কানাইঘাট ৩নং দিঘীর পাড় পূর্ব ইউনিয়নের জয়ফৌদ গ্রামে সুরমা নদীর ডাইকে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের সৃষ্ঠি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে সুরমা নদীর ডাইকের জয়ফৌদ গ্রামের মৃত ইবরাহীম আলী’র বাড়ীর উত্তর অংশ ও আশ পাশ এলাকা প্রায় ৭০ফুট নিচে ধেবে গিয়ে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের সৃষ্ঠি হয়। গতকাল সরেজমিনে জয়ফৌদ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মৃত ইবরাহীম আলীর বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে সুরমা ডাইক প্রায় ১হাজার ফুট দৈর্ঘ্য, ২’শত ফুট প্রস্ত বিশাল বসতবাড়ির এলাকা ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ৭০ফুট নিচে ধেবে গেছে। শুকনো মৌসুমে এ ধরনের মারাত্মক নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় নদীর তীরবর্তী বসবাসরত জনসাধারনের মধ্যে আত্মংক দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় ভাঙ্গন কবলিত ইব্রাহীম আলী’র বাড়ীসহ আশ পাশ এলাকা ধেবে গিয়ে প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। উক্ত ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা দেখার জন্য দূরদুরান্ত থেকে শত শত মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন। ভাঙ্গন কবলিত বাড়ীর মালিক মতিউর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার রাত অনুমান ৯টায় বিকট শব্দে তার বাড়ীর একাংশ সহ আশপাশ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে তার বাড়িতে মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়ায় বাড়ীর লোকজন আতংকের মধ্যে বসবাস করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিন চৌধুরী ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ভাঙ্গন কবলিত সুরমা ডাইকের রাস্তা দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের ফলে আশ পাশ এলাকা যে কোন সময় সুরমার করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। এলাকাবাসী দ্রুত নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরকারী উদ্যোগে বিহিত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হয়ে জয়ফৌদ গ্রামসহ আশ পাশ আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম এলাকায় বন্যার পাশাপাশি ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিবে। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপকে অবহিত করার পরও সরকারী কোন কর্মকর্তা গতকাল পর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেননি বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
কানাইঘাট জয়ফৌদ গ্রামে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন
নিজাম উদ্দিন/ কাওছার আহমদ:
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়