Wednesday, January 9

!! মালয়েশিয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের তারিখ পরিবর্তন !!

আগামী ১৩ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য নাম নিবন্ধন শুরু হবে। দেশের সব বিভাগের আগ্রহীরা প্রায় ৩ দিন করে সময় পাবেন নিবন্ধনের জন্য। এর আগে মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে নিবন্ধনের তারিখ জানালেও এ বিষয়ে আবারও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের আগ্রহী ব্যক্তিরা ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে লটারি হবে ১৬ জানুয়ারি। রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন এবং ১৯ জানুয়ারি তারিখ লটারি হবে। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি নিবন্ধন এবং ২২ জানুয়ারি লটারি করা হবে। বিভাগওয়ারী রেজিস্ট্রেশনের দিনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। তবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং নামাজের বিরতির পর দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন চলবে।



এর আগে প্রত্যেক ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে লটারি হওয়ার কথা থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তানুযায়ী জেলা প্রসাশক কার্যালয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে এ লটারি করা হবে বলে জানা গেছে। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে নিজস্ব ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে। এ ক্ষেত্রে পৌরসভাবাসীদের জন্য পার্র্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ৩ দিন নিবন্ধনের পর উপস্থিত সবার সামনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনসংখ্যার অনুপাতে বরাদ্দ করা কোটা অনুযায়ী কর্মীর তালিকা করা হবে। এভাবে সারাদেশের সব ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত কর্মীর তালিকা সমন্বয় করে জাতীয় ভিত্তিতে ৩০ হাজার কর্মী পাঠানোর জন্য ৩৫ হাজার কর্মীর পরিবর্তে ৩৪ হাজার ৫০০ কর্মীর তথ্যভাণ্ডার করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।



এখান থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবার লটারি করে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর জন্য ১১ হাজার ৫০০ শ্রমিকের তালিকা করা হবে।সেখান থেকে ১০ হাজার জনকে চূড়ান্ত করা হবে। চূড়ান্ত বাছাইকৃতদের মুঠোফোনে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হবে। তালিকায় থাকা শ্রমিকদের বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তাদেরও পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে। এদের আর নতুন করে নাম নিবন্ধন করতে হবে না। এ বিষয়ে ১০ জানুয়ারি দেশের সব গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, �মালয়েশিয়া বনায়ন (প্লান্টেশন) খাতে আমাদের কাছে ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। তারা এ খাতে মোট ৩০ হাজার কর্মী নিতে চায়।�



তিনি আরও বলেন, আগ্রহী প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই (এক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের অধীনে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হব। তিন দিনে যারা আসবেন, ৫০ টাকার বিনিময়ে সবার নামই নিবন্ধন করা হবে। কেবল ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ সুযোগ নিয়ে আগ্রহীদের অনলাইনে নাম নিবন্ধনের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। কিন্তু, আমরা প্রতারণা বন্ধ ও খরচ কমাতেই সরকারিভাবে কর্মী পাঠাচ্ছি। সেই বিবেচনায় সরকারি তথ্যসেবা কেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, �সব মিলিয়ে একজন কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে ৪০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না।



বনায়ন খাতের কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের ৭টি যোগ্যতা থাকতে হবে। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা, বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে, গ্রাম এলাকার প্রকৃত বাসিন্দা, উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট বা তদূর্ধ্ব, ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি এবং ২৫ কেজি মালামাল হাতে করে বহনের ক্ষমতা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় ৪ বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ ছিল। টানা কূটনৈতিক যোগাযোগের পর গত ২৬ নভেম্বর সরকারিভাবে কর্মী নেয়ার ব্যাপারে দুই দেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। গত ২৯ ডিসেম্বর তারিখে ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠায় মালয়েশিয়া।দেশটি সামনে কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা এসব খাতেও কর্মী নেবে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরে ৫ লাখ কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।(ফেয়ার নিউজ)




শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়