বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে ভাষায় কথা বলবে, সে ভাষায়ই জবাব দেওয়া হবে। এ জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তত থাকতেও বলেছেন তিনি।বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গত ১৯ আগস্ট ছিল সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।বিরোধী দলের আন্দোলনে জনসমর্থন নেই এবং নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেওয়া হবে না বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন করেন, বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী।তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, সরকার যত কথাই বলুক না কেন, তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপশাসনের অভিযোগ এনে বিরোধী নেত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজনরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা দুর্নীতি করছে। ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে জনগণ তাদের ছেড়ে কথা বলবে না। তাদের অবস্থান কোথাও হবে না।নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে কঠোর আন্দোলনের বদলে গণসংযোগের কর্মসূচি দেওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, �আমরা আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠা, জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণকে নিয়ে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমরা চার বছরে মাত্র ১১টি হরতাল দিয়েছি। আর আওয়ামী লীগ ওই সময়ে ১৭৩টি হরতাল দিয়েছিল।বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমাতে নেতাদের বিরুদ্ধে �মিথ্যা ও বানোয়াট� মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।খালেদা বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনই সচিবালয়ে বোমা ফাটিয়ে আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। বোমা হামলা করতে তারা পটু। তিনি বলেন, সরকার ভেবেছে, নেতাদের কারাগারে রেখে আন্দোলন দমানো যাবে। এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। খবর:-ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়