Wednesday, October 2

কানাইঘাটে জলমহালের ইজারা নিয়ে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলার শেওতচুরা জলমহালের ইজারা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝিঙ্গাখাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে শাহজালাল মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ফখরুদ্দিন কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 
মঙ্গলবার ঝিঙ্গারখাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি সুনাউল্লা বাদী হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দায়ের করেন।

দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে ১৪২৬ হইতে ১৪২৮ বাংলা সন পর্যন্ত শেওতচুরা জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিধি মোতাবেক ঝিঙ্গারখাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি অংশগ্রহণ করে।

এতে ঝিঙ্গারখাল মৎস্যজীবি সমিতি জলমহালের তীরবর্তী ও নিকটবর্তী হওয়ায় লীজ বন্দোবস্ত থাকাকালীন অবস্থায় প্রতিপক্ষ শাহজালাল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ফখরুদ্দিন প্রশাসন কে বিভ্রান্তিতে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সে ঝিঙ্গারখাল সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনে দাখিল করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এব্যাপারে শাহজালাল মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ফখরুদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার(১অক্টোবর) সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঝিঙ্গারখাল সমিতির নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেছেন শাহজালাল মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ফখরুদ্দিন জলমহালের ভোগদখল নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে একটি রীটপিটিশিন মামলা করেন। যাহার নং ১৬৭৫/১৯। উক্ত রীটের প্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিজ্ঞ সলিসিটর উইং বরাবরে মতামত প্রেরণের জন্য একটি পত্র প্রদান করেন। যাহার স্মারক নং হচ্ছে ৫৭৮।


এখনো সেটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে জলমহালটির ইজারা নেওয়ার পায়তারায় শাহজালাল সমবায় সমিতির সভাপতি ফখরুদ্দিন লিপ্ত রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে ঝিঙ্গারখাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ উল্লেখ করেছেন।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০২অক্টোবর ২০১৯

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়