নিজস্ব প্রতিবেদক:
এম. রহমান কামাল স্যোসিয়াল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে কানাইঘাট বড়দেশ গ্রাম নিবাসী মরহুম মরমী কবি ক্বারী সুলাইমান (রহঃ) স্মরণে এক আলোচনা সভা ও সংগীত সন্ধ্যা গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার সময় সোনাওর আলী বাংলা কোচিং এন্ড সংগীতাঙ্গনে অনুষ্টিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মরমী কবি ক্বারী সুলাইমানের সহোদর ভাই ইতালী প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা এম রহমান কামালের সভাপতিত্বে ও নবারুন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি জাহেদ আহমদ জয়ের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক সিলেট বানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এম.এ হান্নান, সাবেক ইউপি সদস্য সমাজসেবি মোহাম্মদ আলী, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, দুর্নিবার সাংস্কৃতিক কাফেলার সভাপতি হাফিজ তাহিরুজ্জামান, সংগীত সম্পাদক খায়রুল বাশার দেলোয়ার, সুফিয়ান আহমদ, মাসরুর আহমদ, শফিউর রহমান জয়, সাইফুল ইসলাম, এমএ কাদীর মুন্না প্রমুখ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একাধিক গ্রন্থের লেখক বহু প্রতিভার অধিকারী মরমী কবি ক্বারী সুলাইমানের লিখা ইসলামী ভাবধারার গান, সঙ্গীত, বাউল এবং তার লিখা কবিতা পাঠ করে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে রাখেন কানাইঘাটের বিশিষ্ট বাউল শিল্পি দেওয়ান কালা মিয়া, বাউল শিল্পি তরিকত সহ দুর্ণিবার সাংস্কৃতিক কাফেলার শিল্পীবৃন্দ। উক্ত আলোচনা সভা ও সঙ্গীত সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ বলেন, মরমী কবি ক্বারী সোলাইমান (রহঃ) কানাইঘাটের এক রত্নগর্ভ সন্তান ছিলেন। তিনি একাধারে ইংরেজী, বাংলা এবং আরবী ভাষায় বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। তার হাতের লিখা পবিত্র কোরআন শরিফ সিলেটের মুসলিম সাহিত্য পরিষদে সংরক্ষিত রয়েছে। কর্ম জীবনে ক্বারী সুলাইমান তাঁর লেখনী শক্তির মাধ্যমে তিতুমীর স্বর্ণপদক সহ দেশ বিদেশে অসংখ্য সম্মানের অধিকারী হয়েছিলেন। তিনি লিখনীর মাধ্যমে সমাজের বাস্তব প্রেক্ষাপট, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, ইসলামী ভাবধারার বিকাশ ফুটিয়ে তুলেছিলেন। অসংখ্য ইসলামী সংঙ্গীত এবং বাউল গানের রচয়িতা ছিলেন তিনি। ক্বারী সুলাইমান বেঁচে থাকলে তিনি আজ জাতীয় পদকে ভূষিত হতেন। মরমী কবি ক্বারী সুলাইমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কবি ক্বারী সুলাইমানের ভাই ইতালি প্রবাসী বিশিষ্ট সংগঠক এম. রহমান কামাল সভাপতির বক্তব্যে বলেন, তার ভাই দেশের একজন সম্পদ ছিলেন। তিনি সব সময় ন্যায় ও সত্যের পক্ষে অভিচল ছিলেন। তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি তার নিজ বাড়ীতে সোনাওর আলী বাংলা কোচিং এন্ড সংগীতাঙ্গন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বিনামূল্যে কোচিং সহ সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। ভবিষ্যতে তিনি তার ভাইয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সবাইকে নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তুলবেন বলে ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠান শেষে মরহুম কবি ক্বারী সুলাইমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়