বরগুনায় স্ত্রীর সামনে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী কী পদক্ষেপ (অ্যাকশন) নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসারকে
বরগুনার ডিসি ও এসপির কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে দিনে
দুপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা
হয়। পরে এ হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপরই শুরু হয় নিন্দার ঝড়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ধারালো দা দিয়ে রিফাতকে একের পর এক কোপ দিতে থাকে দুই
যুবক। ওই সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই যুবককে
বারবার প্রতিহতের চেষ্টা করন। আশপাশে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আবার কাউকে ঘটনা দেখার জন্য দৌড়িয়ে আসতে দেখা যায়। তবে কাউকে সাহায্য করতে
দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিওতে যে দুই যুবককে
দেখা যায় তাদের একজনের নাম নয়ন বন্ড এবং আরেকজন রিফাত ফরাজী। তারা ছিনতাই ও
মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব ঘটনায় তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে
গ্রেফতার হয়েছেন।
এদিকে, বুধবার রাতে শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চন্দন নামে এক যুবককে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত
করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ জানান, দুই মাস আগে রিফাত পুলিশ লাইন
এলাকার কিশোরের মেয়ে আয়শা আক্তার মিন্নিকে বিয়ে করে। নিজের সাবেক স্ত্রী
দাবি করে পশ্চিম কলেজ সড়কের নয়ন নামের এক যুবক মিন্নিকে উত্যক্ত করতে শুরু
করে এবং ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। এ নিয়ে রিফাতের সঙ্গে নয়নের
বিরোধিতার সৃষ্টি হয়। এর জেরে সকালে নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও
রাব্বি আকন রিফাতকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে যখম করে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের
বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন। তবে
চন্দনকে কখন কোথায় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে কোনো
তথ্য জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ।

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়