Wednesday, November 10

নানা সমস্যায় জর্জরিত কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কানাইঘাট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও উপজেলাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালের ৩০শে মে উপজেলা টিডিসি হলে এক গণসমাবেশের মাধ্যমে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে উপজেলার দুর্লভপুর মৌজার সরকারী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের অর্ধভাঙ্গা টিনসেটের ঘর মেরামত করে কলেজটির একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। পরবর্তীতে এলাকার বিত্তবান শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় ও সরকারী বিভিন্ন অনুদানে পর্যায়ক্রমে কলেজের অনেকটা উন্নতি সাধিত হয়। কিন্তু দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রেণীকক্ষসহ একাডেমিক বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে কলেজটি। প্রতিদিন শত শত ছাত্রছাত্রীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস। কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় আট শতাধিক,অধ্যক্ষ সহ কলেজের স্টাফ সংখ্যা ৪৮জন। স্টাফদের মধ্যে অধ্যক্ষ-১, শিক্ষক সংখ্যা-৩৩, শরীর চর্চা শিক্ষক-১, প্রদর্শক-১, লাইব্রেরীয়ান-১, অফিস সহকারী-২ এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা-৯। কলেজের দ্বিতল বিশিষ্ট ৩টি ভবনে সর্বমোট ২২টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানাগার ২টি, অধ্যক্ষের কার্যালয়-১টি, শিক্ষক মিলনায়তন ১টি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক ২টি মিলনায়তন এবং বাকীগুলো পাঠদানের জন্য শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কলেজের নানা সমস্যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি সমস্যা হলো- শ্রেণী কক্ষের অভাব,কম্পিউটার স্বল্পতা,ল্যাবে ৪টি কম্পিউটার থাকলেও ২টি অকেজো রয়েছে। বিজ্ঞানাগারের অবস্থা আরো শোচনীয়। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিকভাবে প্রাক্টিক্যাল ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কলেজে একটি লাইব্রেরী থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ বই না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক বই না পেয়ে অনেক সময় ফিরে আসে। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য নামাজের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের মধ্যে ১টি মসজিদ নির্মাণ করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। কলেজের বতর্মান অধ্যক্ষ শামসুল আলম জানান,নানা সমস্যার মাঝেও আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করছি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়