Tuesday, March 15

কানাইঘাটে মিথ্যা মামলায় হয়রানী: মহিলা মেম্বার কারাগারে


নিজস্ব প্রতিবেদক :

ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে কানাইঘাট সাতবাঁক ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্যা ফাতেমা বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফাতেমা বেগমের দায়েরকৃত ধর্ষন মামলায় ২ মাসের অধিক কারাবরনকারী নির্যাতিত একই ইউপির চাপনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র ব্যবসায়ী আব্দুল কাহির সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে ধর্ষন মামলা দিয়ে তাকে হয়রানী সহ মানহানীর ঘটনায় ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু মামলা নং-২০৩/২২ইং দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক এ ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।

গত ৭ মার্চ ফাতেমা বেগম উক্ত আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাহিলে সিনিয়র জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিজ্ঞ বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী উভয় পক্ষের আইনজীবিদের যুক্তিতর্কের পর সাবেক ইউপি সদস্যা ফাতেমা বেগমের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে সে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে জেল হাজতে রয়েছে।

অভিযোগে জানা যায় সাতবাঁক ইউপির আলী আহমদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৪) ইউপি সদস্যা থাকা অবস্থায় তার স্বামীর সাথে ব্যবসায়ী লেনদেনের বিরোধ নিয়ে আব্দুল কাহির ও উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারন সম্পাদক বাবুল আহমদকে হয়রানী করার জন্য চেষ্টা চালান। ফাতেমা বেগম তাকে রাস্তা থেকে তোলে নিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে আব্দুল কাহির ও বাবুল আহমদের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় ১৯/৩/২০ইং তারিখে ফাতেমা বেগম ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন। 

এরপর পুলিশ আব্দুল কাহিরকে গ্রেফতার করলে তিনি ২ মাস জেল খাটেন। 

পরে থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ ধর্ষন মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে মিথ্যা প্রমানীত হওয়ায় আদালতে ফানাইল চার্জসীট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালতে ফাতেমা বেগম না রাজী আবেদন করিলে বিজ্ঞ আদালত সিলেট পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ ফাতেমা বেগমের দায়েরকৃত ধর্ষন মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো ব্যবসায়ীক লেনদেনের সূত্র ধরে আব্দুল কাহির ও বাবুলকে ফাসানোর জন্য করা হয়েছে উল্লেখ করে ৮/৪/২১ইং তারিখে পিবিআই সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক সুমন কুমার চৌধুরী আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সাজানো মামলায় হয়রানী ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, মানহানীর অভিযোগ এনে আব্দুল কাহির বাদী হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনে নির্দেশ দেন। এলাকার আলোচিত সাবেক ইউপি সদস্যা ফাতিমা বেগম মিথ্যা ধর্ষন মামলা দিয়ে জেল হাজতে থাকায় এলায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রসঙ্গত যে, বিগত সাতবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সদস্যা পদে থাকা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে ফাতেমা বেগম পরাজিত হন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়