নিজস্ব প্রতিবেদক:
রুবেল হত্যা মামলার আসামী সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার থানার এস.আই রাজীব মন্ডল একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে রুবেল হত্যা মামলায় জড়িত থাকার দায়ে শামীম আহমদ (২৫)কে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। সে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সোনাতনপুঞ্জি গ্রাম বর্তমানে- বাউরভাগ ২য় খন্ড গ্রামের সিদ্দেক আলীর পুত্র। ধৃত আসামীকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরদিকে, মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে চোরাই মালামাল সহ বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায় গত ১৩ জানুয়ারী গভীর রাতে কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির খাসেরমাটি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র জুবায়ের আহমদের বাড়িতে চোর কৌশলে তার বসত ঘরের জানালা দিয়ে ব্যবহৃত দামী একটি মোবাইল সেট ও ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর জুবায়ের আহমদ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এসআই বশির আহমদ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাই যাওয়া মোবাইলটির অবস্থান জানতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, মোবাইলটি বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউপির উত্তর ঘোলাঘাট গ্রামে রয়েছে। সোমবার রাত ১টায় তিনি একদল পুলিশ নিয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সহায়তায় ঐ গ্রামের মৃত তমজিদ আলীর পুত্র এবাদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে যান। সেখানে চোর এবাদুর রহমান দরজা না খুলে ঘরের ভিতর থেকে পুলিশকে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। তখন পুলিশ ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমদ চৌধুরী ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাত ৪টায় তাকে গ্রেফতার করে চোরাই যাওয়া মোবাইল সেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করে কানাইঘাট থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ জানান এবাদুর রহমান অভিনব কায়দার চোর। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে অনেক হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। এই ধরনের চোর এবং সকল অপরাধীদের গ্রেফতারে তিনি সমাজের সর্বস্থরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়