Wednesday, November 13

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার আট অভিযোগ

গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদ লঙ্ঘনের কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আটটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছে গাম্বিয়া। রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া।

সোমবার এ মামলাটি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে গাম্বিয়া জানায়, মিয়ানমারের অপরাধ শুধুমাত্র সনদ লঙ্ঘনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাদের দাবি মিয়ানমার এখনো রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। 
গাম্বিয়ার করা ৪৬ পৃষ্ঠার নথি ঘেঁটে জানা যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটন, গণহত্যা সংঘটনের ষড়যন্ত্র, নির্দেশনা ও সহায়তাসহ আটটি অভিযোগ আছে। 
সেখানে বলা হয়েছে, গণহত্যার মাধ্যমে মিয়ানমার গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদের ৩(ক) নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। গণহত্যার ষড়যন্ত্র করে একই সনদের ৩(খ) নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। গণহত্যা সংঘটনের নির্দেশনা ও জনগণকে উস্কানি দেয়ার মাধ্যমে দেশটি ওই সনদের ৩(গ) নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। 
অন্য অপরাধগুলো হল গণহত্যার উদ্যোগ নেয়া অর্থাৎ সনদের ৩(ঘ) নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন। গণহত্যায় সহায়তা করা ৩(ঙ) নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন। গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়া সনদের এক নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। গণহত্যা সংঘটনকারীদের শাস্তি প্রদানে ব্যর্থ হওয়া সনদের এক, চার ও পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। গণহত্যা ও এর সমজাতীয় অপরাধ সংঘটনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত না করা ও গণহত্যা সনদের ধারাগুলো বাস্তবায়নে উপযুক্ত আইন প্রণয়ন না করার ব্যর্থতা সনদের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
মামলার আবেদনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হিসেবে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদনের অংশ ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। 
এছাড়া ১৯৮২ সালে মিয়ানমারে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া সহ অব্যাহত নিপীড়নের বিবরণ তুলে ধরা হয়।  
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে গাম্বিয়ার পদক্ষেপে সহায়তা দিতে অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিস’ এর পরিচালক অ্যালিমস স্মিথ; যে সংগঠনটিও একাজে এইচআরডব্লিউর মতো সহায়তা দিচ্ছে।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্য গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগে আইনী নেতৃত্ব দিচ্ছে। অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র এটিকে সমর্থন করছে। আগামী ডিসেম্বরে আইসিজেতে প্রাথমিক শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়