Tuesday, October 23

::কানাইঘাটে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর বিয়ে !ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপর::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি সিলেটের বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পএিকায় কানাইঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সাড়ে ৯ বছরের নাজিয়া আক্তারকে স্কুল কর্তৃপরে বাধা নিষেধ উপো করে মা পারবিন বেগম কর্তৃক জোর পূর্বকভাবে গত ১০ অক্টোবর ১৭ বছরের এক কিশোর শমসের আলমের সাথে বাল্য বিয়ে দেন। এ সংবাদটি ১৬ অক্টোবর বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পএিকায় প্রকাশিত হলে কানাইঘাটে একটি সরকারী অনুষ্ঠানে সিলেটের জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বেলালের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি তাৎনিক বিষয়টির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সোহরাব হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সোহরাব হোসেন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাইকে নির্দেশ দিলে ওসি আব্দুুল হাই বিষয়টি তদন্ত করার জন্য থানার এস আই কামরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ বাল্য বিবাহের হোতা নাজিয়া আক্তারের মা পারভীন বেগমকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার এবং বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হন্যে হয়ে খুঁজছে। গত রবিবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পারভীন বেগমকে ধরতে নন্দিরাই গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অভিযান চালালেও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ দিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ীতে অবস্থানরত নাজিয়া আক্তারকে তার মা স্বামীর বাড়ী থেকে এনে পুলিশি ভয়ে অন্যত্র এক আত্মীয়ের বাড়ীতে লুকিয়ে রেখেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। এমন কি পারভীন বেগম নিজ পিত্রালয় সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারী ফৌদ ও পৌর শহরের ভাড়া বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা তার সাথে দেখা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালানোর পরও তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা এমন কি তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ঘটক ও নিকাহনামার উকিলরা আত্মগোপনে থেকে বাল্যবিবাহের নিকাহ রেজিস্টারের সাথে আতাত করে পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদের রা ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নাজিয়ার স্বামী উপজেলার লন্তিরমাটি গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র ১৭ বছরের কিশোর সমশের আলমও নিজ বাড়ী ছেড়ে বর্তমানে অন্যত্র আত্মগোপনে রয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল, শিার্থী ও শিক এবং অভিভাবকরা মা কতৃক লুকিয়ে রাখা বাল্য বিবাহের স্বীকার নাজিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হলে বাল্য বিবাহের সাথে জড়িতদের মুখোশ উন্মচোন হবে বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সোহরাব হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিবাহের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনে ঘৃন্যিত কাজের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে তিনি জানিয়েছেন। থানার ওসি আব্দুল হাই স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে পত্রিকায় বাল্য বিবাহের সংবাদ প্রকাশের পর থেকে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।





শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়