মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ:
আল্লাহর কাছে থেকে কল্যাণ লাভের বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে ১০ই মহররম বা আশুরার দিনটি অন্যতম। এই কল্যাণ লাভের জন্য আমরা সে পথেই চেষ্টা করবো, আমাদের প্রিয় নবী (সা.) যা আমাদেরকে দেখিয়ে গেছেন।
সহীহ হাদীস থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দিন রোযা রেখেছেন। আর তিনি এর ফযিলত সম্বন্ধে বলেছেন,
أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ-
‘রমযানের পরে সর্বোত্তম রোযা হল মুহাররম মাসের রোযা (অর্থাৎ আশুরার রোযা) এবং ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হ’ল রাতের নফল নামায’ (অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামায)। (মুসলিম-১১৬৩)
أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ-
‘রমযানের পরে সর্বোত্তম রোযা হল মুহাররম মাসের রোযা (অর্থাৎ আশুরার রোযা) এবং ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হ’ল রাতের নফল নামায’ (অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামায)। (মুসলিম-১১৬৩)
অন্য হাদীছে এসেছে, আবু ক্বাতাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন,
وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ
‘আমি আশা করি আশুরা বা ১০ই মুহাররমের রোযা আল্লাহর নিকটে বান্দার বিগত এক বছরের (সগীরা) গোনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হবে’। (মুসলিম হা-১১৬২)
وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ
‘আমি আশা করি আশুরা বা ১০ই মুহাররমের রোযা আল্লাহর নিকটে বান্দার বিগত এক বছরের (সগীরা) গোনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হবে’। (মুসলিম হা-১১৬২)
আশুরার রোযা কয়টি?
৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররম মোট দুইটি রোযা রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আমল ও আদেশ থেকে এমনটাই পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আশুরার রোযা পালন করলেন এবং রোযা পালনের নির্দেশ দিলেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! ইহুদি ও নাসারাগণ এই দিনটিকে (১০ই মুহাররম) সম্মান করে। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আগামী বছর বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ই মুহাররম সহ রোযা রাখব’। রাবী বলেন, কিন্তু পরের বছর মুহাররম আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়ে যায়।” (মুসলিম-১১৩৪)
৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররম মোট দুইটি রোযা রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আমল ও আদেশ থেকে এমনটাই পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আশুরার রোযা পালন করলেন এবং রোযা পালনের নির্দেশ দিলেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! ইহুদি ও নাসারাগণ এই দিনটিকে (১০ই মুহাররম) সম্মান করে। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আগামী বছর বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ই মুহাররম সহ রোযা রাখব’। রাবী বলেন, কিন্তু পরের বছর মুহাররম আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়ে যায়।” (মুসলিম-১১৩৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, ইবনে আববাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“তোমরা আশুরার দিন রোযা রাখো এবং ইহুদিদের বিরোধিতা কর। তোমরা আশুরার সাথে তার পূর্বে একদিন বা পরে একদিন রোযা পালন কর।” (বায়হাক্বী ৪/২৮৭)
“তোমরা আশুরার দিন রোযা রাখো এবং ইহুদিদের বিরোধিতা কর। তোমরা আশুরার সাথে তার পূর্বে একদিন বা পরে একদিন রোযা পালন কর।” (বায়হাক্বী ৪/২৮৭)
আশুরার রোযা কবে রাখবেন?
উপরের হাদিস থেকে আমরা জানলাম রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে আশুরার রোযার সাথে তার পূর্ব বা পরের একদিন মিলিয়ে দুইটি রোযা রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ তিনি ৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররম রোযা রাখার কথা বলেছেন।
আমাদের দেশের হিসেবে আগামী শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ১০১৮ তে ১০ই মুহাররম ও আশুরা দিবস। তাই আমাদের রোযা রাখতে হবে আগামী ৯ ও ১০ মুহাররম মোতাবেক ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার, অথবা ১০ ও ১১ মুহাররম মোতাবেক ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর, শুক্র ও শনিবার।
উপরের হাদিস থেকে আমরা জানলাম রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে আশুরার রোযার সাথে তার পূর্ব বা পরের একদিন মিলিয়ে দুইটি রোযা রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ তিনি ৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররম রোযা রাখার কথা বলেছেন।
আমাদের দেশের হিসেবে আগামী শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ১০১৮ তে ১০ই মুহাররম ও আশুরা দিবস। তাই আমাদের রোযা রাখতে হবে আগামী ৯ ও ১০ মুহাররম মোতাবেক ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার, অথবা ১০ ও ১১ মুহাররম মোতাবেক ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর, শুক্র ও শনিবার।
রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে এ দিনগুলোতে যাবতীয় বিদআত ও অনাচার থেকে দূরে থেকে ইখলাসের সাথে রোযা পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়