ছবি: অন্তর্জাল
সুন্দর এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ছুটে চলা ও কর্মব্যস্ততার মধ্যে নিজের সঙ্গে বসার বা নিজেকে জানার ফুরসত হয়ে ওঠে না আমাদের। অর্থাৎ জীবনভর জানা হয় হাজার, অজানা রয়ে যায় শুধু এই আমি। আর বর্তমানে সময়ে আমাদের অবস্থা অনেকটা এমনই।
জীবনের এমনই বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সেলফ ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলার রাহিমা সুলতানা রিতা।
জীবনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সবার আগে নিজেকে পরিচালনা করতে হবে। যাকে বলা হয় ‘সেল্ফ ম্যানেজমেন্ট’। জীবন গুছিয়ে নিতে নিজেকে জানাটা অতি জরুরি। নিজেকে জানার মাধ্যমে মিলিয়ে নেওয়া যায় চাওয়া পাওয়ার হিসাব। এই হিসেব মেলানটাও জরুরি বিষয়। এছাড়া নিজেকে খুশি রাখাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই না বুঝে অক্লান্ত ছোটা বন্ধ করতে হবে।
একটি ‘ম্যানেজড’ জীবন যেমন নিজেকে জানতে সাহায্য করে। তেমনই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও জানায়। কামনা, ক্রোধ, লোভ, লালসা এবং হিংসা। এই পাঁচ হচ্ছে সব সমস্যার মূল কারণ। এই সবই আমাদের জন্য নেতিবাচক ফলাফল ডেকে আনে।
সেলফ ম্যানেজমেন্টের অভাব
ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে সামলাতে না পারলে, অপ্রাপ্তি বাসা বাঁধে মনের ভেতর। কঠিন সময়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এর ফলে ফলে অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নেন। অনেক সময় একটি ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই অনুতাপ করতে হয় সারা জীবন।
একজন ‘অ্যানম্যানেজড’ ব্যক্তির মাঝে কিছু বিষয় দেখা দেয়। যেমন-
> অধৈর্য্য হয়ে যাওয়া।
> ডিপ্রেশনে ভোগা।
> সব বিষয়েই দ্বিধান্বিত থাকা
> জীবনের গভীরতাকে উপলব্ধি করতে না পারা
ফলে প্রতিক্ষণে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ চলতে থাকে।
কীভাবে নিজেকে ম্যানেজ করব
সবার আগে মনস্থির করতে হবে। নিজেকে সময় দিতে হবে। জানতে হবে ভালো-খারাপ দিকগুলো। উপলব্ধি করতে হবে নিজের ক্ষমতাকে। সেই অনুযায়ী জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তবেই এটি হবে যুক্তিযুক্ত। সেলফ ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। যেমন-
> অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। এই ধরনের তুলনা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।
> নিজ প্রতিক্রিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। এর জন্য যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন করা যেতে পারে। এসব অনুশীলনে স্নায়ুও শান্ত হবে।
> অন্যের কথা শুনতে হবে, বুঝতে হবে। এতে করে দ্বন্দ্ব এড়ানো সম্ভব।
> ঘুম মাধ্যমে আমাদের শরীর পুনরুজ্জীবিত হয়। তাই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
> কোনো কাজে বিরক্তি বা কষ্ট মনে হলে, তা থেকে আপাতত নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে নেতিবাচক মনোভাবের শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের হরমন নিষ্কাষন হয়। তাই স্বভাবতই সব কিছুই খারাপ লাগতে শুরু করে। এমন সময় নিজেকে বোঝাতে হবে ‘সব ঠিক আছে’। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মনকে আদেশ করতে হবে। তবেই নিজেকে বশে রাখা সম্ভব।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়