষুদ্ধ । বিসিক টেকনাফ লবণ কেন্দ্রের তথ্য মতে টেকনাফ উপজেলার জন্য উৎপাদনের নির্ধারিত কোন লক্ষ্যমাত্রা নেই। ফের্রুয়ারী থেকে এপ্রিল এই ৩ মাসকে লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। টেকনাফের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান-গতবছর টেকনাফ উপজেলায় ৫ হাজার ১৬ একর জমিতে লবণ চাষে উৎপাদিত হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। আর এবছর শাহপরীরদ্বীপে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ বিধ্বস্থ থাকায় সাবরাং ইউনিয়নের সহস্্রাধিক একর জমিতে লবনের চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি। এবছর সাবরাং এর ৩০৮ জন লবণ চাষী ১৯০৭.৪০ একর, হোয়াইক্যং ১৫৭ জন লবণ চাষি ৩২৫.৪০একর, টেকনাফ সদর ১২৯ জন লবণ চাষী ৩৯৭.৮০একর, দক্ষিণ হ্নীলা ৩০ জন লবণ চাষী ৪৬.১৯ একর, শাহপরীরদ্বীপ ২৫ জন লবণচাষী ২৫৭.২০একর, হ্নীলা ৩১৯ জন লবণ চাষী ৭৫৩.৫৮ একরসহ এবারে লবণ চাষাবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৯০০একর জমিতে । এবছর মোট উৎপাদনের পরিমাণ ৯৫ হাজার ২০০মেট্রিক টন । গত বছরের তুলনায় এবছর সহস্রাধিক একর জমিতে লবণের চাষাবাদ কম হলেও উৎপাদন তুলনামূলক কম হয়নি। এদিকে লবণ উৎপাদন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে লবণ চাষী ও লবণ চাষীরা গুদামের অভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ মজুদ করেছে। বড় বড় মাটির গর্তে পলিথিন বিছিয়ে লবণ রাখার পর উপরে পলিথিন ও মাটি দিয়ে হাজার হাজার টন লবণ সংরক্ষণ করেছে। দেখলে মনে হয় মাটির কিল্লা বা টিলার মতো । এই উপায়ে সংরক্ষণ করা হলে লবণের কোন ক্ষতি হয়না বলে জানিয়েছেন মজুদদারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- কক্সবাজারে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প তথা বিসিকের আওতায় ১১টি লবণ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। তা হচ্ছে- টেকনাফ, কুতুবদিয়া, গোরকঘাটা, মাতারবাড়ি, উত্তর নলবিলা, ইসলামপুর, নাপিতখালী, চৌফলদন্ডি, বাঁশখালী, খুটাখালী ও দরবেশ কাটা।(ডিনিউজ)
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়