Wednesday, January 11

কানাইঘাটে দু’টি মৎস্য খামার হুমকির সম্মুখীন


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের @আই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কানাইঘাট অরণ্য সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির হালাবাদী ভোবা হাওর এলাকায় অবস্থিত দু’টি মৎস্য খামার দুর্বৃত্তদের রোশানলে পড়েছে। এলাকার কিছু লোকজন প্রায় ৩’শ বিঘা অনাবাদী হাওর বেষ্টিত ভূমিতে অবস্থিত এ দু’টি মৎস্য খামারের মাছ লুটপাট, খামারের বাঁধ কেটে ফেলা অরণ্য সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দের নানা ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি, জোরপূর্বক ভাবে খামারের জায়গা দখলের চেষ্টা টাকা দাবী এবং সমিতির খামারের পাশে অবস্থিত গরুর খামারের ঘর ভাংচুর করে হাওর এলাকায় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্ত করছে বলে সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন। কানাইঘাটের সমিতি অরণ্য লিমিটেড তাদের সমবায় ভিত্তিক নানা ধরনের অর্থনৈতিক, কর্মসংস্থানমুখী কর্মকান্ডের জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছে। উক্ত সমিতির নেতৃবৃন্দ নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করে এলাকার দরিদ্র বিমোচন এবং মৎস্য শিল্পের উন্নয়নে ভোবা হাওরে ৪ বছর পূর্ব থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রায় ৩ শত বিঘা অনাবাদী জমির উপর দু’টি মৎস্য খামার করে। খামারের চারিপাশে কলা বাগান সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা রোপন করায় স্থানীয় প্রশাসন মৎস্য খামার এলাকা পরিদর্শন করে হাওর এলাকায় যুগান্তকারী কর্মসংস্থানমুখী মৎস্য খামার প্রকল্প হাতে নেওয়ায় প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের @২আই প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি মৎস্য খামার এলাকা পরিদর্শন করে হাওর এলাকায় পতিত জমি অধিকরণ করে এ ধরনের মৎস্য খামার প্রকল্প হাতে নেওয়ায় এলাকার স্থানীয় লোকজন উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কিছু লোকের বাধার কারণে মৎস্য খামার প্রকল্পটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অরণ্য সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী ফরিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক শমসের আলম সহ নেতৃবৃন্দ জানান, স্থানীয় সমবায় অফিসের উৎসাহ উদ্দীপনা এবং পরামর্শে তারা ভোবা হাওরে ৩’শ বিঘা জমির উপর দুইটি মৎস্য খামার প্রকল্প হাতে নেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের পর দু’টি খামারে মাছ চাষ এবং খামারের চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও কলা বাগান করলে স্থানীয় আগফৌদ পূর্ব গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র আব্দুস সাত্তার তার জামাতা আব্দুর রহিম একই গ্রামের মৃত হাজী নুর মিয়ার পুত্র নজির আহমদ গংদের নেতৃত্বে কিছু লোকজন মৎস্য খামার প্রকল্পের কাজের শুরু থেকে বাঁধা প্রদান, মাছ লুটপাট, জমি জোরপূর্বক ভাবে দখলের চেষ্টা, খামারের বাঁধ কেটে দেওয়া পাহারাদারদের প্রাণ নাশের হুমকি এমনকি সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রকাশ্যে খুন খারাবির হুমকি দিয়ে আসছে। যার কারণে তারা মৎস্য খামার প্রকল্প হাতে নিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গত ৫ জানুয়ারী রাতে আব্দুস সাত্তার গংরা মৎস্য খামারের পারে অবস্থিত গরুর খামারের ৯০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ১৩ ফুট প্রস্ত নির্মাণাধীন পাকা খুঁটির ঘর ভেঙ্গে ফেলে। বর্তমানে মৎস্য খামারের মাছ বিষ প্রয়োগ করে নিধন, রাতের বেলা জাল দিয়ে মাছ ধরে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ জানিয়েছেন। মৎস্য খামার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে বাধা প্রদান কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। অপরদিকে পূর্ব আগফৌদ গ্রামের আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, তিনি সমিতির মৎস্য খামারের কোন জায়গা দখল বা ক্ষতি সাধন করছেন না। সমিতির লোকজন তিনি সহ তার পরিবারের সরকারী বন্দোবস্তের জায়গা জবর দখলের পায়তারা করছে। এ নিয়ে কানাইঘাট থানায় ও আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়