নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কানাইঘাটের দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের দর্পনগর পূর্ব গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র প্রবাসী ফারুক আহমদকে মারধর বা অপহরণ করা হয়নি, এ নিয়ে সড়কের বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ছত্রনগর গ্রামের মৃত হাজী সাইদুর রহমানের পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ছত্রপুর সহ আশপাশ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্থানীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক বৈঠকে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম, সড়কের বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে জানান, দর্পনগর গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র সৌদিআরব প্রবাসী ফারুক আহমদকে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদের ছোট ভাই আহমেদ মুহিন বুঝিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। এ নিয়ে এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কিছু লোকজন এ ঘটনাকে রং লাগিয়ে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা বিষয়টি মিমাংসার জন্য এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ জানান, সম্প্রতি প্রবাসী ফারুক আহমদ তার নিজ মালিকানাধীন পাকা বাড়ি বিক্রি করার জন্য তার মামাতো ভাই মড়াই মিয়াকে সাথে নিয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদের সড়কের বাজারস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এরপর বাড়িটির মূল্য ৫১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে ৪ লক্ষ টাকা বায়না বুঝে নেন। বাড়িটি রেজিষ্ট্রি করার জন্য ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ ব্যাংক থেকে লোন ও পরিবারের স্বর্ণ বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে রেজিষ্ট্রির দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন। কিন্তু ফারুক আহমদ বাড়িটি তার কাছে বিক্রি করবে না বলে জানালে তিনি তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে বসেন। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদকে দেড় লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য প্রবাসী ফারুক আহমদকে বললে সে একমাসের সময় নেয়, টাকা ফেরত দেয়ার জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিয়ে ফারুক আহমদ নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে। গত শনিবার ফারুক আহমদ স্থানীয় সড়কের বাজারে আসলে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ তার ছোট ভাই আহমেদ মুমিনকে ফারুক আহমদের কাছে পাঠান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য। কিন্তু ফারুক আহমদ না আসলে তার সাথে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ কথা বলে সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেড় লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য বলেন। টাকা ফেরত দিতে আরো সময় চাইলে কথাবার্তা ঠিক করার জন্য ফারুক আহমদকে তার নিজ ইচ্ছায় ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে কোন ধরনের মারধর বা আটকিয়ে রাখা হয়নি এবং তার সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি। একপর্যায়ে ফারুক আহমদ ফোন দিয়ে তার স্বজনদের জানায় তাকে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ তার বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন, মারধর করছে, পুলিশ দিয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। এমন সংবাদ পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন আব্দুল্লাহ সাঈদের বাড়িতে আসেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেখানে যান। কিন্তু ফারুক আহমদের কথামতো তার উপর কোন নির্যাতন করা হয়নি, টাকা পয়সা নেয়া হয়নি তার প্রমাণ পাওয়ার পরও ফারুক আহমদের ছোট ভাই কানাইঘাট থানায় তার ভাইকে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ সাঈদ তার বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন দরখাস্ত দায়ের করলে কানাইঘাট থানা পুলিশ শনিবার রাতে আব্দুল্লাহ সাঈদের বাড়িতে গিয়ে ফারুক আহমদকে তার পরিবারের জিম্মায় দেন এবং উপস্থিত লোকজন এবং ফারুক আহমদ জানায় তাকে মারধর বা টাকা পয়সা নেয়া হয়নি। বিষয়টি গত সোমবার উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক করে সমাধানের কথা থাকলেও ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থানায় গেলেও ফারুক আহমদ বা তার পরিবারের সদস্যরা থানায় না গিয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের কুৎসা রটনা ও মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে ছত্রপুর গ্রামের লোকজন জানান।
ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সাঈদ বলেন, তার ক্ষতিপূরণের দেড় লক্ষ টাকা না দিতে ফারুক আহমদ কিছু লোকের ইন্ধনে এ ঘটনাকে নানাভাবে সাজিয়ে মিথ্যাচারা করে যাচ্ছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হওয়া সত্তে¡ও ফারুক আহমদ সালিশ বিচার না মেনে এলাকায় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়