ঢাকা : সোনালী ব্যাংক-এর ৩৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির হোতা হল-মার্কের এমডি তানভীর মাহমুদের সঙ্গে জেলখানায় থাকতে চায় সাভার ট্র্যাজেডির হোতা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা। ২ মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডের ৫ম দিনে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এ আর্জি জানিয়েছে সে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেবল রানা একা নয়। রিমান্ডে থাকা গার্মেন্ট মালিকদেরকেও তানভীরের সঙ্গে রাখতে চায় রানা। রানা তার লোকদের মাধ্যমে স্থানীয় এমপি মুরাদ জংকে কোটি টাকা দিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের বিষয়েও মুখ খুলেছে। গোয়েন্দা হেফাজতে ৩ দিন ধরে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রানা ও গার্মেন্ট মালিকদের। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে রানা গার্মেন্ট মালিকদের জানায়, তানভীরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন- জেলখানার ১০ নম্বর সেলে তিনি আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন। থাকা-খাওয়া নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যা একটাই। ওই সেলে তিনি একা আছেন। কোন সঙ্গী পাচ্ছেন না। আমাকে সঙ্গী হিসেবে নিতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমিও তার সঙ্গে থাকতে আগ্রহী। আপনাদেরকে ওই সেলে নিয়ে যেতে চাই। তবে ওখানে আর একজনের বেশি থাকা সম্ভব নয়। এ কারণে হয়তো সেখানে আপনাদের নিয়ে যেতে পারবো না। তবে আপনাদের প্রতি আমার স্নেহ, ভালবাসা সব সময় থাকবে। তদন্ত সংশ্লিট সূত্র জানায়, মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে রানার কোন কথার প্রতিউত্তর দিচ্ছেন না গার্মেন্ট মালিকরা। রানা যেসব কথা বলছেন সেসব তারা বিনাবাক্যে মেনে নিচ্ছে। তবে পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে একে অপরকে দোষারোপ করছেন। গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, রানার চাপেই শ্রমিকদেরকে ভবনে আনতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। রানা বলছেন, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে জেনারেটরসহ অনেক ভারি জিনিস তুলেছেন কারখানা মালিকরা। এ কারণেই ভবন ধসে পড়ে।
ঢাকা জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বারবার অসুস্থতার ভান করছে রানা। বলছে বুকে ব্যথা। তবে হাজতখানা থেকে বের করার পরই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে সে। তার অসুস্থতার ভানের কারণে একবার তাকে হাসপাতালেও নেয়া হয়েছিল। ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায়- সে সুস্থ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, যেসব তথ্য আমাদের দরকার সেসব তথ্য ইতিমধ্যে রানার কাছ থেকে পেয়েছি। এখন দরকার দালিলিক প্রমাণ। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সেসব দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। আগামীকাল (আজ) সাভার পৌরসভা থেকে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এসব কাগজপত্র পাওয়ার পর খতিয়ে দেখবো- স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, ছাড়পত্র প্রভৃতি ঠিক আছে কিনা। তিনি জানান, রিমান্ডে থাকা সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এমতেশাম হোসেন এবং সহকারী প্রকৌশলী আলম মিয়া ঘটনার জন্য নিজেদের দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি দোষ চাপিয়েছেন আরও ৬ প্রকৌশলীর ওপর। ভবন নির্মাণের সময় ওই প্রকৌশলীরা সাভার পৌরসভায় কর্মরত ছিলেন। প্রাইভেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারদের ওপরও দোষ চাপিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত পৌর কর্মকর্তারা। জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে রানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের আগে সেসব বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। মুরাদ জংকে টাকা দেয়ার কথা রানা স্বীকার করেছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন- তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে তেমন কোন তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। সূত্র জানায়, এমতেশাম হোসেন এবং আলম মিয়ার ৮ দিনের রিমান্ড আগামীকাল (আজ) শেষ হচ্ছে। আগামীকালই (আজ) তাদের আদালতে নেয়া হবে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন। যদি জবানবন্দি দেন তাহলে আর রিমান্ডে নেয়া হবে না। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে আরও রিমান্ড চাওয়া হতে পারে। রিমান্ডে পৌর কর্মকর্তারা নিজেদের দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকারের পাশাপাশি পৌর চেয়ারম্যান রেফাত উল্লাহর ওপর অনেক দোষ চাপিয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা শাহিন শাহ পারভেজ জানান, পৌর কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য তদন্তের জন্য অনেক সহায়ক হবে। পৌর চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ এবং হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচির কারণে জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের বিরতি টানতে হচ্ছে। ওই দু’টি কর্মসূচিকে এখন আমাদের টপ প্রায়োরিটি দিতে হচ্ছে। আশা করছি- রোববার সন্ধ্যায় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবো।
ঢাকা জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বারবার অসুস্থতার ভান করছে রানা। বলছে বুকে ব্যথা। তবে হাজতখানা থেকে বের করার পরই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে সে। তার অসুস্থতার ভানের কারণে একবার তাকে হাসপাতালেও নেয়া হয়েছিল। ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায়- সে সুস্থ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, যেসব তথ্য আমাদের দরকার সেসব তথ্য ইতিমধ্যে রানার কাছ থেকে পেয়েছি। এখন দরকার দালিলিক প্রমাণ। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সেসব দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। আগামীকাল (আজ) সাভার পৌরসভা থেকে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এসব কাগজপত্র পাওয়ার পর খতিয়ে দেখবো- স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, ছাড়পত্র প্রভৃতি ঠিক আছে কিনা। তিনি জানান, রিমান্ডে থাকা সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এমতেশাম হোসেন এবং সহকারী প্রকৌশলী আলম মিয়া ঘটনার জন্য নিজেদের দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি দোষ চাপিয়েছেন আরও ৬ প্রকৌশলীর ওপর। ভবন নির্মাণের সময় ওই প্রকৌশলীরা সাভার পৌরসভায় কর্মরত ছিলেন। প্রাইভেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারদের ওপরও দোষ চাপিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত পৌর কর্মকর্তারা। জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে রানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের আগে সেসব বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। মুরাদ জংকে টাকা দেয়ার কথা রানা স্বীকার করেছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন- তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে তেমন কোন তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। সূত্র জানায়, এমতেশাম হোসেন এবং আলম মিয়ার ৮ দিনের রিমান্ড আগামীকাল (আজ) শেষ হচ্ছে। আগামীকালই (আজ) তাদের আদালতে নেয়া হবে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন। যদি জবানবন্দি দেন তাহলে আর রিমান্ডে নেয়া হবে না। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে আরও রিমান্ড চাওয়া হতে পারে। রিমান্ডে পৌর কর্মকর্তারা নিজেদের দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকারের পাশাপাশি পৌর চেয়ারম্যান রেফাত উল্লাহর ওপর অনেক দোষ চাপিয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা শাহিন শাহ পারভেজ জানান, পৌর কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য তদন্তের জন্য অনেক সহায়ক হবে। পৌর চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ এবং হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচির কারণে জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের বিরতি টানতে হচ্ছে। ওই দু’টি কর্মসূচিকে এখন আমাদের টপ প্রায়োরিটি দিতে হচ্ছে। আশা করছি- রোববার সন্ধ্যায় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবো।
--মানবজমিন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়