মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ৫ হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শনিবার হোয়াইট হাউজ জানায়, ফিলিস্তিন ও পার্শবর্তী আরব দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তারা বৈশ্বিক বিনিয়োগ তৈরি করতে এই পরিকল্পনা করেছেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন-তেহরান ধারাবাহিক
উত্তেজনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। কয়েকদিন আগেই
মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ইরানে ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল
হক’ নামের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েও তা প্রত্যাহার করে
নেন। জানান, যুদ্ধবিরোধী মনোভাব থেকে তিনি আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস টু প্রসপারিটি’ শীর্ষক
এই পরিকল্পনাটি আগামী সপ্তাহে বাহরাইনে অনুষ্ঠিতব্য উপস্থাপন করবেন হোয়াইট
হাউজের সিনিয়ার পরামর্শক জ্যারেড কুশনা্র। এই প্রকল্পে ১৭৯টি অবকাঠামোগত
উন্নয়ন পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি শান্তিপ্রক্রিয়ার এই
পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ফিলিস্তি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুশনার ও তার
সহযোগীরা দুই বছর ধরে এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তবে এটা বাস্তবায়নের
জন্য এই অঞ্চলে অনেকদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক সংকটের সমাধান প্রয়োজন।
৫ হাজার কোটি ডলারের বেশিরভাগই ব্যয় হবে
ফিলিস্তিনিদের জন্য। বাকি অর্থ ব্যয় হবে মিসর, লেবানন ও জর্ডানে। এছাড়া
মিসরের সিনাই উপকূল ও গাজায় অর্থ ব্যয় করা হবে যেন ফিলিস্তিনিরা উপকৃত হন।
এছাড়া ফিলিস্তিনে পর্যটন খাতেও প্রায় ১০০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কুশনার জানান, তারা আশা করছেন যে
মধ্যপ্রাচ্যের ধণী রাষ্ট্রসহ ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলো এই বিনিয়োগে এগিয়ে
আসবে। তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই এটাতে রাজি হোক। যারা বিনিয়োগ করতে চান
তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই আমরা।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়