Saturday, May 12

কানাইঘাটে ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের দাফন সম্পন্ন,মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট সদর ইউপির গোসাইনপুর গ্রামের মসজিদের রমজান মাসের তারাবীর ইমাম রাখাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত সমর্থিত মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষে সৌদি ফেরত প্রবাসী আ'লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী(৬০) নিহতের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।নিহতের শ্যালক কানাইঘাট সদর ইউপির বীরদল পুরানফৌদ গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র ইউপি সদস্য ফজলূর রহমান বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং- ১৩। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাত ব্যাপি বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী জামায়াত নেতা মাদ্রাসা শিক্ষক মাও: জামাল উদ্দিন(৫০), অবসর প্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক বশির আহমদ(৬৫) অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান (৬৫) উরফে আখলু মিয়া ও তার পুত্র মাসুম আহমদ(২৫) মৃত সামছুল হকের পুত্র আনোয়ার হুসেন (৪৮) ও ইসলাম উদ্দিনের পুত্র আবিদুর রহমান (২৫) কে গ্রেফতার করেছে। আসামীদের  শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন।



এদিকে নিহত মোহাম্মদ আলীর জানাযার নামাজ আজ শনিবার বাদ আসর গোসাইনপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হয়। জানাযায় সিলেট উত্তর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, সিলেট ডি.এস.পির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ উপস্থিত হয়ে মোহাম্মদ আলীর খুনিদের গ্রেফতার করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করে নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।জানাযায় উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক লুৎফুর রহমান, সদর ইউপির চেয়ারম্যান মামুন রশিদ, সদর ইউ.পি আওয়ামীলীগের আহবায়ক হুসেন আহমদ সহ এলাকার দলীয় নেতা কর্মীসহ বহু মানুষ শরিক হন।  


কানাইঘাট নিউজ ডট.কম/১২ মে ২০১৮ ই্ং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়