বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন শুক্রবার। অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার। প্রার্থীরা তাই চূড়ান্ত নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন। সমিতির সভাপতি পদে নারী হিসেবে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এ নির্বাচনে জয়ী হলে শিল্পী সমিতির উন্নয়নের ৮ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের রেড অর্কিড রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন মৌসুমী। এসময় চলচ্চিত্র শিল্পী ও সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘােষণা করেন তিনি। নিচে মৌসুমীর নির্বাচনী ইস্তেহারগুলো তুলে ধরা হলো-১. শিল্পীকে তার আত্মসম্মানের জায়গায় দেখতে চাই।
২. শিল্পী সমিতির অফিশিয়াল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা, যাতে শিল্পী সমিতির সব কার্যক্রম এবং সম্মানিত সদস্যদের ডাটাবেজ ওয়ান ক্লিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
৩. শিল্পী সমিতির নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হবে।
৪. শিল্পী সমিতি থেকে ওয়েব সিরিজ তৈরি করা
হবে। তা থেকে লাভের সম্পূর্ণ অংশ শিল্পী সমিতির তাহবিলে প্রদান করা হবে এবং
এই ওয়েব সিরিজে শিল্পীরা পর্যায়ক্রমে অনেকেই অভিনয় করবেন।
৫. চলচ্চিত্রের বর্তমান দূরাবস্থা থেকে
মুক্তি লাভের জন্য চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের
অর্থমন্ত্রণালয় এবং প্রযোজক-পরিচালক সমিতির যে সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ করছেন
তাদের সঙ্গে একাত্ততা পোষণ করে কাজ করবো।৬. শিল্পীদের সহযোগিতায় এবং সমন্বয়ে প্রতিবছর একটি করে এক্সিভিশন আয়োজন করা হবে। এখানে তারকাদের স্বাক্ষর, ছবি ও সুভিনিয়র বিক্রি করা হবে। এ থেকে আয় জমা হবে শিল্পী সমিতির ফান্ডে।
৭. বয়স্ক ভাতা চালু করবো। বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত দাতাদের নিকট হতে ফান্ড কালেক্ট করে আলাদা একটি একাউন্ট করে বয়স্ক ভাতা পরিচালনা করা হবে।
৮. স্বল্প আয়ের শিল্পীদের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষে হস্ত শিল্প বা কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। যে সকল শিল্পীদের হাতে কাজ কম, তারা ডেইলি ভিত্তিতে এখানে কাজ করবে। এখান থেকে আয়কৃত টাকা শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা দিয়ে শিল্পীদের কলাণেই ব্যয় করা হবে।
এর আগে বুধবার মিশা-জায়েদ পরিষদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেও শিল্পী সমিতির ভোটারদের কাছে বিভিন্ন অঙ্গীকার করেছেন সেই প্যানেলের নেতারা।
এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে খলনায়ক মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। সহ-সভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রত’র বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।
এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
খবর বিভাগঃ
বিনোদন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়