কানাইঘাটে সুরমার ভাঙ্গনে শতাধিক গ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের দলইমাটি, পাত্রমাটি, কোনা এবং এলাকার কয়েকটি শিা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, তৎকালীন বৃটিশ সরকার কতর্ৃক অনুমোদিত শিা প্রতিষ্ঠান ঝিঙ্গাবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা ও দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ঝিঙ্গাবাড়ি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাত্রমাটি গ্রামের একমাত্র গোরস্থান এবং হিন্দু প্রাচীণতম একটি মন্দিরসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে এ এলাকার জনসাধারণ নদী ভাঙ্গনের আশংকায় আরও বেশি আতংকিত হয়ে পড়েছেন। ভারত থেকে নেমে আসা সুরমা নদীর পানি কমতে থাকায় ও নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে বর্তমানে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। উপজেলার সুরমা নদীর তীরবতর্ী এলাকা রায় ওয়াপ'দা কতর্ৃক বেড়িবাঁধ ইতিমধ্যে নদী গর্ভে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি, বসত-বাড়ি, আবাদীজমি, বাঁশ-ঝাড়, মসজিদ, গোরস্থান, মন্দির, নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। তীরবতর্ী এলাকার যাদের সামর্থ ছিল তাহারা অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন কিন্তু নেই যাদের কোন সামর্থ তারা এখন অসহায় হয়ে কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে রাস্তার ধারে অবস্থান করছেন। কোথায় যাবেন, কী করবেন এগুলো নিয়ে দিশেহারা হয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা বর্তমানে দলই-মাটি, পাত্র-মাটি, কোনা, ঝিঙ্গাবাড়ি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, একটি গোরস্থান, একটি মন্দির, ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন সময় প্রতিষ্ঠানগুলো এবং গ্রামগুলোর অবশিষ্ট অংশ নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। এ নিয়ে আতংকের মধ্যে নদী পারে বসবাস করছেন শতাধিক পরিবার। দীর্ঘ দিনের এ ভাঙ্গন থেকে রা পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং বিভাগের সাথে যোগযোগ করে আসছেন তারা। এরই প্রেেিত আপার সুরমা, কুশিয়ারা অনুমোদিত প্রকল্পে উক্ত এলাকার প্রায় ১৫ শত ফুট বাধ নিমর্াণের জন্য ২০০৯ সালে প্রকল্প তৈরির ল্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতর্ৃপরে প থেকে পরিদর্শন করা হয়েছিল কিন্তু আজ পর্যন্ত উক্ত প্রকল্পের কোন অগ্রগতি নেই। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি সরজমিনে দেখতে গেলে নদী পারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, এলাকার প্রবীণ মুরবি্ব, সমাজ সেবি ব্যক্তিরা জড়ো হন। মতায় এসেছে। আমাদের এই গ্রামগুলো এবং প্রতিষ্ঠানগুলো নদী ভাঙ্গন থেকে রা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপরে আশু হস্তপে কামনা করেছেন এলাকাবাসী।