Thursday, October 12

কানাইঘাট ট্রেজারি অফিসে কাজের গতি ফিরে এসেছে


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলা ট্রেজারি অফিসে অডিটর মোঃ আব্দুল মতিন শাহীন যোগদান করার পর থেকে অফিসটির কাজের গতি ফিরে এসেছে। একাই অডিটর আব্দুল মতিন শাহীন অত্যন্ত পরিশ্রম করে নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় উপজেলার সকল দফতরের বেতন ভাতা ও উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের টাকার কাগজপত্র যথা সময়ে ছাড় দেওয়ায় নানা ধরনের হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। উপজেলা ট্রেজারি অফিস থেকে সরকারী চাকুরীজীবি সহ সকল বেতন ভাতার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সকল ধরনের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের প্রকল্পের টাকা ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ট্রেজারি অফিস থেকে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সঠিক সময়ে তাদের বেতন ভাতার বিল পরিশোধ না করার পাশাপাশি অফিসে এসে অনেকে নানা ধরনের হয়রানীর স্বীকার হতেন। প্রায় দুই মাস পূর্বে অডিটর হিসাবে মোঃ আব্দুল মতিন শাহীন অফিসে যোগদানের পর থেকে কাজের গতি ফিরে এসেছে। যথা সময়ে সকল সরকারী চাকুরীজীবি তাদের বেতন ভাতা পাচ্ছেন। অতিতে সঠিক সময় কোন সরকারী চাকুরীজীবি বেতন ভাতা পেতেন না। এতে অনেকে নানা সমস্যায় পড়তেন। আব্দুল মতিন শাহীন ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিসে একটানা কাজ করে থাকেন। অতিরিক্ত ট্রেজারার অফিসার হিসেবে কবির হোসেন কানাইঘাটে মাঝে মধ্যে অফিস করে থাকেন। অন্যান্য পদ শূন্য থাকার পরও আব্দুল মতিন শাহীন মাসের ১ তারিখে সমস্ত শিক্ষকদের বেতন ছাড় ও সরকারী চাকুরীজীবিরা মাসের শুরুতেই যাতে করে তাদের বেতন ভাতাদি পান এজন্য ফাইল ছাড় দিয়ে থাকেন। অনেক সরকারী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন তারা এখন ট্রেজারি অফিসে গিয়ে কোন ধরনের হয়রানী, আর্তিক লেনদেন ছাড়া সেবা পাচ্ছেন। এজন্য আব্দুল মতিন শাহিনের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি যথা সময়ে বেতন বিল পরিশোধ করতে অতিরিক্ত ট্রেজারার কবির হোসেনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করায় তারা উপকৃত হচ্ছেন। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর পর তাদের জিপি-স্লিপ শিক্ষকদের দিতে পেরেছেন অডিটর আব্দুল মতিন শাহীন। এছাড়া শিক্ষকদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ভাতা কোন ধরনের হয়রানী ছাড়া তারা পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আব্দুল মতিন শাহীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়ী জৈন্তাপুর উপজেলায়। আমি সব সময় যাতে করে সরকারী চাকুরীজীবিরা সঠিক সময়ে তাদের বেতন ভাতা পান এজন্য কাজ করে যাচ্ছি। সকল সরকারী দফতর থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন ভাতা বিল জমা দিলে ১ তারিখের মধ্যে তারা যাতে করে ভাতা পান সেই চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়