গত রবিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন এবং শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৫দিনের দূগের্াৎসব। বাঙালী হিন্দু সমপ্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধমের্াৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা বিজয়া দশমী দিনে চিরচেনা দৃশ্য ছিল কানাইঘাটের সব পুজা মণ্ডপে। বিসর্জনের উদ্দেশ্যে কানাইঘাট বাজার থেকে সম্মিলিত বাদ্য-বাজনা, মন্ত্রোচ্চারণ ও পুজা অর্চণার মধ্য দিয়ে শুভাযাত্রার মাধ্যমে সন্ধ্যায় সুরমা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয় দেবী দূর্গার প্রতিমা। এ সময় নদীর দু'পাশে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম ঘটে এবং আগত ভক্তবৃন্দের অন্তরে ছিল দেবী দূর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন। আবার আশ্বিনের কাশফুলের সঙ্গে ফিরে আসার অঙ্গীকারে পেছনে ফেলে গেলেন ভক্তদের শ্রদ্ধা আর বেদনাশ্রু। পুজা সফল ভাবে সমাপ্ত হওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার, উপজেলা প্রশা্সন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ কানাইঘাটবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন- উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি বাবু সুদীপ্ত রায়, সাধারণ সম্পাদক সলিল চন্দ্র দাস, সহসভাপতি ডাঃ মানিক লাল দাস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি দূর্গা কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চক্রবতর্ী, উষা রঞ্জন দে, মতিলাল দাস, রবীন্দ্র কুমার দাস, নিহার রঞ্জন বর্ধন, মিলন কান্তি দাস, চমক রঞ্জন দে প্রমুখ। এদিকে, সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার, কানাইঘাট বাজারস্থ উষা বাবুর বাড়ীতে সবচেয়ে বড় সার্বজনীন পুজামণ্ডপসহ বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু সমপ্রদায়দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেন। কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের নিয়ে কানাইঘাটের বিভিন্ন পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় মজুমদারের সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আল মিজানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়