Sunday, October 21

গোলাপগঞ্জে কোটিপতি ব্যবসায়ীর বাড়ী ডাকাতী করে কানাইঘাটে এসে লুন্ঠিত মালামাল ভাগ-বাটোয়ারার সময় জনতার হাতে ৩ ডাকাত আটক।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত শুক্রবার গভীর রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার দাড়িপাতন গ্রামের খসরু মিয়ার বাড়ীতে ডাকাতী করে গোলাপগঞ্জ থানার নিকটবর্তী কানাইঘাট উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট মির্জারগড় গ্রামে গতকাল সকাল অনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে লুণ্ঠিত মালামাল ভাগবাটোয়ারর সময় স্থানীয় জনতা তিন ডাকাতকে কিছু লুণ্ঠিত মালামালসহ আটক করেন। পরে সকাল অনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে একদল পুলিশ কানাইঘাটে জনতার হাতে আটক তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সাথে স্থানীয় লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতি ছাড়া ডাকতদের হস্তান্তর করা হবেনা এ নিয়ে জনতার মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাজাগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান মানিক মিয়া ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগীতায় সকাল ১১টায় কানাইঘাট থানার এস.আই মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ থানা থেকে ৩০ কি:মি: দূরে ঘটনাস্থলে পৌছে উপস্থিত লোকজনকে আশ্বস্থ করার পর গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তিন ডাকাতকে সোপর্দ করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার দাড়িপাতন গ্রামের খসরু মিয়ার বাড়ীতে গত শুক্রবার রাত অনুমানিক ৩টার দিকে একই উপজেলার বাঘা কোণা কান্দি গ্রামের সুনাফর আলীর পুত্র মো: মুরাদ (২০), বাঘা উত্তর গড় গ্রামের নূর রহমানের পুত্র রুহেল আহমদ (২৬) ও গোলাপগঞ্জ গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র মখলিছুর রহমান (২৭) সহ চার ডাকাত ডাকাতী শেষে কানাইঘাটের ছোট মির্জারগড়ের মামার বাজারের অদূরে নির্জন স্থানে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাতীর মালামাল ভাগ বাটোয়ারার সময় স্থানীয় কিছু লোকজন বিষয়টি দেখে তাদের সন্দেহ হলে ডাকতদের চ্যালেঞ্জ করেন। এক পর্যায়ে আহত অবস্থায় এক ডাকাত সুরমা নদী সাত্রিয়ে পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন উল্লেখিত তিন ডাকাতকে আটক করতে সম হন। আটককৃত ডাকাতদের কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলি, দুটি কালো মুখুশ, নগদ ২হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের বালা ও দুটি নকিয়া মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশীদের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর থানার দাড়িপাতন গ্রামের খসরু মিয়ার বাড়ীতে একদল ডাকাত শুক্রবার গভীর রাতে হানা দিয়ে ডাকাতী করলে ডাকাতীর বিষয়টি বিভিন্ন গ্রামের মসজিদে মাইকিং করা হয়। ডাকাতদের ধরতে কয়েকটি পুলিশের পেট্রলপার্টি বিভিন্ন স্থানে তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে চার ডাকাত কানাইঘাটের মির্জারগড়ে আশ্রয় নিলে স্থানীয় লোকজন তিন ডাকাতকে আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোকজন ও কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ডাকাতদের নিয়ে আসি। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের কোন গন্ডগোল হয়নি বলে ওসি হারুন রশীদ জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়